Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি শাকিল হোসেনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (৪২), একই গ্রামের শেখপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) ও মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩)।

এছাড়া দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল হোসেন (২৩) একই গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরোনো বাজারপাড়ার বাড়ি থেকে বৃদ্ধ দম্পতি নজির মিয়া (৭০) ও ফরিদা বেগমের (৬০) হাত-পা-মুখ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ওই দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। চার দিন পর হত্যাকারী সন্দেহে ওই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ওই চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দীন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, বৃদ্ধ নজির আলী ছিলেন একজন বালু ব্যবসায়ী। আসামি সাহাবুল হক ছিলেন তাঁর বালু ব্যবসায় চলা গাড়ির চালক। এই সুবাদে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে যাতায়াত ছিল সাহাবুলের। বাড়িতে টাকা-পয়সা কোথায় থাকে তাও জানতেন তিনি। পরিকল্পনা মাফিক আসামিরা ওই দম্পতির বাড়ি থেকে নগদ টাকা লুট করতে বালু কেনার নাম করে বাড়িতে ঢোকেন। এ সময় প্রথমে ফরিদা বেগমকে, পরে তাঁর স্বামী নজির মিয়াকে হত্যা করে আসামিরা। পরে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় তারা।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে এবং লুট করে নেওয়া মোবাইল ফোনের ক্রেতাকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বলেন, শুধু জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করেই মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে বিবাদীরা সন্তুষ্ট নন। তাই উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৫:২৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি শাকিল হোসেনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (৪২), একই গ্রামের শেখপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) ও মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩)।

এছাড়া দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল হোসেন (২৩) একই গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরোনো বাজারপাড়ার বাড়ি থেকে বৃদ্ধ দম্পতি নজির মিয়া (৭০) ও ফরিদা বেগমের (৬০) হাত-পা-মুখ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ওই দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। চার দিন পর হত্যাকারী সন্দেহে ওই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ওই চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দীন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, বৃদ্ধ নজির আলী ছিলেন একজন বালু ব্যবসায়ী। আসামি সাহাবুল হক ছিলেন তাঁর বালু ব্যবসায় চলা গাড়ির চালক। এই সুবাদে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে যাতায়াত ছিল সাহাবুলের। বাড়িতে টাকা-পয়সা কোথায় থাকে তাও জানতেন তিনি। পরিকল্পনা মাফিক আসামিরা ওই দম্পতির বাড়ি থেকে নগদ টাকা লুট করতে বালু কেনার নাম করে বাড়িতে ঢোকেন। এ সময় প্রথমে ফরিদা বেগমকে, পরে তাঁর স্বামী নজির মিয়াকে হত্যা করে আসামিরা। পরে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় তারা।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে এবং লুট করে নেওয়া মোবাইল ফোনের ক্রেতাকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বলেন, শুধু জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করেই মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে বিবাদীরা সন্তুষ্ট নন। তাই উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি চলছে।