Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্তমান সরকারের পতন হবে: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্তমান সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মঈন খান। তিনি বলেন, আজকে সরকার দেশের যে অবস্থা তৈরি করেছে তা একটি অস্বাভাবিক ব্যবস্থা। এর পরিবর্তন হবেই।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন, প্রহসনমূলক ও ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দুশ্চিন্তা নিয়ে মানুষ নতুন বছর শুরু করেছে। দেশটা গণতন্ত্রের জন্য দেশটা স্বাধীন করা হয়েছে। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই। কিন্তু সরকার বলছে, সবার একই চিন্তা করতে হবে। একই ধ্যান ধারণায় থাকতে হবে।

বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, আজকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আজ নতুন বছর শুরু হয়েছে, দেশের ১৮কোটি মানুষ যে দুশ্চিন্তা (রাজনৈতিক পরিস্থিতি ) মাথায় নিয়ে তারা ভাবনায় রয়েছে, এটা জাতির দুর্ভাগ্য। তাত্ত্বিকভাবে আমরা বলি যে, দেশটা সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি স্বাধীনভাবে কথা বলবো, এজন্য। আজকে আমরা কোন বাংলাদেশে বাস করছি? কোথায় গণতন্ত্র? বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলাম, দেশে খুশী মতো কথা বলবো। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবো। এটা তো আওয়ামী লীগেরই স্লোগান ছিল। কিন্তু এই স্লোগান তারা এখন আর দেয় না। তারা এখন দেয়, তোমার ভোট আমি দেব, সবার ভোট আমি দেব।

ড. মঈন খান বলেন, নির্বাচন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। ৩০০ আসনে কে কোথায় এমপি হবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ সবাই এখন জানে। ৭ তারিখে আমরা একটা ফলাফলের ঘোষণা শুনবো। কি সেলুকাস! এখানে সংসদের সিট ভাগবাটোয়ারা প্রকাশ্যে হয়।

নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এই সরকারের ওপরে আস্থা হারিয়েছে তারা ভোট দিতে যাবে না। আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট দিতে যাবে না। কারণ তাদের প্রার্থী তো জয়ী হয়েই যাবে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোথায় থাকলো? বাংলাদেশের মানুষকে পরম মোঘল সম্রাটেরাও বশ করতে পারেনি। ১৮ কোটি মানুষকে আওয়ামী লীগ বাকশালের রাস্তায় চালাবে তা হতে পারে না। অতীতেও একবার চেষ্টা করেছে, পারেনি।

বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, আজকে আমরা কোন বাংলাদেশে বাস করছি? কোথায় গণতন্ত্র? বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলাম দেশে খুশি মতো কথা বলবো। আমি যাকে খুশি তাকে ভোট দিবো। এটা তো আওয়ামী লীগেরই স্লোগান ছিল। কিন্তু এই স্লোগান তারা এখন আর দেয় না। তারা এখন দেয়, তোমার ভোট আমি দেব, সবার ভোট আমি দেব।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি , বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক , গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

জেএসডি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কুড়িগ্রামে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ৩০ গ্রামের মানুষ

প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্তমান সরকারের পতন হবে: মঈন খান

প্রকাশের সময় : ০৯:১৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্তমান সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মঈন খান। তিনি বলেন, আজকে সরকার দেশের যে অবস্থা তৈরি করেছে তা একটি অস্বাভাবিক ব্যবস্থা। এর পরিবর্তন হবেই।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন, প্রহসনমূলক ও ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দুশ্চিন্তা নিয়ে মানুষ নতুন বছর শুরু করেছে। দেশটা গণতন্ত্রের জন্য দেশটা স্বাধীন করা হয়েছে। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই। কিন্তু সরকার বলছে, সবার একই চিন্তা করতে হবে। একই ধ্যান ধারণায় থাকতে হবে।

বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, আজকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আজ নতুন বছর শুরু হয়েছে, দেশের ১৮কোটি মানুষ যে দুশ্চিন্তা (রাজনৈতিক পরিস্থিতি ) মাথায় নিয়ে তারা ভাবনায় রয়েছে, এটা জাতির দুর্ভাগ্য। তাত্ত্বিকভাবে আমরা বলি যে, দেশটা সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি স্বাধীনভাবে কথা বলবো, এজন্য। আজকে আমরা কোন বাংলাদেশে বাস করছি? কোথায় গণতন্ত্র? বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলাম, দেশে খুশী মতো কথা বলবো। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবো। এটা তো আওয়ামী লীগেরই স্লোগান ছিল। কিন্তু এই স্লোগান তারা এখন আর দেয় না। তারা এখন দেয়, তোমার ভোট আমি দেব, সবার ভোট আমি দেব।

ড. মঈন খান বলেন, নির্বাচন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। ৩০০ আসনে কে কোথায় এমপি হবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ সবাই এখন জানে। ৭ তারিখে আমরা একটা ফলাফলের ঘোষণা শুনবো। কি সেলুকাস! এখানে সংসদের সিট ভাগবাটোয়ারা প্রকাশ্যে হয়।

নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এই সরকারের ওপরে আস্থা হারিয়েছে তারা ভোট দিতে যাবে না। আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট দিতে যাবে না। কারণ তাদের প্রার্থী তো জয়ী হয়েই যাবে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোথায় থাকলো? বাংলাদেশের মানুষকে পরম মোঘল সম্রাটেরাও বশ করতে পারেনি। ১৮ কোটি মানুষকে আওয়ামী লীগ বাকশালের রাস্তায় চালাবে তা হতে পারে না। অতীতেও একবার চেষ্টা করেছে, পারেনি।

বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, আজকে আমরা কোন বাংলাদেশে বাস করছি? কোথায় গণতন্ত্র? বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলাম দেশে খুশি মতো কথা বলবো। আমি যাকে খুশি তাকে ভোট দিবো। এটা তো আওয়ামী লীগেরই স্লোগান ছিল। কিন্তু এই স্লোগান তারা এখন আর দেয় না। তারা এখন দেয়, তোমার ভোট আমি দেব, সবার ভোট আমি দেব।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি , বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক , গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

জেএসডি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া।