Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় তাঁর বাড়ি থেকে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গ্রেপ্তার করার সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার দল গ্রেপ্তারের ঘটনার পরই জানিয়েছে, কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিতে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপরই এই অভিযান চালাল ইডি।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও এএপি সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আরেক মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।

দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে দিল্লি সরকারের মন্ত্রী আতিশি বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে। তার গ্রেপ্তার বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ষড়যন্ত্র। এই মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে তারা সেই ষড়যন্ত্র করে আসছে। দুই বছর আগে এএপি নেতা এবং মন্ত্রীদের ওপর ১০০টিরও বেশি অভিযান চালানো সত্ত্বেও ইডি বা সিবিআই একটি অবৈধ টাকার সন্ধান পায়নি।’

মন্ত্রী অতিশি আরও বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার পরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার একটি ষড়যন্ত্র। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল শুধু একজন মানুষ নন, তিনি একটি চিন্তা। আপনি যদি মনে করেন একজন কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করলে সেই চিন্তা শেষ হতে পারে, আপনি ভুল করছেন। আমাদের নেতা কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। আমরা শুরু থেকেই বলেছি, প্রয়োজনে তিনি জেল থেকে সরকার চালাবেন। এই কাজ করতে তার কোনো আইনি বাধা নেই।’

কেজরিওয়ালকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী আতিশি বলেন, লড়াই চলবে এবং পার্টি তার গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা জরুরি শুনানির জন্য আদালতে গেছেন। আদালতে আমরা দাবি করব, আজ (বৃহস্পতিবার) রাতেই মামলার শুনানি হোক।

১২ জন কর্মকর্তা নিয়ে গঠিত ইডির একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুসন্ধানী চিঠি নিয়ে কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছায়। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তাকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার এবং তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তার বাসভবন থেকে দুটি ট্যাবলেট এবং একটি ল্যাপটপ থেকে ডেটা স্থানান্তর করে নেন কর্মকর্তারা। কেজরিওয়ালের বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে।

ইডির কর্মকর্তারা যখন বাসভবনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছিল, তখন দিল্লি পুলিশ এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের কর্মীদের পাশাপাশি সিআরপিএফর কয়েকটি টিম বাইরে মোতায়েন রাখা হয়। কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরের এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ করে করা হয়। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সেখানে জড়ো হওয়া আম আদমি পার্টির কর্মীদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে আটক করা হয়।

ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেতা কে. কবিতাকে মদ নীতির মামলায় হেফাজতে নেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার হলেন। গ্রেপ্তারের পর কেজরিওয়ালকে প্রথমবারের মতো মামলায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

গত বছরের অক্টোবরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রথম সমন জারি করা হয় এবং তাকে ২ নভেম্বর ইডি কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। তখন থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির মাধ্যমে গ্রেপ্তার করবে সরকার। উল্লেখ্য, ৯ বার ইডির সমন উপেক্ষা করেছেন কেজরিওয়াল।

দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কারাগারে ভরে রাখা হয়েছে। এএপি রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিংকেও অক্টোবরে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে গ্রহণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের দক্ষিণী কোনো মদ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তারা এই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে পাচার করতে চেয়েছিলেন বলে এই অভিযোগে বলা হয়েছে। তবে এএপি বলেছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার দল এই খেলায় নেমেছেন।

কেজরিওয়াল বারবার বলেছেন, দিল্লির মদ নীতিতে কোনো কেলেঙ্কারি বা দুর্নীতি হয়নি। বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ইডি তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়। এএপি ও অন্যান্য অনেক বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। তারা দাবি করেছে, লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বিরোধী নেতাদের হয়রানি বাড়িয়েছে বিজেপি সরকার।

১৯ এপ্রিলে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে। সাত দফায় ভোটগ্রহণের শেষ দফা ১ জুন। ৪ জুন ভোটগণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট মদ নীতির মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে এ বিষয়ে ইডিকে তার আবেদনের জবাব দিতে বলেন। ২২ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করেন বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং মনোজ জৈনের বেঞ্চ। তারা বলেছেন, আমরা উভয় পক্ষের কথা শুনেছি এবং আমরা এই পর্যায়ে গ্রেপ্তার না করার আবেদন আমলে নিচ্ছি না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় তাঁর বাড়ি থেকে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গ্রেপ্তার করার সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার দল গ্রেপ্তারের ঘটনার পরই জানিয়েছে, কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিতে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপরই এই অভিযান চালাল ইডি।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও এএপি সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আরেক মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।

দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে দিল্লি সরকারের মন্ত্রী আতিশি বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে। তার গ্রেপ্তার বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ষড়যন্ত্র। এই মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে তারা সেই ষড়যন্ত্র করে আসছে। দুই বছর আগে এএপি নেতা এবং মন্ত্রীদের ওপর ১০০টিরও বেশি অভিযান চালানো সত্ত্বেও ইডি বা সিবিআই একটি অবৈধ টাকার সন্ধান পায়নি।’

মন্ত্রী অতিশি আরও বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার পরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার একটি ষড়যন্ত্র। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল শুধু একজন মানুষ নন, তিনি একটি চিন্তা। আপনি যদি মনে করেন একজন কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করলে সেই চিন্তা শেষ হতে পারে, আপনি ভুল করছেন। আমাদের নেতা কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। আমরা শুরু থেকেই বলেছি, প্রয়োজনে তিনি জেল থেকে সরকার চালাবেন। এই কাজ করতে তার কোনো আইনি বাধা নেই।’

কেজরিওয়ালকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী আতিশি বলেন, লড়াই চলবে এবং পার্টি তার গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা জরুরি শুনানির জন্য আদালতে গেছেন। আদালতে আমরা দাবি করব, আজ (বৃহস্পতিবার) রাতেই মামলার শুনানি হোক।

১২ জন কর্মকর্তা নিয়ে গঠিত ইডির একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুসন্ধানী চিঠি নিয়ে কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছায়। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তাকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার এবং তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তার বাসভবন থেকে দুটি ট্যাবলেট এবং একটি ল্যাপটপ থেকে ডেটা স্থানান্তর করে নেন কর্মকর্তারা। কেজরিওয়ালের বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে।

ইডির কর্মকর্তারা যখন বাসভবনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছিল, তখন দিল্লি পুলিশ এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের কর্মীদের পাশাপাশি সিআরপিএফর কয়েকটি টিম বাইরে মোতায়েন রাখা হয়। কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরের এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ করে করা হয়। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সেখানে জড়ো হওয়া আম আদমি পার্টির কর্মীদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে আটক করা হয়।

ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেতা কে. কবিতাকে মদ নীতির মামলায় হেফাজতে নেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার হলেন। গ্রেপ্তারের পর কেজরিওয়ালকে প্রথমবারের মতো মামলায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

গত বছরের অক্টোবরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রথম সমন জারি করা হয় এবং তাকে ২ নভেম্বর ইডি কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। তখন থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির মাধ্যমে গ্রেপ্তার করবে সরকার। উল্লেখ্য, ৯ বার ইডির সমন উপেক্ষা করেছেন কেজরিওয়াল।

দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কারাগারে ভরে রাখা হয়েছে। এএপি রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিংকেও অক্টোবরে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে গ্রহণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের দক্ষিণী কোনো মদ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তারা এই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে পাচার করতে চেয়েছিলেন বলে এই অভিযোগে বলা হয়েছে। তবে এএপি বলেছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার দল এই খেলায় নেমেছেন।

কেজরিওয়াল বারবার বলেছেন, দিল্লির মদ নীতিতে কোনো কেলেঙ্কারি বা দুর্নীতি হয়নি। বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ইডি তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়। এএপি ও অন্যান্য অনেক বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। তারা দাবি করেছে, লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বিরোধী নেতাদের হয়রানি বাড়িয়েছে বিজেপি সরকার।

১৯ এপ্রিলে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে। সাত দফায় ভোটগ্রহণের শেষ দফা ১ জুন। ৪ জুন ভোটগণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট মদ নীতির মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে এ বিষয়ে ইডিকে তার আবেদনের জবাব দিতে বলেন। ২২ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করেন বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং মনোজ জৈনের বেঞ্চ। তারা বলেছেন, আমরা উভয় পক্ষের কথা শুনেছি এবং আমরা এই পর্যায়ে গ্রেপ্তার না করার আবেদন আমলে নিচ্ছি না।