Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যু

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ ধামইরহাট- পত্নীতলা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর অসুস্থতাজনিত কারণে ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক আজ ভোরে মারা যান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক জেলার ধামইরহাট উপজেলার লক্ষণপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।

তিনি ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিকবার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আমিনুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী ছয়ফুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় যান আমিনুল হক। ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।

ছয়ফুল ইসলাম আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগেই আমিনুল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নজিপুরে পৌঁছাতে পারে। আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে বাদ যোহর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্র উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের মাধ্যমে ফেরত পান তিনি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ঢাকায় অবস্থানকালে গত ২৭ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আমিনুল হক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

৭৫ বয়সী আমিনুল হক মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ধামইরহাট-পত্নীতলা নির্বাচনী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় এমপি শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী কেন্দ্রীয় জাপা নেতা অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম আখতারুল আলমও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কুড়িগ্রামে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ৩০ গ্রামের মানুষ

স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ ধামইরহাট- পত্নীতলা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর অসুস্থতাজনিত কারণে ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক আজ ভোরে মারা যান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক জেলার ধামইরহাট উপজেলার লক্ষণপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।

তিনি ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিকবার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আমিনুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী ছয়ফুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় যান আমিনুল হক। ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।

ছয়ফুল ইসলাম আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগেই আমিনুল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নজিপুরে পৌঁছাতে পারে। আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে বাদ যোহর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্র উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের মাধ্যমে ফেরত পান তিনি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ঢাকায় অবস্থানকালে গত ২৭ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আমিনুল হক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

৭৫ বয়সী আমিনুল হক মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ধামইরহাট-পত্নীতলা নির্বাচনী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় এমপি শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী কেন্দ্রীয় জাপা নেতা অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম আখতারুল আলমও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।