Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরো ১৩ বিজিপি সদস্য

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে আবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের ১৩ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। তারা বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে কোস্টগার্ড তাদের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোট ২৭৪ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের নিরস্ত্র করা হয়েছে এবং খাবার ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সর্বশেষ বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে বিজিবির কাছে আশ্রয় নেন এক বিজিপি সদস্য।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে গত কয়েক মাস ধরেই অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীর এই সংঘাতে এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশটির সেনা ও সীমান্ত বাহিনীর সদস্যরা এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। পরে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। ২৭৪ সদস্যকেও পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরো ১৩ বিজিপি সদস্য

প্রকাশের সময় : ১১:৫৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে আবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্ট গার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের ১৩ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। তারা বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে কোস্টগার্ড তাদের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোট ২৭৪ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের নিরস্ত্র করা হয়েছে এবং খাবার ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সর্বশেষ বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে বিজিবির কাছে আশ্রয় নেন এক বিজিপি সদস্য।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে গত কয়েক মাস ধরেই অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীর এই সংঘাতে এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশটির সেনা ও সীমান্ত বাহিনীর সদস্যরা এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। পরে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। ২৭৪ সদস্যকেও পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।