নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ আবারও দেশে বাকশাল কায়েক করতে চায় বলে অভিযোগ কওে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগকে বাকশাল কায়েম করতে দেবে না।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওলামা দলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর ওলামা দল উত্তর-দক্ষিণ এই শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।

তিনি বলেন, আপনার ভোটাধিকারে বিশ্বাস করেন না। তাই বিএনপির মতো বড় দলকে বাদ দিয়ে ভাই-ভাইয়ের ডামি নির্বাচন করেছেন, সেটি দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো সেই নির্বাচনকে গ্রহণ করে নাই।

ক্ষমতাসীনরা ১৫ বছর ধরে মহান সংসদ কলঙ্কিত করে রেখেছে এমন দাবি করে ফারুক বলেন, ৭ জানুয়ারি মঞ্চস্থ হওয়া নাটকের সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে বসবেন। যতই শক্তিশালী হোন না কেন সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। আপনারা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করেন না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এবারের সংসদের অধিবেশন শুরুর দিনে দেশব্যাপী কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছে। একইদিনে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিয়েছে। এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে কালো পতাকা মিছিল প্রতিহত করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো এই নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি। অবৈধ সংসদ বাতিল করুন। নির্দলীয় সররকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, আপনি বলেন, খেলা হবে। আরে খেলতে হলে খেলোয়াড় লাগে। আপনার তো খেলোয়াড়ই না, আপনাদের সঙ্গে কি খেলবো। আওয়ামী লীগ সব সময় বিএনপির পেছনে লেগে থাকে। বিএনপি কালো পতাকা মিছিল দেয় তিনটায় আর আওয়ামী লীগ ৪টায় কর্মসূচি ঘোষণা করে তা প্রতিরোধ করতে।

রোজার আগে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রোজার মধ্যে মানুষকে ডিম-মাংস খাওয়ার ব্যবস্থা করুন। এ সংসদ বাতিল করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবিলম্বে কার্যকর করুন। নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা অসুস্থ। কারাগারে রেখে মারবেন না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, মহানগরের নেতা কাজী মো. সেলিম রেজা, মো. আলমগীর হোসাইন, কাজী আবুল হোসেন প্রমুখ।