Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোমবার মধ্যরাত থেকে ধর্মঘটে নৌযান শ্রমিকরা

ফাইল ছবি

সোমবার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নৌযান শ্রমিকরা। সারা দেশের নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, নৌ-শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে তারা।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে শুরু হয়েছে এ ধর্মঘট।

গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এই ঘোষণা দেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে নৌযান শ্রমিকরা কাজ করেছেন। অথচ চার মাস পেরোলেও তাঁদের প্রতিশ্রুত খাদ্যভাতা দেওয়া হয়নি। এমনকি সরকার বা মালিকের পক্ষ থেকে একটি ধন্যবাদও জোটেনি।

১১ দফা দাবি না মানা হলে ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ভারতগামী নৌযানসহ সব ধরনের পণ্যবাহী, বালুবাহী, তেলবাহী নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন : ধর্মঘটে অনড় নৌযান শ্রমিকরা: খোরাকি ভাতা চাই তাদের

নৌযান শ্রমিকদের অন্যতম দাবিগুলো হলো ভারতগামী নৌযানে শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাসের ব্যবস্থা করা, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করা, মৃত্যুকালীন ভাতা ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ ও নৌযান শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বন্ধ করা।

নৌযান শ্রমিকরা জানান, মার্চে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে খাদ্যভাতা দেওয়ার। অথচ কোনো নৌযান শ্রমিক কোনো রকমের খাদ্যভাতা পাননি। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র হয়নি, কল্যাণ ফান্ড নেই। কেবল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি কার্যকর বা বাস্তবায়ন হয় না।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া টেলিফোনে বলেন, এই ১১ দফা দাবি ২০১৮ সালে প্রথমে তোলা হয়। এরপর নৌযান শ্রমিকেরা গতবছর তিনবার এই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে। প্রতিবারই সরকার ও মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। শ্রমিকরা বারবার আন্দোলনে নেমেছেন, কিন্তু তাদের ভাগ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই জোটেনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সোমবার মধ্যরাত থেকে ধর্মঘটে নৌযান শ্রমিকরা

প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

সোমবার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নৌযান শ্রমিকরা। সারা দেশের নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, নৌ-শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে তারা।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে শুরু হয়েছে এ ধর্মঘট।

গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এই ঘোষণা দেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে নৌযান শ্রমিকরা কাজ করেছেন। অথচ চার মাস পেরোলেও তাঁদের প্রতিশ্রুত খাদ্যভাতা দেওয়া হয়নি। এমনকি সরকার বা মালিকের পক্ষ থেকে একটি ধন্যবাদও জোটেনি।

১১ দফা দাবি না মানা হলে ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ভারতগামী নৌযানসহ সব ধরনের পণ্যবাহী, বালুবাহী, তেলবাহী নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন : ধর্মঘটে অনড় নৌযান শ্রমিকরা: খোরাকি ভাতা চাই তাদের

নৌযান শ্রমিকদের অন্যতম দাবিগুলো হলো ভারতগামী নৌযানে শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাসের ব্যবস্থা করা, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করা, মৃত্যুকালীন ভাতা ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ ও নৌযান শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বন্ধ করা।

নৌযান শ্রমিকরা জানান, মার্চে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে খাদ্যভাতা দেওয়ার। অথচ কোনো নৌযান শ্রমিক কোনো রকমের খাদ্যভাতা পাননি। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র হয়নি, কল্যাণ ফান্ড নেই। কেবল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি কার্যকর বা বাস্তবায়ন হয় না।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া টেলিফোনে বলেন, এই ১১ দফা দাবি ২০১৮ সালে প্রথমে তোলা হয়। এরপর নৌযান শ্রমিকেরা গতবছর তিনবার এই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে। প্রতিবারই সরকার ও মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। শ্রমিকরা বারবার আন্দোলনে নেমেছেন, কিন্তু তাদের ভাগ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই জোটেনি।