ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :
বিএনপি রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভয়ে আবোল তাবোল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ৮০ জন প্রশিক্ষিত নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভয়ে আবোল তাবোল বলছে। কোনো রাজনৈতিক দল যখন অস্তিত্বর ভয়ে থাকে তখনই তারা আবোল তাবোল বলে। বিএনপির ভারতের বিষয়ে আবোল তাবোল বলছে, এসব বিষয় আমলে নেওয়ার কিছু নেই।
এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের হার পাওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। নারীরা এগিয়ে না যেতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে না।’ তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নারীদেরকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আনিসুল হক বলেন, কোনো দল যখন তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে থাকে, তখন তারা আবোল-তাবোল বলতে থাকে। তাই বিএনপি এখন আবোল-তাবোল বলছে। এটাকে কোনো ধর্তব্যের মধ্যেই ধরার প্রয়োজন নেই।
পাহাড়ে বর্তমান পরিস্থিতি রাজনীতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরও তথ্যাদি জানা প্রয়োজন এবং আরও তথ্যাদি না জানা পর্যন্ত আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।
আনিসুল হক বলেন, আজকের অনুষ্ঠান খুব তাৎপর্যপূর্ণ। আপনারা জানেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সব নাগরিক পুরুষ এবং নারী সবাই সমান অবদানের অধিকারী হবেন। এটা তিনি সংবিধানের মধ্যে লিখে দিয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের নিজের পায়ে দাড়াঁনোর জন্য এবং নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে এই ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা জানেন দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ নারী। এই ৫০ ভাগ নারী যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে তাহলে কিন্তু এই দেশ বা জাতি কোনদিন এগোতে পারবে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার। এ সময় বক্তব্য রাখেন নারী আইটি সেবাদাতা তানজিনা আক্তার।