খুলনা জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য— কোনো প্রকার অনিয়ম ও সহিংসতা ছাড়া একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে যেন ভোটগ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়া একটা নির্বাচন সকলের কাছে উপহার দেওয়া।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটাররা যেন কোনো প্রকার হুমকি, ভয়ভীতি ও প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে এবং ভোটদান শেষে নিরাপদে আবার তার বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। কমিশনের এসব উদ্দেশ্য পূরণে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিদের্শনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করবেন বলে আজ আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেন, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে নমিনেশন পেপার অনলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে নমিনেশন পত্র জমাদানে বাধা প্রদানের যে অহরহ অভিযোগ বিগত দিনে ছিল, এবার আর সে সুযোগ থাকবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক নীতিমালা অনুসরণ করে গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীনভাবে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
আহসান হাবিব বলেন, এই নির্বাচনের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে, একই মতাদর্শের প্রার্থী একাধিক হতে পারে। সুতরাং তাদের মধ্যে কিছুটা রাগ-বিরাগ সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে। সেটাকেও কীভাবে আমরা রক্ষা করতে পারি বিশ্লেষণ করেছি এবং আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুন্দর ব্যবহার ও বিনয়ের সঙ্গে সবাইকে আমরা একইভাবে পরিচালিত করব।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা বলেছি শুরুতেই আমরা স্টপ করব। নির্বাচনের ছোট-বড় সব ঘটনা সমান দৃষ্টিতে দেখব। যাতে করে বড় ঘটনা সৃষ্টির শুরুতেই শেষ হয়ে যায়। বড় ঘটনার সৃষ্টি হবে না।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যত প্রভাবশালী হোক না কেন, নির্বাচনী আইন-কানুন শতভাগ মেনে চলতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। পূর্বের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সব প্রার্থীর জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে কেউ কাউকে প্রার্থী হতে বাধা দিতে পারবে না এবং জোরপূর্বক প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানোর সম্ভাবনাও কমে যাবে। অনলাইন ব্যতীত কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না। এ কারণে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারিগরি ও পদ্ধতিগত সুবিধার্থে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের অপেক্ষা না করে আগেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা।