Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শত অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল ধরাতে পারেনি : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নতুন সরকার গঠন করলেও আওয়ামী লীগ পার পাবে না। সামনে কী হবে- তা দেখার জন্য হয়তো আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। বিরোধীপক্ষের আন্দোলন এখন নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। শত অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল ধরাতে পারেনি।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং এখন শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, ‘৭ জানুয়ারি পরিস্থিতিকে মৌলিকভাবে একটুও পাল্টে দেয়নি। বস্তুগতভাবে আগের মতোই আছে অথবা তার চেয়ে আরও পরিপক্ক হয়েছে। বিষয়টি এ কারণেও প্রণিধানযোগ্য যে আন্দোলনকারী দল ও শক্তিগুলো এটা মনে করছেন যে তারা হারেননি ও এর মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ভবিষ্যৎ আন্দোলনের প্রশ্নে কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। আপনাদের মনে আছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির পর বিরোধী দল কোনো প্রতিরোধ কর্মসূচি দেওয়া তো দূরের কথা, শক্ত প্রতিবাদও করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, কিন্তু এখন তারা রাস্তায় নামছে তাদের মধ্যে ঐক্য অটুট আছে এবং শত সহস্র অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার মূল দল বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল তৈরি করতে পারেনি। কি হবে তা দেখার জন্য হয়তো আমাদের আরো খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে এ কথা বলা যায়, আন্দোলন শেষ হয়নি । বরঞ্চ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এ আন্দোলনে আমরাই বিজয়ী হবো।

মান্না বলেন, দুই-তিনটি দেশ বাদ দিলে সারা বিশ্ব জানে মানুষ ভোট দিতে যায়নি। বলা যায় আমরা রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হইনি। কিন্তু আমরা যে জিতেছি তাও তো বলার অবকাশ নেই। কারণ আমরা সরকার হটাতে পারিনি। আমরা যেরকম নির্বাচন চাইছিলাম সেরকম নির্বাচন নিতে পারিনি। এই অবস্থাটা কে কি বলা যায়? আমরাও জিতিনি, তারাও জেতেনি? খুবই নির্মহ ভাবে দেখলে, নিরাসক্তভাবে দেখলে সেরকম বলা যাবে। কিন্তু তারপরও সত্যি, ওরা নতুন করে সরকার গঠন করেছে এবং বাগাড়ম্বর করছে। বিরোধী দলকে আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি জিনিস সবাই লক্ষ্য করেছেন এবারের আন্দোলনে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের বাইরেও তৃতীয় আরেকটি পক্ষ যুক্ত হয়েছে। আমি আন্তর্জাতিক মহলের কথা বলছি। অতীতে আন্তর্জাতিক মহলের এই ধরনের ইনভলবমেন্ট আমরা দেখিনি। কিন্তু এবার বছর দুই থেকেই পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মহল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধুপ্রতিম ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা এমনভাবে কথাবার্তা বলেছে। বারে বারে বাংলাদেশ সফর করেছে যাতে করে বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছে তারা একটা বিরাট ভূমিকা পালন করবে। ডামি নির্বাচন করতে গিয়ে সরকার নিজেদের রাজনৈতিক চরিত্র ধ্বংস করেছে, সংগঠন বিধ্বস্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।

এ সমুদয় বিষয় এটা পরিষ্কার করে বোঝায় যে যদিও আওয়ামী লীগ সাত জানুয়ারি পার করেছে। নতুন একটি সরকার গঠন করেছে তাতে যে তারা সংকট কিছুটা হলেও কাটাতে পেরেছে সেরকম কিছুই হয়নি। আমি আর ডামির নির্বাচন করতে গিয়ে তারা নিজেদের রাজনৈতিক চরিত্র ধ্বংস করেছে, সংগঠন বিধ্বস্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যতই বানিয়ে বানিয়ে তাদের নির্বাচনের প্রতি বিশ্ব সমর্থন দেখাবার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু সবার কাছে এটা স্পষ্ট যে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। বলা যেতেই পারে ৭ জানুয়ারির আগে আর পরে পরিস্থিতির এমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

শত অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল ধরাতে পারেনি : মান্না

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নতুন সরকার গঠন করলেও আওয়ামী লীগ পার পাবে না। সামনে কী হবে- তা দেখার জন্য হয়তো আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। বিরোধীপক্ষের আন্দোলন এখন নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। শত অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল ধরাতে পারেনি।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং এখন শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, ‘৭ জানুয়ারি পরিস্থিতিকে মৌলিকভাবে একটুও পাল্টে দেয়নি। বস্তুগতভাবে আগের মতোই আছে অথবা তার চেয়ে আরও পরিপক্ক হয়েছে। বিষয়টি এ কারণেও প্রণিধানযোগ্য যে আন্দোলনকারী দল ও শক্তিগুলো এটা মনে করছেন যে তারা হারেননি ও এর মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ভবিষ্যৎ আন্দোলনের প্রশ্নে কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। আপনাদের মনে আছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির পর বিরোধী দল কোনো প্রতিরোধ কর্মসূচি দেওয়া তো দূরের কথা, শক্ত প্রতিবাদও করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, কিন্তু এখন তারা রাস্তায় নামছে তাদের মধ্যে ঐক্য অটুট আছে এবং শত সহস্র অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার মূল দল বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল তৈরি করতে পারেনি। কি হবে তা দেখার জন্য হয়তো আমাদের আরো খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে এ কথা বলা যায়, আন্দোলন শেষ হয়নি । বরঞ্চ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এ আন্দোলনে আমরাই বিজয়ী হবো।

মান্না বলেন, দুই-তিনটি দেশ বাদ দিলে সারা বিশ্ব জানে মানুষ ভোট দিতে যায়নি। বলা যায় আমরা রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হইনি। কিন্তু আমরা যে জিতেছি তাও তো বলার অবকাশ নেই। কারণ আমরা সরকার হটাতে পারিনি। আমরা যেরকম নির্বাচন চাইছিলাম সেরকম নির্বাচন নিতে পারিনি। এই অবস্থাটা কে কি বলা যায়? আমরাও জিতিনি, তারাও জেতেনি? খুবই নির্মহ ভাবে দেখলে, নিরাসক্তভাবে দেখলে সেরকম বলা যাবে। কিন্তু তারপরও সত্যি, ওরা নতুন করে সরকার গঠন করেছে এবং বাগাড়ম্বর করছে। বিরোধী দলকে আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি জিনিস সবাই লক্ষ্য করেছেন এবারের আন্দোলনে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের বাইরেও তৃতীয় আরেকটি পক্ষ যুক্ত হয়েছে। আমি আন্তর্জাতিক মহলের কথা বলছি। অতীতে আন্তর্জাতিক মহলের এই ধরনের ইনভলবমেন্ট আমরা দেখিনি। কিন্তু এবার বছর দুই থেকেই পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মহল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধুপ্রতিম ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা এমনভাবে কথাবার্তা বলেছে। বারে বারে বাংলাদেশ সফর করেছে যাতে করে বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছে তারা একটা বিরাট ভূমিকা পালন করবে। ডামি নির্বাচন করতে গিয়ে সরকার নিজেদের রাজনৈতিক চরিত্র ধ্বংস করেছে, সংগঠন বিধ্বস্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।

এ সমুদয় বিষয় এটা পরিষ্কার করে বোঝায় যে যদিও আওয়ামী লীগ সাত জানুয়ারি পার করেছে। নতুন একটি সরকার গঠন করেছে তাতে যে তারা সংকট কিছুটা হলেও কাটাতে পেরেছে সেরকম কিছুই হয়নি। আমি আর ডামির নির্বাচন করতে গিয়ে তারা নিজেদের রাজনৈতিক চরিত্র ধ্বংস করেছে, সংগঠন বিধ্বস্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যতই বানিয়ে বানিয়ে তাদের নির্বাচনের প্রতি বিশ্ব সমর্থন দেখাবার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু সবার কাছে এটা স্পষ্ট যে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। বলা যেতেই পারে ৭ জানুয়ারির আগে আর পরে পরিস্থিতির এমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।