Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলিস্তানে ড. কাজী বশির মিলনায়তনের (মহানগর নাট্যমঞ্চ) সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয় সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফলাফল ও জরিপে আমরা দেখেছি যে নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণ কাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা মে মাস থেকেই আমাদের বিভিন্ন অংশিজনদের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ সভা শুরু করব। এই সভার বিষয়বস্তুগুলো হবে যেন তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকা এবং তাদের যেই বিল্ডিং গুলো আছে সেগুলোতে যেন পানি জমা না থাকে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় সেই বিষয়ে। এই সভা করব আমাদের পুলিশ প্রশাসন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রেলওয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সেক্টরের সঙ্গে।

তিনি বলেন, জুন মাসে আমাদের বর্ষা মৌসুম, তার আগেই আমরা সকল প্রস্তুতি যেন সম্পন্ন করতে পারি সেজন্য সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এজন্য অগ্রিম অভিযানও চালানো হবে।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়ক বিভাজনগুলোতে ফুল গাছ রোপন এবং তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষ রোপনের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমরা যখন যে সড়কগুলো নিয়ে কাজ করছি সেই সড়ক বিভাজনগুলোতে ছোট ছোট ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং আগামীতেও এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া বড় যে গাছগুলো সেগুলো রাস্তার পাশে এবং বিভিন্ন পার্ক উদ্যানে রোপন করা হয়। গত প্রায় চার বছরে এরকম অসংখ্য বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে এবং আগামীতেও তা চলতে থাকবে। কেননা সড়কের মাঝখানে বড় গাছ রোপন করলে তাতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত সড়কটিও সংস্কার কাজ শেষে সেখানে নান্দনিক ফুলের গাছ লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২ এর সুয়ে মেন জো, অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

‘নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে’

প্রকাশের সময় : ০৩:৫০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলিস্তানে ড. কাজী বশির মিলনায়তনের (মহানগর নাট্যমঞ্চ) সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয় সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফলাফল ও জরিপে আমরা দেখেছি যে নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণ কাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা মে মাস থেকেই আমাদের বিভিন্ন অংশিজনদের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ সভা শুরু করব। এই সভার বিষয়বস্তুগুলো হবে যেন তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকা এবং তাদের যেই বিল্ডিং গুলো আছে সেগুলোতে যেন পানি জমা না থাকে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় সেই বিষয়ে। এই সভা করব আমাদের পুলিশ প্রশাসন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রেলওয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সেক্টরের সঙ্গে।

তিনি বলেন, জুন মাসে আমাদের বর্ষা মৌসুম, তার আগেই আমরা সকল প্রস্তুতি যেন সম্পন্ন করতে পারি সেজন্য সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এজন্য অগ্রিম অভিযানও চালানো হবে।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়ক বিভাজনগুলোতে ফুল গাছ রোপন এবং তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষ রোপনের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমরা যখন যে সড়কগুলো নিয়ে কাজ করছি সেই সড়ক বিভাজনগুলোতে ছোট ছোট ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং আগামীতেও এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া বড় যে গাছগুলো সেগুলো রাস্তার পাশে এবং বিভিন্ন পার্ক উদ্যানে রোপন করা হয়। গত প্রায় চার বছরে এরকম অসংখ্য বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে এবং আগামীতেও তা চলতে থাকবে। কেননা সড়কের মাঝখানে বড় গাছ রোপন করলে তাতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত সড়কটিও সংস্কার কাজ শেষে সেখানে নান্দনিক ফুলের গাছ লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২ এর সুয়ে মেন জো, অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ।