Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারের হ্যাটট্রিক তামিমের বরিশালের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ-জাতীয় দলের বড় তারকাদের নিয়েও হারের বৃত্ত ভাঙতে পারছে না ফরচুন বরিশাল। টানা তৃতীয় ম্যাচে পরাজয় দেখলো তারা।

দিনের বেলায় বিপিএলে রান হয় না, সিলেট পর্বে এসেও এমন মন্তব্য যে কেউ চাইলে করতেই পারতেন। তবে দিনের আলোর সঙ্গে রানের সেই শত্রুতা ভাঙলো শনিবার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ১৯৩ রানের বিপরীতে ফরচুন বরিশাল নিজেদের ইনিংস টেনে নিল ১৮৩ পর্যন্ত। রান উৎসবের ম্যাচটায় চট্টগ্রাম জিতলো ১০ রানে। বিপিএলে চার ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়।

চট্টগ্রামের রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে বরিশাল। পাকিস্তানি রিক্রুট আহমেদ শেহজাদের মারকুটে ইনিংসে ৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলে ফেলে তারা। ১৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে বিলালের শিকার হন শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার দলকে জয়ের পথ দেখাতে থাকেন। কিন্তু ইনিংসের ১১ ও ১৩তম ওভারে বরিশালকে বড় ধাক্কা দেন আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। এই দুই ওভারে বরিশালের চার ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান তিনি।

১১তম ওভারে তামিম ও সৌম্যকে বিদায় করেন ক্যাম্ফার। ৩০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে বাউন্ডারিতে আভিষ্কা ফার্নান্দের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। আর ১৬ বলে ১৭ রান করে সৌম্য কট বিহান্ড হন ক্যাম্ফারের স্লোয়ারে। এরপর ১৩তম ওভারে ৩ রান করা মাহমুদউল্লাহকে ও ৪ রান করা ইয়ানিক ক্যারিয়াহকে তুলে নেন ক্যাম্ফার। এতে করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল।

তবে মুশফিককে নিয়ে নিয়ে দলকে আশা দেখাতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৭.২ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। শেষ ১৬ বলে বরিশালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪২ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে বিলালের বলে মুশফিক আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। মুশফিকের ২৩ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় শুভাগত হোমের দল। চট্টগ্রামের হয়ে ক্যাম্ফার ২০ রানের বিপরীতে ৪টি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল। প্রথম ওভারেই তাইজুল ইসলামকে বল দেন তামিম ইকবাল। প্রথম বল ডট দিলেও পরে বাউন্ডারি হাঁকানোর হ্যাটট্রিক করেন এই ব্যাটার। কিন্তু এরপর স্লগ সুইপ করে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো দুনিথ ভেল্লালগের হাতে ক্যাচ দেন তানজিদ হাসান। ৫ বলে ১২ রান করেন তিনি।

তৃতীয় ওভারে এসে তাইজুল উইকেট নেন আরও একটি। এবার ৮ বলে ৪ রান করা ইমরানুজ্জামানকে ফেরান তিনি। আভিস্কা ফার্নান্দোর পরের জুটিতে সঙ্গী হন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। ৫৫ বলে লঙ্কান ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। অপরপ্রান্তে ২৯ বলে ৩১ রান করে ফেরেন শাহাদাৎ।

সঙ্গী বদলালেও আভিস্কা ফার্নান্দোর রূপ বদলায়ানি। শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও পরে সময়ের সঙ্গে রানের গতি বাড়ান তিনি। নাজিবউল্লাহর সঙ্গে ৩৭ বলে ৬৮ রানের জুটিতে ১৯ বলে ৪৭ রান আসে আভিস্কার ব্যাট থেকে। নাজিবউল্লাহ ফেরার পর কার্টিস ক্যাম্পার এসে ঝড় তোলেন।

৯ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকা আভিস্কা খেলেন ৫০ বল, ৫ চার ও ৭ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ৪ ওভারে ২৬ রান নিয়ে দুই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম, একটি করে উইকেট পান কামরুল ইসলাম ও ইয়ানিক ক্যারিয়াহ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হারের হ্যাটট্রিক তামিমের বরিশালের

প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ-জাতীয় দলের বড় তারকাদের নিয়েও হারের বৃত্ত ভাঙতে পারছে না ফরচুন বরিশাল। টানা তৃতীয় ম্যাচে পরাজয় দেখলো তারা।

দিনের বেলায় বিপিএলে রান হয় না, সিলেট পর্বে এসেও এমন মন্তব্য যে কেউ চাইলে করতেই পারতেন। তবে দিনের আলোর সঙ্গে রানের সেই শত্রুতা ভাঙলো শনিবার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ১৯৩ রানের বিপরীতে ফরচুন বরিশাল নিজেদের ইনিংস টেনে নিল ১৮৩ পর্যন্ত। রান উৎসবের ম্যাচটায় চট্টগ্রাম জিতলো ১০ রানে। বিপিএলে চার ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়।

চট্টগ্রামের রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে বরিশাল। পাকিস্তানি রিক্রুট আহমেদ শেহজাদের মারকুটে ইনিংসে ৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলে ফেলে তারা। ১৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে বিলালের শিকার হন শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার দলকে জয়ের পথ দেখাতে থাকেন। কিন্তু ইনিংসের ১১ ও ১৩তম ওভারে বরিশালকে বড় ধাক্কা দেন আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। এই দুই ওভারে বরিশালের চার ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান তিনি।

১১তম ওভারে তামিম ও সৌম্যকে বিদায় করেন ক্যাম্ফার। ৩০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে বাউন্ডারিতে আভিষ্কা ফার্নান্দের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। আর ১৬ বলে ১৭ রান করে সৌম্য কট বিহান্ড হন ক্যাম্ফারের স্লোয়ারে। এরপর ১৩তম ওভারে ৩ রান করা মাহমুদউল্লাহকে ও ৪ রান করা ইয়ানিক ক্যারিয়াহকে তুলে নেন ক্যাম্ফার। এতে করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল।

তবে মুশফিককে নিয়ে নিয়ে দলকে আশা দেখাতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৭.২ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। শেষ ১৬ বলে বরিশালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪২ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে বিলালের বলে মুশফিক আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। মুশফিকের ২৩ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় শুভাগত হোমের দল। চট্টগ্রামের হয়ে ক্যাম্ফার ২০ রানের বিপরীতে ৪টি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল। প্রথম ওভারেই তাইজুল ইসলামকে বল দেন তামিম ইকবাল। প্রথম বল ডট দিলেও পরে বাউন্ডারি হাঁকানোর হ্যাটট্রিক করেন এই ব্যাটার। কিন্তু এরপর স্লগ সুইপ করে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো দুনিথ ভেল্লালগের হাতে ক্যাচ দেন তানজিদ হাসান। ৫ বলে ১২ রান করেন তিনি।

তৃতীয় ওভারে এসে তাইজুল উইকেট নেন আরও একটি। এবার ৮ বলে ৪ রান করা ইমরানুজ্জামানকে ফেরান তিনি। আভিস্কা ফার্নান্দোর পরের জুটিতে সঙ্গী হন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। ৫৫ বলে লঙ্কান ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। অপরপ্রান্তে ২৯ বলে ৩১ রান করে ফেরেন শাহাদাৎ।

সঙ্গী বদলালেও আভিস্কা ফার্নান্দোর রূপ বদলায়ানি। শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও পরে সময়ের সঙ্গে রানের গতি বাড়ান তিনি। নাজিবউল্লাহর সঙ্গে ৩৭ বলে ৬৮ রানের জুটিতে ১৯ বলে ৪৭ রান আসে আভিস্কার ব্যাট থেকে। নাজিবউল্লাহ ফেরার পর কার্টিস ক্যাম্পার এসে ঝড় তোলেন।

৯ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকা আভিস্কা খেলেন ৫০ বল, ৫ চার ও ৭ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ৪ ওভারে ২৬ রান নিয়ে দুই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম, একটি করে উইকেট পান কামরুল ইসলাম ও ইয়ানিক ক্যারিয়াহ।