Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরাকে কমান্ডারসহ হিজবুল্লাহর ৩ সদস্য নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় কাতাইব হিজবুল্লাহর এক সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ সময় তার দুই রক্ষীও নিহত হন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাগদাদে একটি গাড়িতে যুক্তরাষ্ট্র এ ড্রোন হামলা চালায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতাইব হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার ও তার দুই রক্ষী একটি গাড়িতে ছিলেন। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী ড্রোন হামলা চালায়। এতে গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং তিনজনই মারা যান।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, এই অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীর ওপর হামলা পরিচালনার জন্য ওই কমান্ডার দায়ী ছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার সঙ্গে এই মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসের সেই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়।

বিবিসি বলছে, বুধবার রাতের এই ড্রোন হামলাটি বাগদাদের মাশতাল এলাকার আশপাশে ঘটে। হামলার জেরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও ঘটে। মূলত ব্যস্ত রাস্তায় একটি চলন্ত গাড়ির ওপর সুনির্দিষ্ট এই হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী এবং এতে করে গাড়িটি জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

মার্কিন ড্রোন হামলার পর সেখানে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ‘যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় শয়তান’ বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়। পরে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাস্থলে সোয়াত দল পাঠায়।

হামলার ঘটনায় ইরাকের মিলিশিয়ারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

গত মাসে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ঘাঁটি ড্রোন হামলায় দেশটির তিন সেনা নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সেই ধারাবাহিকতায় হামলা চালানো হয়েছে।

৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সেনা ঘাঁটি ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় ১৬৫ টিরও বেশি হামলা হয়েছে।

ইরাকে ২৫০০ এবং সিরিয়ায় ৯০০ যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চার মাস পূর্ণ করেছে। গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার স্পর্শ করতে চলেছে। নিহতদের ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। একই সময়ে আহত হয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এতিম হয়েছে ১৯ থেকে ২৪ হাজার শিশু।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ৫ হাজার। হামাস জিম্মি করে নিয়ে আসে ২৪০ থেকে ২৫৩ জন।

নভেম্বরের সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। হামাসের হাতে এখনও ১৩০ থেকে ১৪৩ ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরেও মাহফুজকে অদপস্ত ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে : নাহিদ ইসলাম

ইরাকে কমান্ডারসহ হিজবুল্লাহর ৩ সদস্য নিহত

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় কাতাইব হিজবুল্লাহর এক সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ সময় তার দুই রক্ষীও নিহত হন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাগদাদে একটি গাড়িতে যুক্তরাষ্ট্র এ ড্রোন হামলা চালায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতাইব হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার ও তার দুই রক্ষী একটি গাড়িতে ছিলেন। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী ড্রোন হামলা চালায়। এতে গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং তিনজনই মারা যান।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, এই অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীর ওপর হামলা পরিচালনার জন্য ওই কমান্ডার দায়ী ছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার সঙ্গে এই মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসের সেই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়।

বিবিসি বলছে, বুধবার রাতের এই ড্রোন হামলাটি বাগদাদের মাশতাল এলাকার আশপাশে ঘটে। হামলার জেরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও ঘটে। মূলত ব্যস্ত রাস্তায় একটি চলন্ত গাড়ির ওপর সুনির্দিষ্ট এই হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী এবং এতে করে গাড়িটি জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

মার্কিন ড্রোন হামলার পর সেখানে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ‘যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় শয়তান’ বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়। পরে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাস্থলে সোয়াত দল পাঠায়।

হামলার ঘটনায় ইরাকের মিলিশিয়ারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

গত মাসে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ঘাঁটি ড্রোন হামলায় দেশটির তিন সেনা নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সেই ধারাবাহিকতায় হামলা চালানো হয়েছে।

৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সেনা ঘাঁটি ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় ১৬৫ টিরও বেশি হামলা হয়েছে।

ইরাকে ২৫০০ এবং সিরিয়ায় ৯০০ যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চার মাস পূর্ণ করেছে। গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার স্পর্শ করতে চলেছে। নিহতদের ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। একই সময়ে আহত হয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এতিম হয়েছে ১৯ থেকে ২৪ হাজার শিশু।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ৫ হাজার। হামাস জিম্মি করে নিয়ে আসে ২৪০ থেকে ২৫৩ জন।

নভেম্বরের সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। হামাসের হাতে এখনও ১৩০ থেকে ১৪৩ ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে।