Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৫

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও গ্রাম্য দলাদলির জের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে একটি পক্ষ।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আদম, কাওছার, জাকারিয়া ও অহিদকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছোট খারদিয়া গ্রামে দুই দলের নেতৃত্ব দেয় কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর। এই দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় বিরোধ চলছিল।

গত ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মতুব্বর নামে একজন মারা যায়। তখন কাউছার মাতুব্বরসহ তার দলের প্রায় ৫৫ লোককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই হত্যা মামলায় কাওছার মাতুব্বরসহ সবাই দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হন।

এ ঘটনার জের ধরে, কাওছার মাতুব্বরের দলের প্রবাসী পান্নাল মাতুব্বর মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে মাস খানিক আগে দেশে আসেন। পান্নাল তার দলের মামলা মোকদ্দমার সব খরচ ব্যয় করতেন। পান্নাল দেশে আসার পর থেকে জলিল মাতুব্বরের দলের লোকজন পান্নালকে মারধর করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন পান্নালকে মারতে এলে তখন পান্নালের দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন লোক আহত হন।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন। দু’দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কারওয়ান বাজার এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৩০

ভাঙ্গায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৫

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : 

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও গ্রাম্য দলাদলির জের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে একটি পক্ষ।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আদম, কাওছার, জাকারিয়া ও অহিদকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছোট খারদিয়া গ্রামে দুই দলের নেতৃত্ব দেয় কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর। এই দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় বিরোধ চলছিল।

গত ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মতুব্বর নামে একজন মারা যায়। তখন কাউছার মাতুব্বরসহ তার দলের প্রায় ৫৫ লোককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই হত্যা মামলায় কাওছার মাতুব্বরসহ সবাই দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হন।

এ ঘটনার জের ধরে, কাওছার মাতুব্বরের দলের প্রবাসী পান্নাল মাতুব্বর মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে মাস খানিক আগে দেশে আসেন। পান্নাল তার দলের মামলা মোকদ্দমার সব খরচ ব্যয় করতেন। পান্নাল দেশে আসার পর থেকে জলিল মাতুব্বরের দলের লোকজন পান্নালকে মারধর করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন পান্নালকে মারতে এলে তখন পান্নালের দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন লোক আহত হন।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন। দু’দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।