Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার প্রতিটি সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে : সেতুমন্ত্রী

ফাইল ছবি

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমার প্রতিটি সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে। তখন নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হয়। দগ্ধ হই অদেখা দহনে। তবে আমরা থেমে নেই। আমাদের অবিরাম প্রচেষ্টা অনেকটাই ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনছে।

তিনি বলেন, কিছু পদক্ষেপ সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যাগতভাবে কমিয়ে আনলেও প্রতিদিনই ঘটছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। শনিবার (২৪ অক্টোবর) ব্র্যাক ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একসময়ের মরণফাঁদ নামে খ্যাত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্ল্যাকস্পট ডিভাইডারসহ সরলীকরণ করায় সেখানে দুর্ঘটনা অনেকটাই নেই বললেই চলে। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা দেশব্যাপী ১২১ টি ব্লাকস্পট চিহ্নিত করেছি।

ডিভাইডার থাকলে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো যায়।এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিগত এক দশকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে । একই সাথে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ধীর গতিতে গাড়ি চলার জন্য নির্মাণ কাজ হচ্ছে স্বতন্ত্র লেনে’।

বিগত কয়েক বছরে যোগাযোগ অবকাঠামো অনেক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে উন্নতবিশ্বের মত বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট।ঢাকা মহানগরী আশপাশের জন্য কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিবহন পরিকল্পনা ছিল না। আমরা জাইকার সহায়তা নিয়ে প্রণয়ন করেছে দীর্ঘমেয়াদি স্ট্র্যাটিজি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান শুধু তাই নয় আমরা প্রণয়ন করেছিল দীর্ঘমেয়াদী রোড মাস্টারপ্ল্যান।

আরও পড়ুন : সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু: সিসি ক্যামেরায় মিলল খুনের প্রমান

এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ টি রুট নিয়ে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক তৈরির টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন চলছে একটি মেট্রো রেল রুট এর কাজ। শীঘ্রই শুরু হবে আরও দুটো রুট এর কাজ’।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে সরকার পেশাজীবী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণের সুবিধা বাড়িয়ে চলেছে।

বিগত দুই অর্থ বছরে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার পেশাজীবী চালকের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী গাড়িচালকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি ডোপ টেস্ট এর উপর জোর দিয়েছেন। একই সাথে মালিকদের মানবিক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নারী গাড়ি চালক তৈরির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখন নারী গাড়িচালক তৈরীর সুযোগ বাড়াচ্ছি। নারী গাড়িচালক তৈরীর কার্যক্রম ব্রাক-ই প্রথম শুরু করে। গাড়ি চালনায় পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সাবধানী এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সরকার অধিকাংশ নারী চালকের সংখ্যা বাড়াতে চাই’।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকেই সড়ক ব্যবহারকারী। তাই সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সড়ক নিরাপত্তায় সরকারের বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রম সফল বাস্তবায়নের পাশাপাশি আইনের কার্যকর ব্যবহার এবং জনসচেতনতা বাড়ালে পূরণ আমাদের নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আমার প্রতিটি সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে : সেতুমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমার প্রতিটি সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে। তখন নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হয়। দগ্ধ হই অদেখা দহনে। তবে আমরা থেমে নেই। আমাদের অবিরাম প্রচেষ্টা অনেকটাই ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনছে।

তিনি বলেন, কিছু পদক্ষেপ সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যাগতভাবে কমিয়ে আনলেও প্রতিদিনই ঘটছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। শনিবার (২৪ অক্টোবর) ব্র্যাক ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একসময়ের মরণফাঁদ নামে খ্যাত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্ল্যাকস্পট ডিভাইডারসহ সরলীকরণ করায় সেখানে দুর্ঘটনা অনেকটাই নেই বললেই চলে। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা দেশব্যাপী ১২১ টি ব্লাকস্পট চিহ্নিত করেছি।

ডিভাইডার থাকলে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো যায়।এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিগত এক দশকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে । একই সাথে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ধীর গতিতে গাড়ি চলার জন্য নির্মাণ কাজ হচ্ছে স্বতন্ত্র লেনে’।

বিগত কয়েক বছরে যোগাযোগ অবকাঠামো অনেক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে উন্নতবিশ্বের মত বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট।ঢাকা মহানগরী আশপাশের জন্য কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিবহন পরিকল্পনা ছিল না। আমরা জাইকার সহায়তা নিয়ে প্রণয়ন করেছে দীর্ঘমেয়াদি স্ট্র্যাটিজি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান শুধু তাই নয় আমরা প্রণয়ন করেছিল দীর্ঘমেয়াদী রোড মাস্টারপ্ল্যান।

আরও পড়ুন : সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু: সিসি ক্যামেরায় মিলল খুনের প্রমান

এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ টি রুট নিয়ে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক তৈরির টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন চলছে একটি মেট্রো রেল রুট এর কাজ। শীঘ্রই শুরু হবে আরও দুটো রুট এর কাজ’।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে সরকার পেশাজীবী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণের সুবিধা বাড়িয়ে চলেছে।

বিগত দুই অর্থ বছরে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার পেশাজীবী চালকের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী গাড়িচালকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি ডোপ টেস্ট এর উপর জোর দিয়েছেন। একই সাথে মালিকদের মানবিক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নারী গাড়ি চালক তৈরির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখন নারী গাড়িচালক তৈরীর সুযোগ বাড়াচ্ছি। নারী গাড়িচালক তৈরীর কার্যক্রম ব্রাক-ই প্রথম শুরু করে। গাড়ি চালনায় পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সাবধানী এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সরকার অধিকাংশ নারী চালকের সংখ্যা বাড়াতে চাই’।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকেই সড়ক ব্যবহারকারী। তাই সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সড়ক নিরাপত্তায় সরকারের বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রম সফল বাস্তবায়নের পাশাপাশি আইনের কার্যকর ব্যবহার এবং জনসচেতনতা বাড়ালে পূরণ আমাদের নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা।