Dhaka সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি না বলারও সুযোগ দেয়নি সরকার: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি না, সরকার সে কথা বলারও সুযোগ দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের উদ্যোগে ‘মুগদা থানা যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা এবং আদাবর থানা যুবদল নেতা আবদুর রশিদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

এসময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং শামীম মোল্লা ও আবদুর রশিদের পরিবারের সদস্যসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, পরিকল্পনা করেই গত বছরের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড করেছে সরকার। মূলত বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমনটা করা হয়েছে।’

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে বিএনপির নিহত নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, পৃথিবীর কোন স্বৈরাচার কখনো এককভাবে কোনোদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই। জনরোষে তারা যেতে বাধ্য হয়েছে। এরাও (আওয়ামী লীগ সরকার) একদিন যাবে। জবাবদিহিতা করতে হবে। আর ৪০ বছর পরে যদি কোন নেতার বিচার হতে পারে, এসমস্ত হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করা হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই যে আজকে হত্যাকাণ্ড এবং ২৮ তারিখে মিটিং পণ্ড করে দেয়া হলো, এটা খুব পরিকল্পিত। নির্বাচনে বিএনপি যাতে না যায়, এজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তারা করেছে। দেশি, বিদেশি এবং আন্তর্জাতিকসহ সবদিকে তারা করেছে। তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করলো যে, আমরা বলতে পারলাম না যে- আমরা নির্বাচনে যাবো। এমন কথা বলার পরিবেশ ও পরিস্থিতি ছিলো না। আর আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা (সরকার) তা করে নাই।

তিনি বলেন, দেশের যে অবস্থা, এই অবস্থায় জেলে থেকে বের হওয়ার পর এই প্রথম আমি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। যেকারণে এতদিন আসতে পারি নাই। আর আমি যখন জেলে ছিলাম। জেলে তিক্ত অভিজ্ঞতা। আমি ১৯৭৮ সাল থেকে কারাগারে আসা-যাওয়ার কারণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বহুবার জেলে গেছি। বহুবার জেল থেকে বেরিয়েছি। জেলের অভিজ্ঞতা একেক সময় একেক রকম। কিন্তু এবার জেলের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, জেলখানায় একজন মানুষ ঢোকা মানে হলো তার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ঢোকা। জেলখানায় কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই। কোন ব্যবস্থাই নাই। অর্থাৎ অসুখ হোক, সে মরে যাক।

আব্বাস বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি, সাহেব আমি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যাই। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি যে, বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠান। আমাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতা স্পষ্টভাবে বললেন, আপনাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া নিষেধ। আমরা বুঝে নিলাম যে, আমাদের চিকিৎসা হবে না।

আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এরা প্রাণ দিলো কেনো? সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিংবা সরকার থাকার জন্য মানুষগুলো প্রাণ নিতেই হবে? কতগুলো প্রাণ। একটা-দু’টা। ১৫ বছরে আমাদের হাজার হাজার কর্মী প্রাণ দিয়েছে!

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১২ তরুণের হাতে ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি না বলারও সুযোগ দেয়নি সরকার: মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৮:২০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি না, সরকার সে কথা বলারও সুযোগ দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের উদ্যোগে ‘মুগদা থানা যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা এবং আদাবর থানা যুবদল নেতা আবদুর রশিদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

এসময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং শামীম মোল্লা ও আবদুর রশিদের পরিবারের সদস্যসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, পরিকল্পনা করেই গত বছরের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড করেছে সরকার। মূলত বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমনটা করা হয়েছে।’

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে বিএনপির নিহত নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, পৃথিবীর কোন স্বৈরাচার কখনো এককভাবে কোনোদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই। জনরোষে তারা যেতে বাধ্য হয়েছে। এরাও (আওয়ামী লীগ সরকার) একদিন যাবে। জবাবদিহিতা করতে হবে। আর ৪০ বছর পরে যদি কোন নেতার বিচার হতে পারে, এসমস্ত হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করা হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই যে আজকে হত্যাকাণ্ড এবং ২৮ তারিখে মিটিং পণ্ড করে দেয়া হলো, এটা খুব পরিকল্পিত। নির্বাচনে বিএনপি যাতে না যায়, এজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তারা করেছে। দেশি, বিদেশি এবং আন্তর্জাতিকসহ সবদিকে তারা করেছে। তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করলো যে, আমরা বলতে পারলাম না যে- আমরা নির্বাচনে যাবো। এমন কথা বলার পরিবেশ ও পরিস্থিতি ছিলো না। আর আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা (সরকার) তা করে নাই।

তিনি বলেন, দেশের যে অবস্থা, এই অবস্থায় জেলে থেকে বের হওয়ার পর এই প্রথম আমি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। যেকারণে এতদিন আসতে পারি নাই। আর আমি যখন জেলে ছিলাম। জেলে তিক্ত অভিজ্ঞতা। আমি ১৯৭৮ সাল থেকে কারাগারে আসা-যাওয়ার কারণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বহুবার জেলে গেছি। বহুবার জেল থেকে বেরিয়েছি। জেলের অভিজ্ঞতা একেক সময় একেক রকম। কিন্তু এবার জেলের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, জেলখানায় একজন মানুষ ঢোকা মানে হলো তার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ঢোকা। জেলখানায় কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই। কোন ব্যবস্থাই নাই। অর্থাৎ অসুখ হোক, সে মরে যাক।

আব্বাস বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি, সাহেব আমি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যাই। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি যে, বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠান। আমাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতা স্পষ্টভাবে বললেন, আপনাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া নিষেধ। আমরা বুঝে নিলাম যে, আমাদের চিকিৎসা হবে না।

আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এরা প্রাণ দিলো কেনো? সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিংবা সরকার থাকার জন্য মানুষগুলো প্রাণ নিতেই হবে? কতগুলো প্রাণ। একটা-দু’টা। ১৫ বছরে আমাদের হাজার হাজার কর্মী প্রাণ দিয়েছে!