Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিলো বরিশাল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টানা চার ম্যাচে জয়ের পর অবশেষে হারের তিক্ত স্বাদ পেলো খুলনা টাইগার্স। সিলেটপর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের কাছে এনামুল হকের খুলনা হেরেছে ৫ উইকেটে।

ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বরিশালের দলনেতা তামিম ইকবাল। এদিকে আগে ব্যাট করতে নামে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় বিজয়ের দল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় বরিশাল।

১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের শুরুতেই আহমেদ শেহজাদকে হারায় বরিশাল। অপরদিকে দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় ৩৪ রানে বাউন্ডারির চাহিদায় উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ হন ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চলে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২০ রান করেন তিনি।

এরপর তৃতীয় উইকেতে নামা সৌম্য সরকারের উইকেটও দখলে নেন ফাহিম আশরাফ। পরপর দুই ওভারে তামিম ও সৌম্যকে ফিরিয়ে খুলনাকে ম্যাচে ফেরান ফাহিম। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৬ করেন সৌম্য।

পরে বরিশালকে জয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার বদলে মুশফিকুর রহিমও উইকেট হারান ব্যক্তিগত ২৭ রানে। অন্যদিকে পঞ্চম উইকেটে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ষষ্ট উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ আর শোয়েব মালিক মিলে বরিশালকে জয়ের পথে নেওয়ার চেষ্টা চালান। শেষদিকে এই দুই জনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কল্যাণে শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১৮ রানের। খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় বল তুলে দেন দাসুন শানাকার হাতে। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় তামিমের বরিশাল।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। দারুণ ছন্দে থাকা এনামুল বিজয় ভালো শুরু করেও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানে আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১২ রান করেন তিনি।

এরপর তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহান দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন। করতে পারেননি দুই রানের বেশি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। স্ট্রোক্সের ফোয়ারা ছুটিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন। তবে শোয়েব মালিকের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে দলীয় ৬১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে আফিফ হোসেন নামের পাশে রান যোগ করার আগেই সজাঘরে ফেরেন। দ্রুত দুই উইকেট খুইয়ে চরম বিপাকে খুলনা টাইগার্স। দুর্দান্ত তাইজুল নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ১৯ বল খেলা জয় এগিয়ে খেলতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্পড। ব্যক্তিগত ১৩ রানে জয় যখন সাজঘরের পথ ধরেন তখন ৫ উইকেটে খুলনার স্কোরবোর্ডে ৭৩ রান।

তাইজুল দ্বিতীয় স্পেলে এসে বিপাকে ফেলেন দাসুন শানাকাকে। ১৩ বলে ৬ রানের ধীরগতির ব্যাটিং শেষে শানাকা হয়েছেন ক্লিন বোল্ড। ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে নাহিদুল ইসলামকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান মোহাম্মদ ইমরান। ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারানো খুলনা টাইগার্সকে এরপর ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ জুটি।

এই দুই জনের ব্যাটিং ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। আশরাফ ৩৮ রানে শেষ পর্যন্ত অপারিজত থাকেন। বরিশালের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন শোইয়েব মালিক ও তাইজুল ইসলাম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিলো বরিশাল

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টানা চার ম্যাচে জয়ের পর অবশেষে হারের তিক্ত স্বাদ পেলো খুলনা টাইগার্স। সিলেটপর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের কাছে এনামুল হকের খুলনা হেরেছে ৫ উইকেটে।

ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বরিশালের দলনেতা তামিম ইকবাল। এদিকে আগে ব্যাট করতে নামে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় বিজয়ের দল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় বরিশাল।

১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের শুরুতেই আহমেদ শেহজাদকে হারায় বরিশাল। অপরদিকে দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় ৩৪ রানে বাউন্ডারির চাহিদায় উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ হন ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চলে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২০ রান করেন তিনি।

এরপর তৃতীয় উইকেতে নামা সৌম্য সরকারের উইকেটও দখলে নেন ফাহিম আশরাফ। পরপর দুই ওভারে তামিম ও সৌম্যকে ফিরিয়ে খুলনাকে ম্যাচে ফেরান ফাহিম। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৬ করেন সৌম্য।

পরে বরিশালকে জয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার বদলে মুশফিকুর রহিমও উইকেট হারান ব্যক্তিগত ২৭ রানে। অন্যদিকে পঞ্চম উইকেটে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ষষ্ট উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ আর শোয়েব মালিক মিলে বরিশালকে জয়ের পথে নেওয়ার চেষ্টা চালান। শেষদিকে এই দুই জনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কল্যাণে শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১৮ রানের। খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় বল তুলে দেন দাসুন শানাকার হাতে। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় তামিমের বরিশাল।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। দারুণ ছন্দে থাকা এনামুল বিজয় ভালো শুরু করেও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানে আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১২ রান করেন তিনি।

এরপর তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহান দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন। করতে পারেননি দুই রানের বেশি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। স্ট্রোক্সের ফোয়ারা ছুটিয়ে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন। তবে শোয়েব মালিকের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে দলীয় ৬১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে আফিফ হোসেন নামের পাশে রান যোগ করার আগেই সজাঘরে ফেরেন। দ্রুত দুই উইকেট খুইয়ে চরম বিপাকে খুলনা টাইগার্স। দুর্দান্ত তাইজুল নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ১৯ বল খেলা জয় এগিয়ে খেলতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্পড। ব্যক্তিগত ১৩ রানে জয় যখন সাজঘরের পথ ধরেন তখন ৫ উইকেটে খুলনার স্কোরবোর্ডে ৭৩ রান।

তাইজুল দ্বিতীয় স্পেলে এসে বিপাকে ফেলেন দাসুন শানাকাকে। ১৩ বলে ৬ রানের ধীরগতির ব্যাটিং শেষে শানাকা হয়েছেন ক্লিন বোল্ড। ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে নাহিদুল ইসলামকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান মোহাম্মদ ইমরান। ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারানো খুলনা টাইগার্সকে এরপর ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ জুটি।

এই দুই জনের ব্যাটিং ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। আশরাফ ৩৮ রানে শেষ পর্যন্ত অপারিজত থাকেন। বরিশালের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন শোইয়েব মালিক ও তাইজুল ইসলাম।