Dhaka শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটি কোটি মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট দেওয়ার জন্য দেশের কোটি কোটি মানুষ মুখিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভোটারদের টার্ন আউট নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। জয় আমাদের হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে আরও সমৃদ্ধ, আরও উজ্জ্বল, আরও আলোকিত করার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা আমাদের ডায়নামিক লিডার। ইনশাল্লাহ নির্বাচনে জয় আমাদের হবে। অসত্যের কাছে আমরা মাথা নতো করবো না।

তিনি বলেন, আমরা এক প্রতিকূল পরিবেশের মুখে লড়াই করে যাচ্ছি। নির্বাচন আমাদের করতে হবে, সংবিধানের বাধ্যবাধকতা। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে নির্বাচিত সরকারের হাতে, সেটা আমরা বিশ্বাস করি।

নির্বাচনের ভয় পাওয়ার কিছু নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ আগুন সন্ত্রাস জ্বালাও-পোড়াও বারে বারে আমরা দেখেছি। এসব ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই আমাদের লাল-সবুজের পতাকা হাতে হৃদয়ের বন্ধরে পৌঁছাবো ইনশাল্লাহ। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের কাছে একজন ইন্সপায়ারিং লিডার। বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সফল ডিপ্লোমেটিকের নাম শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইআরআই তাদের গবেষণা রিপোর্টে বলেছে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে। আমরা ভয় পাবো কাকে। আমাদের জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।

২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন কমিশন ছিল না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের আগে নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাব অডিনেট অফিস। সেই কমিশনকে আজকে পার্লামেন্টে আইন করে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশন কমিশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাই প্রথম স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কন্ডাক্ট করার সুযোগ করে দিয়েছেন। যে কারণে আজকে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। আর সরকার তার রুটিন ওয়ার্ক করছে। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশান সরকার এখন নিতে পারে না। সব বিষয় এমনকি আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ‘ঠুঠু জগন্নাথ’ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা চাই না।

তিনি বলেন, কঙ্গোর মতো দেশও প্রতি বছর গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত পায়, কিন্তু আমরা পাই না। যাক এসব অপ্রিয় কথা আর বলতে চাই না। অনেক কিছু হয়ে গেছে। আমরা সুদিনের প্রত্যাশায় আছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও আমরা দেখেছি বারে বারে। এসব ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই আমরা আমাদের লাল সবুজের পতাকা হাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাব। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তবে এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কোটি কোটি মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে: কাদের

প্রকাশের সময় : ১২:১২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট দেওয়ার জন্য দেশের কোটি কোটি মানুষ মুখিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভোটারদের টার্ন আউট নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। জয় আমাদের হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে আরও সমৃদ্ধ, আরও উজ্জ্বল, আরও আলোকিত করার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা আমাদের ডায়নামিক লিডার। ইনশাল্লাহ নির্বাচনে জয় আমাদের হবে। অসত্যের কাছে আমরা মাথা নতো করবো না।

তিনি বলেন, আমরা এক প্রতিকূল পরিবেশের মুখে লড়াই করে যাচ্ছি। নির্বাচন আমাদের করতে হবে, সংবিধানের বাধ্যবাধকতা। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে নির্বাচিত সরকারের হাতে, সেটা আমরা বিশ্বাস করি।

নির্বাচনের ভয় পাওয়ার কিছু নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ আগুন সন্ত্রাস জ্বালাও-পোড়াও বারে বারে আমরা দেখেছি। এসব ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই আমাদের লাল-সবুজের পতাকা হাতে হৃদয়ের বন্ধরে পৌঁছাবো ইনশাল্লাহ। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের কাছে একজন ইন্সপায়ারিং লিডার। বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সফল ডিপ্লোমেটিকের নাম শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইআরআই তাদের গবেষণা রিপোর্টে বলেছে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে। আমরা ভয় পাবো কাকে। আমাদের জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।

২০০৯ সালের আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন কমিশন ছিল না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের আগে নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাব অডিনেট অফিস। সেই কমিশনকে আজকে পার্লামেন্টে আইন করে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশন কমিশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাই প্রথম স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কন্ডাক্ট করার সুযোগ করে দিয়েছেন। যে কারণে আজকে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। আর সরকার তার রুটিন ওয়ার্ক করছে। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশান সরকার এখন নিতে পারে না। সব বিষয় এমনকি আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ‘ঠুঠু জগন্নাথ’ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা চাই না।

তিনি বলেন, কঙ্গোর মতো দেশও প্রতি বছর গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত পায়, কিন্তু আমরা পাই না। যাক এসব অপ্রিয় কথা আর বলতে চাই না। অনেক কিছু হয়ে গেছে। আমরা সুদিনের প্রত্যাশায় আছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও আমরা দেখেছি বারে বারে। এসব ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই আমরা আমাদের লাল সবুজের পতাকা হাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাব। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তবে এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক।