স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম সাত ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় পাওয়া সিলেট আজ খুলনাকে দিয়েছে টানা তৃতীয় হারের স্বাদ। একই সঙ্গে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছেন গতবারের রানার্স-আপেরা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে সিলেট। শুরুতে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে খুলনা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১ ওভার হাতে রেখে জয় পায় সিলেট। নবম ম্যাচে এসে টুর্নামেন্টের তৃতীয় জয় পেয়েছে তারা। সপ্তম ম্যাচে এসে এটি তৃতীয় হার খুলনার।
খুলনার দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। দলীয় ১৩ রানেই নাহিদুল ইসলামের বলে এভিন লুইসের মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার সামিত প্যাটেল। এরপর নাজমুল শান্ত হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়লেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি।
১৬ বলে ২৪ রান করে শান্ত আজ ফিরেছেন মার্ক দেয়ালের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে। শান্ত ফেরার পর মাঠে নেমে শূন্য রানেই ফিরে যান জাকির হাসান। ফলে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সিলেট। এরপর মাঠে নামেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে এরপর স্কোরবোর্ড সচল রাখেন টেক্টর। দুজন মিলে গড়েন ৪২ রানের জুটি। এরপর মিঠুনও ফিরেন দেয়ালের বলে স্ট্যাম্পিয়ংয়ের ফাঁদে পড়ে। দলীয় ১০৭ রানে মিঠুন ফেরার পর সিলেটকে জয়ের পথ দেখিয়েছেন টেক্টর এবং রায়ান বার্ল। ৫২ বলে ৬১ রান করে টেক্টর দলীয় ১৩৫ রানে আউট হলেও শেষদিকে ১৬ বলে ৩২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন বার্ল। ফলে ৫ উইকেট হাতে রেখেই দারুণ এক জয় তুলে নেয় সিলেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে সেভাবে ছন্দ খুঁজে পায়নি খুলনা টাইগার্সের ইনিংস। ৩ চারে ১০ বলে ১২ রান করে সামিত প্যাটেলের বলে সাজঘরে ফেরত যান এভিন লুইস। ১০ ওভার শেষে দলটির রান ছিল ৫৬। এর মধ্যে আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা টাইগার্স।
আফিফ হোসেন শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২৪ রান করে বেনি হাওয়েলের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন তিনি। ৬ বলে ১ রান করে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়ও।
এরপর বড় জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও হাবিবুর রহমান সোহান। চতুর্থ উইকেটে ৬৭ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন বিজয়। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রান করেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম।