Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুষের টাকা গুণে নিচ্ছেন অফিস সহকারী, ভিডিও ভাইরাল

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

দপ্তরে সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষের পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারীর আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’

জানতে চাইলে অফিস সহকারী আবদুল কাদির মিয়া বলেন, ইতিমধ্যে তাঁকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তিনি আর কোনো কথা বলতে চান না।

স্থানীয় লোকজন ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন না তিনি।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় লোকজন। নুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, যে জায়গা খারিজ করতে ৩ হাজার টাকা লাগে, সেখানে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। শুধু তা-ই নয়, টাকা নিয়েও কাজ করতে গিয়ে হয়রানি করে। মাসের পর মাস ঘুরতে হয়।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে বলেন, ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত ভূমি সহকারী আবদুল কাদিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সহকারী কমিশনার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঘুষের টাকা গুণে নিচ্ছেন অফিস সহকারী, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

দপ্তরে সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষের পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারীর আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’

জানতে চাইলে অফিস সহকারী আবদুল কাদির মিয়া বলেন, ইতিমধ্যে তাঁকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তিনি আর কোনো কথা বলতে চান না।

স্থানীয় লোকজন ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন না তিনি।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় লোকজন। নুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, যে জায়গা খারিজ করতে ৩ হাজার টাকা লাগে, সেখানে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। শুধু তা-ই নয়, টাকা নিয়েও কাজ করতে গিয়ে হয়রানি করে। মাসের পর মাস ঘুরতে হয়।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে বলেন, ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত ভূমি সহকারী আবদুল কাদিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সহকারী কমিশনার।