গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধা শহরে শিশু সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় রাজিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে জুবায়ের নামে এক কজলেজছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে গৃহবধূর এক বছরের ছেলে।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ-সংলগ্ন রেলপথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় তিনজনকেই প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে রংপুরে নেওয়ার পথে গৃহবধূ এবং কলেজছাত্র মারা যান। শিশুটি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতরা হলেন- রাজিয়া বেগম (৩৫) ও জোবায়ের রহমান (১৮)। রাজিয়া সদর উপজেলার মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী এবং জোবায়ের স্থানীয় এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ রাজিয়া বেগম শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন রেললাইনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন জোবায়ের। তিনি তাঁদের ঝাঁপ দিতে দেখে রেললাইন থেকে ধাক্কা দেন। তখন সান্তাহারগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই রেললাইন থেকে ছিটকে পড়েন। তাঁদের মধ্যে জোবায়ের ও রাজিয়াকে রংপুরে মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে মারা যান। শিশু আবিরকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটা আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা, এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।