মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
মাগুরা-যশোর মহাসড়কের শালিখার ছয়ঘরিয়া এলাকায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই নারীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ জন।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের নিত্যানন্দ দের স্ত্রী নিরুপা রানী দে (৪০), একই এলাকার নারায়ণ চন্দ্র দের স্ত্রী পুষ্প রানী দে(৫০) এবং মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাধ এলাকার বিশ্বনাথ কুণ্ডু। আহতদের মধ্যে চার জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শালিখা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে শুধু অটোরিকশাটি দেখতে পাই। ঘটনাস্থলে দুজন নারীর মরদেহ দেখতে পাই। মরদেহ মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।’
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই অটোরিকশা মাগুরা থেকে নারিকেলবাড়িয়ার দিকে এক সনাতন ধর্মের নামযজ্ঞের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। অটোরিকশায় মোট ১২ জন যাত্রী ছিলেন। পথিমধ্যে হাজামতলা মোড়ে পৌঁছালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত একজনকে নিয়ে আসে। তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে আহত কয়েকজন ভর্তি হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
নিহতদের এলাকা সংলগ্ন স্থানীয় সঞ্জয় কুমার নামে এক ব্যক্তি বলেন, নিহতরা সবাই নারিকেলবাড়িয়ায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে তিনজনের প্রাণ যায়। নিহতদের মধ্যে নিলুফা রানী দে ও পুস্পা রানী পরস্পর একই পরিবারের দুই ভাইয়ের বউ।
মাগুরা সদর হাসপাতালের পুলিশ সদস্য মো. হজরত বলেন, নিহত একজনকে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকি দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন শুনেছি। সবকিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।