বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্রধারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। যত দিন শান্তির পথে আসবে না, তত দিন যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের সার্কিট হাউজে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন থাকবে এটা আমরা চাই না। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে সন্ত্রাসীরা রুমা ও থানচিতে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা থেকে ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করলে আমরা তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করবো। তাদেরকে শান্তির পথে ফিরে আসার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) যদি চায়, জেলা প্রশাসক, শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা যেকোনো মাধ্যমে আলোচনা করে শান্তির পথে আসতে পারবে। যত দিন তারা শান্তির পথে আসবে না, তত দিন তাদের বিরুদ্ধে (সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের) যৌথ অভিযান চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যারা বিপথে গিয়েছে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পন করবে এটাই প্রত্যাশা।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় সর্বহারাদের পুনর্বাসন করেছি এবং জলদূস্যুদের পুর্নবাসন করেছি, তাই যারা বিপথে গিয়েছে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পন করতে চাইলে তাদের জন্য শান্তি আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।
শান্তি আলোচনার বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, শান্তি আলোচনার পথ সব সময় খোলা আছে। তারা যদি শান্তি কমিটির মাধ্যমে নিজেরা সুপথে ফিরে আসতে না চান তাহলে ডিসি, এসপি, এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে শান্তির পথে ফিরে আসুক। কারণ আমরা স্বাধীন দেশ রক্তপাত চাই না। আমরা চাই বিপথগামী সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ফিরে আসুক।
অভিযানে নিরপরাধ মানুষদের আটক ও খাদ্য পরিবহনে বাধা দেওয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই আনা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুনরায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটি অভিযানে কিছু বিধিনিষেধ থাকে যা সকলকে মানতে হবে। পূর্বেও কেএনএফের সদস্যরা হাটবাজারে আসত না। তাদের খাদ্যসামগ্রী অন্যরা সরবরাহ করেছে। সেজন্য অভিযানিক এলাকায় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু বাধানিষেধ কার্যকর আছে।
এর আগে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও উপজেলা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরির্দশন করেন র্যাব মহাপরিচালক। এরপর দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউজে জেলার সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল মো. মাহাবুব আলম, বান্দরবান শাখা ডিজিএফআই কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ জামশেদ, বান্দরবান বিজিবি সদর সেক্টরের কর্নেল সোহেল আহমেদ, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।