Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট দিতে গিয়ে বৃদ্ধা শুনলেন তিনি ‘মারা গেছেন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি। প্রথম দফার ভোটে সকাল থেকেই দলে দলে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট দিতে আসছেন ভোটাররা। তেমনই একজন ভোটার পশ্চিমবঙ্গের বাসন্তী দাস। ভোট দিতে গিয়ে শুনেছেন, তিনি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে না পেরে নিরাশ হয়েই ফিরেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলের কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত হওয়ায় তার ভোটাধিকার নেই।

ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি। এ কারণে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।

ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলেন, মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে, আপনার নাম নেই, আপনি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়— নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।

তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার এখানেই ভোট দেই। এবার কী হলো জানি না।

অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে, আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দেই। কিন্তু, এবার পারলাম না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন— জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়লেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক

ভোট দিতে গিয়ে বৃদ্ধা শুনলেন তিনি ‘মারা গেছেন’

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি। প্রথম দফার ভোটে সকাল থেকেই দলে দলে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট দিতে আসছেন ভোটাররা। তেমনই একজন ভোটার পশ্চিমবঙ্গের বাসন্তী দাস। ভোট দিতে গিয়ে শুনেছেন, তিনি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে না পেরে নিরাশ হয়েই ফিরেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলের কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত হওয়ায় তার ভোটাধিকার নেই।

ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি। এ কারণে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।

ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলেন, মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে, আপনার নাম নেই, আপনি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়— নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।

তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার এখানেই ভোট দেই। এবার কী হলো জানি না।

অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে, আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দেই। কিন্তু, এবার পারলাম না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন— জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।