Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪০ বছর পর কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বিলবাও

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অবশেষে ৪০ বছরের অপক্ষো ঘুচলো অ্যাথলেটিক ক্লাবের। স্প্যানিশ কোপা দেল রের শিরোপার জন্য দুই দলের অপেক্ষাই ছিল দীর্ঘ। ঘরোয়া এই শিরোপার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দল অ্যাতলেটিকো বিলবাও। কিন্তু এখন পর্যন্ত ২৩ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি এই প্রতিযোগিতার সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে। এরপর ছয়বার ফাইনাল খেললেও হারটাই সঙ্গী ছিল তাদের।

আরেক ফাইনালিস্ট রিয়াল মায়োর্কা সবশেষ কোপা দেল রে জিতেছিল ২০০২-২৩ মৌসুমে। ক্লাবের ইতিহাসে সেটাই সবশেষ শিরোপা। বিলবাও অবশ্য মাঝে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপায় হাত রেখেছে। কিন্তু তারপরেও গতকালের স্প্যানিশ কোপা দেল রে ফাইনাল ছিল দুই দলের শিরোপাখরা কাটানোর মিশন। সেই লক্ষ্যে অবশ্য সফল হয়েছে বিলবাও।

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কোপা দেল রে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মায়োর্কার মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাথলেটিক বিলবাও। নির্ধারিত সময় খেলা শেষে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১২০ মিনিট খেলা শেষে গোল দিতে পারেনি কেউ। ফলে ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। পেনাল্টি শুটআউটে মায়োর্কাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে বিলবাও।

শিরোপার লড়াইয়ে বিলবাও অবশ্য পুরোপুরি ফেবারিট ছিল। ফাইনালে ওঠার পথে তারা বিদায় করেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার মতো দলকে। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণীর ম্যাচে দাপুটে শুরু করেছিল মায়োর্কাই। বেশ কয়েকটি পাল্টা আক্রমণে বিলবাও রক্ষণে ভয় ধরিয়েছিল তারা। ২১ মিনিটেও লিড পেয়েছিল তারাই।

কর্নার থেকে জটলার মাঝে বল পেয়েছিলেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার রাইলো। সেখান থেকে বল ঠেলে দেন ড্যানিয়েল রদ্রিগেজ। ডিফেন্ডারদের ফাঁকা জায়গা থেকে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার। ৩১ মিনিটেই গোল শোধ করতে পারতো বিলবাও। ইনাকি উইলিয়ামসের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন গুরুজেতা। কিন্তু সেটা সেইভ করেন মায়োর্কার গোলরক্ষক।

১-০ গোলে পিছিয়েই বিরতিতে যায় বিলবাও। তবে বিরতি থেকে এসেই গোলের দেখা পায় তারা। ম্যাচের সেরা তারকা নিকো উইলিয়ামসের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার অইহান সানচেত।

মাঠের খেলায় অবশ্য বিলবাওয়ের দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচে ৬৯ শতাংশ বলের দখল রেখে ৩০টি শট নেয় বিলবাও। বিপরীতে ৩১ শতাংশ বলের দখল রাখা মায়োর্কা নেয় ১৩ শট। তবে শেষে এসে দুই দলের কেউই পায়নি গোলের দেখা। এমনকি অতিরিক্ত সময়েও একাধিকবার হতাশ হতে হয়েছে দুই দলকে।

ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। টাইব্রেকারে বিলবাওয়ের প্রথম চার খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই গোল করেন। যদিও মায়োর্কার মানু মোরলানেস এবং নেমানিয়া রাদোনিক গোল করতে ব্যর্থ হন। ৪-২ ব্যবধানে শিরোপার স্বাদ পায় অ্যাতলেটিকো বিলবাও।

স্প্যানিশ কোপার সবচেয়ে সফল দল বার্সেলোনা। কাতালনের ক্লাব কোপা দেল রে শিরোপা জিতেছে মোট ৩১ বার। আর ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এই শিরোপা জিতেছে ২০ বার।

ম্যাচ সেরা হওয়ার পর অ্যাথলেটিক ক্লাবের নিকো উইলিয়ামস বলেন, ‘আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। ভক্তরা এটার প্রাপ্য।… আমি এটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি। আমার পরিবার ও ভাই স্বপ্ন দেখেছে। এটা আমি পরিবারের জন্য করেছি, তাদের জন্যই আমরা লড়াই করেছি। এই ক্লাবে ইতিহাস গড়তে পেরে আমি খুশি।’

মায়োর্কার গোলদাতা রদ্রিগজে বলেন, ‘আমাকে প্রথমে অ্যাথলেটিক এবং তাদের ভক্তদের অভিনন্দন জানাতে হবে। তারা এর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে। আমি অনুপ্রাণিত এবং সতীর্থ ও সমর্থকদের নিয়ে খুবই গর্বিত, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমাদের স্বপ্ন ছিল এই কাপ জেতা। আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তা হতে পারেনি।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

৪০ বছর পর কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বিলবাও

প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অবশেষে ৪০ বছরের অপক্ষো ঘুচলো অ্যাথলেটিক ক্লাবের। স্প্যানিশ কোপা দেল রের শিরোপার জন্য দুই দলের অপেক্ষাই ছিল দীর্ঘ। ঘরোয়া এই শিরোপার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দল অ্যাতলেটিকো বিলবাও। কিন্তু এখন পর্যন্ত ২৩ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি এই প্রতিযোগিতার সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে। এরপর ছয়বার ফাইনাল খেললেও হারটাই সঙ্গী ছিল তাদের।

আরেক ফাইনালিস্ট রিয়াল মায়োর্কা সবশেষ কোপা দেল রে জিতেছিল ২০০২-২৩ মৌসুমে। ক্লাবের ইতিহাসে সেটাই সবশেষ শিরোপা। বিলবাও অবশ্য মাঝে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপায় হাত রেখেছে। কিন্তু তারপরেও গতকালের স্প্যানিশ কোপা দেল রে ফাইনাল ছিল দুই দলের শিরোপাখরা কাটানোর মিশন। সেই লক্ষ্যে অবশ্য সফল হয়েছে বিলবাও।

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কোপা দেল রে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মায়োর্কার মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাথলেটিক বিলবাও। নির্ধারিত সময় খেলা শেষে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১২০ মিনিট খেলা শেষে গোল দিতে পারেনি কেউ। ফলে ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। পেনাল্টি শুটআউটে মায়োর্কাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে বিলবাও।

শিরোপার লড়াইয়ে বিলবাও অবশ্য পুরোপুরি ফেবারিট ছিল। ফাইনালে ওঠার পথে তারা বিদায় করেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার মতো দলকে। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণীর ম্যাচে দাপুটে শুরু করেছিল মায়োর্কাই। বেশ কয়েকটি পাল্টা আক্রমণে বিলবাও রক্ষণে ভয় ধরিয়েছিল তারা। ২১ মিনিটেও লিড পেয়েছিল তারাই।

কর্নার থেকে জটলার মাঝে বল পেয়েছিলেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার রাইলো। সেখান থেকে বল ঠেলে দেন ড্যানিয়েল রদ্রিগেজ। ডিফেন্ডারদের ফাঁকা জায়গা থেকে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার। ৩১ মিনিটেই গোল শোধ করতে পারতো বিলবাও। ইনাকি উইলিয়ামসের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন গুরুজেতা। কিন্তু সেটা সেইভ করেন মায়োর্কার গোলরক্ষক।

১-০ গোলে পিছিয়েই বিরতিতে যায় বিলবাও। তবে বিরতি থেকে এসেই গোলের দেখা পায় তারা। ম্যাচের সেরা তারকা নিকো উইলিয়ামসের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার অইহান সানচেত।

মাঠের খেলায় অবশ্য বিলবাওয়ের দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচে ৬৯ শতাংশ বলের দখল রেখে ৩০টি শট নেয় বিলবাও। বিপরীতে ৩১ শতাংশ বলের দখল রাখা মায়োর্কা নেয় ১৩ শট। তবে শেষে এসে দুই দলের কেউই পায়নি গোলের দেখা। এমনকি অতিরিক্ত সময়েও একাধিকবার হতাশ হতে হয়েছে দুই দলকে।

ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। টাইব্রেকারে বিলবাওয়ের প্রথম চার খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই গোল করেন। যদিও মায়োর্কার মানু মোরলানেস এবং নেমানিয়া রাদোনিক গোল করতে ব্যর্থ হন। ৪-২ ব্যবধানে শিরোপার স্বাদ পায় অ্যাতলেটিকো বিলবাও।

স্প্যানিশ কোপার সবচেয়ে সফল দল বার্সেলোনা। কাতালনের ক্লাব কোপা দেল রে শিরোপা জিতেছে মোট ৩১ বার। আর ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এই শিরোপা জিতেছে ২০ বার।

ম্যাচ সেরা হওয়ার পর অ্যাথলেটিক ক্লাবের নিকো উইলিয়ামস বলেন, ‘আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। ভক্তরা এটার প্রাপ্য।… আমি এটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি। আমার পরিবার ও ভাই স্বপ্ন দেখেছে। এটা আমি পরিবারের জন্য করেছি, তাদের জন্যই আমরা লড়াই করেছি। এই ক্লাবে ইতিহাস গড়তে পেরে আমি খুশি।’

মায়োর্কার গোলদাতা রদ্রিগজে বলেন, ‘আমাকে প্রথমে অ্যাথলেটিক এবং তাদের ভক্তদের অভিনন্দন জানাতে হবে। তারা এর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে। আমি অনুপ্রাণিত এবং সতীর্থ ও সমর্থকদের নিয়ে খুবই গর্বিত, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমাদের স্বপ্ন ছিল এই কাপ জেতা। আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তা হতে পারেনি।’