আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পাকিস্তানের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন বাতিল চেয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্র্নিবাচনের দাবি জানানো হয়েছে। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন। তিন সদস্যের এই বেঞ্চে আরও আছেন, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার এবং বিচারপতি মুসারাত হিলালির।
আলী খান নামে এক নাগরিক আবেদনে ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে পুনর্র্নিবাচনের দাবি করেন। এতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও ফেডারেল সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে। পাশাপাশি আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ৯২টি আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) পায় ৭৫টি আসন। আর বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৫৪টি আসনে জয় পান। আর বাকি আসনগুলোতে অন্য ছোট দলগুলো জয় তুলে নেয়।
এর আগে গতকাল সিন্ধ হাইকোর্ট করাচি ও হায়দ্রাবাদের ৫৮টি আসনের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে আগামীকাল শনিবার পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরান খানের পিটিআই। দলটি দাবি করেছে, তারা ১৮০টি আসনে জয় পেলেও; বাকি আসনগুলোর ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।