Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে কুকি-চিনের পোশাক পরা গুলিবিদ্ধ ২ মরদেহ উদ্ধার

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : 

বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তবর্তী এলাকায় দুটি মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছে পুলিশ। তাদের পরনের পোশাক দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তারা কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ-এর সদস্য।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রুমার রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড বাকলাই পাড়া এলাকার থানচি-লিক্রি সড়কের পাশের জঙ্গলে মরদেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানান তারা।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করা হলে বাকলাই এলাকায় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন সালমান বলেন, বাকলাই পাড়ায় দুটি লাশ পাওয়া গেছে। তারা কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল। পুলিশ আসছে। লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বাতলাই এলাকায় প্রচন্ড গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। গোলাগুলি থামার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দুই জনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

এর আগে রোববার সকালে থানচি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ঘটনাস্থলটি রুমা থানা এলাকার হলেও থানচি থানার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা ও নিকটবর্তী হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। নিহতদের পোশাক দেখে ধারণা করা হচ্ছে তারা কেএনএফের সদস্য হতে পারে।

এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ‘দুই জন কেএনএফ সদস্য নিহতের খবর পেয়ে আমাদের পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হবে। তবে এখনও সে সব এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।’

গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। তবে দু’দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার পরদিনই থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী।

যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বান্দরবানে কুকি-চিনের পোশাক পরা গুলিবিদ্ধ ২ মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:২৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : 

বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তবর্তী এলাকায় দুটি মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছে পুলিশ। তাদের পরনের পোশাক দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তারা কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ-এর সদস্য।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রুমার রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড বাকলাই পাড়া এলাকার থানচি-লিক্রি সড়কের পাশের জঙ্গলে মরদেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানান তারা।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করা হলে বাকলাই এলাকায় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন সালমান বলেন, বাকলাই পাড়ায় দুটি লাশ পাওয়া গেছে। তারা কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল। পুলিশ আসছে। লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বাতলাই এলাকায় প্রচন্ড গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। গোলাগুলি থামার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দুই জনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

এর আগে রোববার সকালে থানচি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ঘটনাস্থলটি রুমা থানা এলাকার হলেও থানচি থানার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা ও নিকটবর্তী হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। নিহতদের পোশাক দেখে ধারণা করা হচ্ছে তারা কেএনএফের সদস্য হতে পারে।

এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ‘দুই জন কেএনএফ সদস্য নিহতের খবর পেয়ে আমাদের পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হবে। তবে এখনও সে সব এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।’

গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। তবে দু’দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার পরদিনই থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী।

যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।