Dhaka বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ছয় মাসের কারাদণ্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ তসরুজ্জামান এ রায় দেন।

এছাড়া তাদের চেকের সমপরিমাণ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মঞ্জুর আলম শিকদারকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। তবে তার স্ত্রী এ সময় পলাতক ছিলেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে মঞ্জুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৯টি মামলায় ওয়ারেন্ট মূলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরদিন ১৫ জানুয়ারি তিনি এসব মামলায় জামিন পান।

এরআগে, তাকে গ্রেপ্তারের পর মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম সাংবাদিকদের বলেন, মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নুরুজ্জামান রিপন নামের একজন ক্রেতা আলেশা মার্ট লিমিটেড থেকে ছাড়ে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন অর্ডার করেন। অর্ডারের বিপরীতে দুই লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময় ৪৫ দিন পার হলেও তিনি মোটরসাইকেল বুঝে পাননি। এরপর বারবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে বাদীকে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করে আলেশা মার্ট।

পরবর্তী সময়ে বাদী ২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি ডিজঅনার দেখানো হয়। এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে। এরপর ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি বাদী হয়ে আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কারওয়ান বাজার এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৩০

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ছয় মাসের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ তসরুজ্জামান এ রায় দেন।

এছাড়া তাদের চেকের সমপরিমাণ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মঞ্জুর আলম শিকদারকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। তবে তার স্ত্রী এ সময় পলাতক ছিলেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে মঞ্জুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৯টি মামলায় ওয়ারেন্ট মূলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরদিন ১৫ জানুয়ারি তিনি এসব মামলায় জামিন পান।

এরআগে, তাকে গ্রেপ্তারের পর মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম সাংবাদিকদের বলেন, মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নুরুজ্জামান রিপন নামের একজন ক্রেতা আলেশা মার্ট লিমিটেড থেকে ছাড়ে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন অর্ডার করেন। অর্ডারের বিপরীতে দুই লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময় ৪৫ দিন পার হলেও তিনি মোটরসাইকেল বুঝে পাননি। এরপর বারবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে বাদীকে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করে আলেশা মার্ট।

পরবর্তী সময়ে বাদী ২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি ডিজঅনার দেখানো হয়। এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে। এরপর ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি বাদী হয়ে আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।