রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলার ভোটে যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, সেজন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। ভোটের পরিবেশ ভালো থাকায় ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে। সেইসঙ্গে বাড়বে দ্বন্দ্ব। এজন্য প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় ও নিরপেক্ষতা দরকার। দৃঢ় সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের আন্তরিকতায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। কোনোভাবে নির্বাচনকে কলুষিত করা সহ্য করা হবে না। মাঠপর্যায়ে যারা ভোটের কাজে জড়িত থাকবেন তাদের বলবো, বেআইনি কাজে যুক্ত হবেন না, তা আমরা বরদাশত করবো না।
তিনি বলেন, উপজেলা ভোটে যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। ভোটের পরিবেশ ভালো থাকায়, ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে দ্বন্দ্ব। এজন্য প্রশাসনের মাঝে সমন্বয় ও নিরপেক্ষতা দরকার। দৃঢ় সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের আন্তরিকতায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। কোনোভাবে নির্বাচনকে কলুষিত করা সহ্য করা হবে না। তাই নির্বাচন কাজে কর্মকর্তাদেরও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে।
নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রার্থীসুলভ আচরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘খারাপ নির্বাচন হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে, তা আমরা চাই না। আমরা এই প্রজন্মের মাঝে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এর আগেও আমরা অনেক জায়গায় প্রার্থিতা বাতিল করেছি। নির্বাচনের দিনেও বাতিল করেছি। রাষ্ট্র আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা কঠোরভাবে পালন এবং প্রয়োগ করবো।’
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী পেশিশক্তি বা প্রভাব খাটিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে যত শক্তিশালী প্রার্থী হউক না কেন, কেউ নির্বাচনে আইনের বাইরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ নির্বাচন কমিশনের আইনের বাইরে গেলে তাদেরও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রার্থীদের প্রার্থীসুলভ আচরণ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, খারাপ নির্বাচন হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে, তা আমরা চাই না। আমরা এ প্রজন্মের মাঝে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই। কোনোভাবে নির্বাচন কলুষিত হয় এ ধরনের কর্মকাণ্ড অতীতে মেনে নেওয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নেওয়া হবে না।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সততা, দেশপ্রেম ও নিরপেক্ষতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটারদের আস্থা ফিরেছে দাবি করে রাশেদা সুলতানা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো নেগেটিভ কথা আর শোনা যায় না। ফলে নির্বাচন কমিশনের জন্য আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের ও ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করেছি।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিভাগীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পঙ্কজ চন্দ্র রায়, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মোতাহসিন।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।