Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্টগার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

রোববার (১০ মার্চ) সকালে শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে। সেই সঙ্গে দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট গার্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ৭৫’এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

কোস্টগার্ডের উন্নয়নের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দলে থেকেও সংসদে কোস্টগার্ড আইন পাস করেছিল আওয়ামী লীগ। এখন সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর এবার সমুদ্রের সম্পদ আহরণে গবেষণা জাহাজ সংগ্রহের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কোস্টগার্ডকেও ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করতে হবে।

নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইজ নির্মাণ করা ও অত্যাধুনিক নৌযান সংযোজনে কোস্টগার্ড সদস্যরা এখন অনেক দক্ষ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাচ্য-পাশ্চাতের মধ্যে সেতুবন্ধ করতে পারে বাংলাদেশ। সে জন্য সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা বিধান একান্তভাবে দরকার। সব বাহিনীকেই আধুনিক স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশাল সমুদ্রের সম্পদ আহরণ করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য সুনীল অর্থনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও গবেষণা দরকার। আমরা সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করেছি। সেখানকার সম্পদ এখন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই সমুদ্রসীমার অধিকার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করার মাধ্যমে কোস্টগার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কোস্টগার্ডে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম যুক্ত করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনীর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর সব প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। তিনিই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন করেছিলেন। ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল। সমুদ্রসীমার যে অধিকার আছে, এ ব্যাপারে কেউ কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আজ সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিশাল সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বিগত সরকারগুলো সমুদ্রসীমায় অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অর্জন বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। ১৯৭৫ সালের পর কোনো সরকারই সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়নি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয় এবং সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করে।

সমুদ্রসীমায় যে সম্পদ রয়েছে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনোমি ঘোষণা করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ১৯৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি দেশ ও দেশের প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট কার্ডের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়েছিলেন শোষিত, বঞ্চিত, ক্ষুধার্ত, নিপীড়িত বাঙালির জীবন উন্নত করতে। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। আমাদের দেশে বিশাল সমুদ্রসীমা তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশে যেন নৌকাঘাটি হয় ৬ দফা তিনিই দাবি করেছিলেন। সমুদ্র সীমানা আইন জাতিসংঘ করেছিল ১৯৮২ সালে, আর জাতির পিতা করে ১৯৭৪ সালে, এটা বিশ্বের দৃষ্টান্ত ছিল।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতা হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার কেউ কিন্তু সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরই আমরা উদ্যোগ নেই। সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করি। পাঁচ বছর পরে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি নাই। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কেউ আর উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করেই সমুদ্রসীমা আমাদের যে অধিকার তার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আল্লাহ রহমতে আমরা সেটা করতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেই একটি ঠিকানা পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের নবনির্মিত ছয়টি ভৌত অবকাঠামো (বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, নিদ্রাসকিনা ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী) এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় পরিচালিত কোস্টগার্ডের সদর দফতরসহ তিনটি জোন, ছয়টি জাহাজ এবং সাতটি স্টেশনে নব সংযোজিত উন্নত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি- ভি-স্যাটনেট যোগাযোগব্যবস্থা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উন্নয়ন, সাহসী অপারেশন ও সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্বীকৃতি স্বরূপ কোস্টগার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তার হাতে পদক তুলে দেন সরকারপ্রধান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:০২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্টগার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

রোববার (১০ মার্চ) সকালে শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে। সেই সঙ্গে দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট গার্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ৭৫’এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

কোস্টগার্ডের উন্নয়নের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দলে থেকেও সংসদে কোস্টগার্ড আইন পাস করেছিল আওয়ামী লীগ। এখন সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর এবার সমুদ্রের সম্পদ আহরণে গবেষণা জাহাজ সংগ্রহের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কোস্টগার্ডকেও ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করতে হবে।

নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইজ নির্মাণ করা ও অত্যাধুনিক নৌযান সংযোজনে কোস্টগার্ড সদস্যরা এখন অনেক দক্ষ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাচ্য-পাশ্চাতের মধ্যে সেতুবন্ধ করতে পারে বাংলাদেশ। সে জন্য সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা বিধান একান্তভাবে দরকার। সব বাহিনীকেই আধুনিক স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশাল সমুদ্রের সম্পদ আহরণ করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য সুনীল অর্থনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও গবেষণা দরকার। আমরা সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করেছি। সেখানকার সম্পদ এখন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই সমুদ্রসীমার অধিকার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করার মাধ্যমে কোস্টগার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কোস্টগার্ডে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম যুক্ত করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনীর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর সব প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। তিনিই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন করেছিলেন। ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল। সমুদ্রসীমার যে অধিকার আছে, এ ব্যাপারে কেউ কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আজ সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিশাল সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বিগত সরকারগুলো সমুদ্রসীমায় অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অর্জন বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। ১৯৭৫ সালের পর কোনো সরকারই সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়নি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয় এবং সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করে।

সমুদ্রসীমায় যে সম্পদ রয়েছে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনোমি ঘোষণা করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ১৯৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি দেশ ও দেশের প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট কার্ডের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়েছিলেন শোষিত, বঞ্চিত, ক্ষুধার্ত, নিপীড়িত বাঙালির জীবন উন্নত করতে। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। আমাদের দেশে বিশাল সমুদ্রসীমা তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশে যেন নৌকাঘাটি হয় ৬ দফা তিনিই দাবি করেছিলেন। সমুদ্র সীমানা আইন জাতিসংঘ করেছিল ১৯৮২ সালে, আর জাতির পিতা করে ১৯৭৪ সালে, এটা বিশ্বের দৃষ্টান্ত ছিল।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতা হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার কেউ কিন্তু সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরই আমরা উদ্যোগ নেই। সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করি। পাঁচ বছর পরে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি নাই। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কেউ আর উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করেই সমুদ্রসীমা আমাদের যে অধিকার তার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আল্লাহ রহমতে আমরা সেটা করতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেই একটি ঠিকানা পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের নবনির্মিত ছয়টি ভৌত অবকাঠামো (বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, নিদ্রাসকিনা ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী) এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় পরিচালিত কোস্টগার্ডের সদর দফতরসহ তিনটি জোন, ছয়টি জাহাজ এবং সাতটি স্টেশনে নব সংযোজিত উন্নত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি- ভি-স্যাটনেট যোগাযোগব্যবস্থা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উন্নয়ন, সাহসী অপারেশন ও সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্বীকৃতি স্বরূপ কোস্টগার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তার হাতে পদক তুলে দেন সরকারপ্রধান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।