Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনা চোরাচালান মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মানিকগঞ্জে সোনা চোরাচালান মামলায় পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সিনিয়র দায়রা ও জেলা জজ জয়শ্রী সমদ্দার আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার লোহাকুড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ইয়াহইয়া আমিন, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ আমীনুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজৎ থানার নাগেরহাট গ্রামের আ. রহমান বেপারীর ছেলে মো. মনিরুজ্জামান রনি, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ জাহিদুল ইসলাম, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার জগৎপুর গ্রামের মো. আহম্মদ উল্লাহর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম তারেক। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহার এবং আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা বাসে করে চোরাচালানের উদ্দেশে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে নিয়ে যাচ্ছেন চোরাকারবারিরা- এমন সংবাদ পায় র‌্যাব-২। এরপর ওই দিন বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তল্লাশি চৌকি বসায় র‌্যাব-২ এর একটি দল। এর কিছুক্ষণ পর বেনাপোলগামী একটি বাসে তল্লাশির সময় পাঁচ যাত্রী পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাদেরকে আটক করার দেহ তল্লাশি করেন র‌্যাব সদস্যরা। পরে তাদের কাছ থেকে ২২৭টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এসব সোনার ওজন ৪৩ দশমিক শূন্য সাত কেজি।

এ ঘটনায় পর দিন সোনা চোরাচালানের অভিযোগে ওই পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়। মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার তৎকালীন এসআই হারেস সিকদার। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য র‌্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু ছালেহ তদন্ত করেন। তিনি বদলি হওয়ার পর র‌্যাব-২ এর এএসপি শহীদুল ইসলামকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলা বিচারাধীন অবস্থায় ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হয়। মামলায় সকল তথ্য-উপাত্ত এবং সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী (এপিপি) মথুর নাথ সরকার। তিনি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা ও মো. লুৎফর রহমান।

আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে কারাগারে যাওয়া সেই রিকশাচালক জামিন পেলেন

সোনা চোরাচালান মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মানিকগঞ্জে সোনা চোরাচালান মামলায় পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সিনিয়র দায়রা ও জেলা জজ জয়শ্রী সমদ্দার আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার লোহাকুড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ইয়াহইয়া আমিন, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ আমীনুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজৎ থানার নাগেরহাট গ্রামের আ. রহমান বেপারীর ছেলে মো. মনিরুজ্জামান রনি, যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ জাহিদুল ইসলাম, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার জগৎপুর গ্রামের মো. আহম্মদ উল্লাহর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম তারেক। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহার এবং আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা বাসে করে চোরাচালানের উদ্দেশে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে নিয়ে যাচ্ছেন চোরাকারবারিরা- এমন সংবাদ পায় র‌্যাব-২। এরপর ওই দিন বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তল্লাশি চৌকি বসায় র‌্যাব-২ এর একটি দল। এর কিছুক্ষণ পর বেনাপোলগামী একটি বাসে তল্লাশির সময় পাঁচ যাত্রী পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাদেরকে আটক করার দেহ তল্লাশি করেন র‌্যাব সদস্যরা। পরে তাদের কাছ থেকে ২২৭টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এসব সোনার ওজন ৪৩ দশমিক শূন্য সাত কেজি।

এ ঘটনায় পর দিন সোনা চোরাচালানের অভিযোগে ওই পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়। মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার তৎকালীন এসআই হারেস সিকদার। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য র‌্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু ছালেহ তদন্ত করেন। তিনি বদলি হওয়ার পর র‌্যাব-২ এর এএসপি শহীদুল ইসলামকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলা বিচারাধীন অবস্থায় ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হয়। মামলায় সকল তথ্য-উপাত্ত এবং সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী (এপিপি) মথুর নাথ সরকার। তিনি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা ও মো. লুৎফর রহমান।

আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।