আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে কি-না সে সিদ্ধান্ত এখন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে। সশস্ত্র যোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দিলেই অঞ্চলটিতে একটি দীর্ঘ ও বর্ধিত যুদ্ধবিরতি সম্ভব। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধস্থতাকারীদের তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কায়রোতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় দিনের আলোচনায় বলা হয়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দিলেই তবে অঞ্চলটিতে একটি দীর্ঘ ও বর্ধিত যুদ্ধবিরতির সম্ভব।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কায়রোতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় একটি ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের মুক্তি দেওয়ার শর্ত বেঁধে দেন নেতানিয়াহু। এছাড়া, মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ রুখতে রোজা শুরুর আগেই গাজায় সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, অসুস্থ, আহত, বয়স্ক এবং নারী জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অন্তত ছয় সপ্তাহের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে এ বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।
হোয়াইট হাউজের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুদ্ধবিরতির এই প্রাথমিক পর্যায়ে গাজাবাসীকে দ্রুত গতিতে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা এবং আরও স্থায়ী ব্যবস্থা এবং শান্তির জন্য সময় ও সুযোগ প্রদান করা হবে।’
এর আগে, বৈরুতে হামাসের দাবিগুলোর পুনরাবৃত্তি করেছিলেন গোষ্ঠীটির কর্মকর্তা ওসামা হামদান। তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন বন্ধের, সেখান থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীকে যার যার বাড়ি ফিরে যেতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল।