নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে চিরতরে লালকার্ড দেখাতে হবে। তারা এখন আটলান্টিকের পাড় থেকে স্যাংশন আসার অপেক্ষায় আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো স্যাংশনের তোয়াক্কা করে না।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যতই আটলান্টিকের ওপারে তাকিয়ে থাকুক শেখ হাসিনা ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না। তিনি ভয় পান একমাত্র স্রষ্টাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে।
তিনি বলেন, ভালো লোকেরা নির্বাচিত হলে দেশ ভালো চলবে, নয়তো দুঃশাসন অনিবার্য।
তিনি আরও বলেন, তারেক টেমস নদীর ওপার থেকে নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। এই বিএনপিকে চিরতরে লালকার্ড দেখাতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারি খেলা হবে, খেলা হবে। ৭ তারিখে খেলা হবে, ফাইনাল খেলা হবে। বিএনপি কোথায় পালিয়েছে। ফাউল করে লালকার্ড, পালিয়েছে বিএনপি। এখন বোমা মারবে। তারেক টেমস নদীর ওপার থেকে নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ওদের আন্দোলন ভুয়া।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরারা সাবধান। সাম্প্রদাযয়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ৭ জানুয়ারি সারা দিন, সকাল-সন্ধ্যা খেলা হবে। সুনামগঞ্জ, সুন্দরবন, কুতুবদিয়া, তেঁতুলিয়া সারা দেশে একসঙ্গে খেলা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর ২০ লাখ করে ১ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান করা হবে। এবার নতুন ভোটার দেখতে চাই। ১ কোটি বেকারের জন্য কর্মসংস্থান করবে জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রদের মাঝে আকর্ষণীয় করতে হবে। আজকে শুধু ছাত্রলীগ থাকবে, সাধারণ ছাত্ররা থাকবে না সেটা অর্থহীন। স্মার্ট মানে ভাষণ দেওয়া নয়। গতানুগতিক ভাষণ দিয়ে ১৯৪৮ থেকে শুরু করলাম, এটা এখন আর কেউ শুনে না। বলতে হবে চোখের ভাষা, মনের ভাষা। বুঝতে হবে চোখের ভাষা, মনের ভাষা। যে কথা শুনতে চাবে, সেই কথা বলতে হবে। যে কথা ঐক্য করবে, সেটাই বক্তৃতা।
তিনি বলেন, সাধারণ ছেলে-মেয়েদের বুঝাতে হবে ভালো লোকদের হাতে থাকলে ভালো হবে। খারাপ লোকদের হাতে থাকলে ভালো লোকেরা রাজনীতিতে মূল্যহীন হয়ে যাবে। রাজনীতিতে মেধাবীদের আসতে হবে। তা না হলে, দেশের রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে আসতে হবে, তা না হলে রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ভালো লোক ক্ষমতায় এলে, এমপি হলে, মন্ত্রী হলে দেশ ভালোভাবে চলবে। খারাপ লোকদের হাতে দেশ খারাপ হবে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, গৎবাঁধা মুখস্ত বক্তব্য দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করতে হবে। ৭-৮টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অফিসে আড্ডা দেওয়ার দরকার নেই। পড়াশোনা করো, যতই পড়বে ততই শিখবে। নেতৃত্বের কোয়ালিটি অর্জন করতে হবে। পড়াশোনা করতে হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।