আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নতুন আলোচনার অনুমোদন দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানুষের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার পরদিন শুক্রবার (২৯ মার্চ) এই অনুমোদন দিলেন তিনি।
তবে চলতি সপ্তাহে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পরও আজ পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার আলেপ্পোতেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, গাজার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে দোহা ও কায়রোয় আলোচনা চলবে। আগামী দিনগুলোতে আলোচনার দিকনির্দেশনাসহ বিষয়টি সামনে এগিয়ে নেওয়া হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পর থেকে কয়েক দিন ধরে ওই আলোচনা থমকে রয়েছে।
এর আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।
গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত করা প্রসঙ্গে তাঁদের স্বজনদের এ কথা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘একমাত্র সামরিক চাপই তাঁদের মুক্তি নিশ্চিত করবে।’
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ও খান ইউনিস জয় করেছি। এবার দক্ষিণের রাফায় স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারান।
এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।
৭ অক্টোবর ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি আরও ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসেন হামাসের যোদ্ধারা। যারমধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতিতে ছেড়ে দেয় তারা।
ইসরায়েলের বিশ্বাস হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জিম্মি রয়েছে। যারমধ্যে ৩৩ জন ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।