গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ৭২টি বিয়ে হয়েছে। ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর মঞ্চের পাশে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। সেখানে কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বিয়ে পড়ান ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় মোহর ফাতেমির নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানার পরিমাণ ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা তার সমমূল্য অর্থ।
বিয়ের জন্য সকাল থেকে অভিভাবকরা হবু দম্পতিদের নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর ছুড়ে দেওয়া হয়।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। লাখো মানুষের ইবাদত বন্দেগির মধ্যে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুক বিহীন বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর ।
কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় বিয়ে। এজন্য সকাল থেকেই অভিভাবকরা হবু দম্পতিদের নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর বিতরণ করা হয়।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বাদ আসর ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান এই বিয়ে পড়ান।
বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।
বরিশালের ব্যবসায়ী ফাইজুল হক বলেন, আমি তাবলিগ জামাতের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। আমার খুব ইচ্ছে ছিল বিশ্ব ইজতেমায় এসে বিয়ে করার। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকলের কাছে নতুন দম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।