Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিপিডিকে বলতে হবে পাচার হওয়া টাকাগুলো কোথায় আছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কাছে ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া ৯২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবো।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

গেল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন একটি হিসাব তুলে ধরেন, যেখানে বলা হয়— অনিয়মের মাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সিপিডির এই রিপোর্ট সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। এ রিপোর্ট কে দিয়েছে? দেবপ্রিয়ই দিক বা মুস্তাফিজই দিক, আমার বক্তব্য হচ্ছে এই টাকাগুলো কোথায় গেছে? আপনারা টাকার সন্ধান দেন, আমরা টাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই।

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন বড়দিন উপলক্ষে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাইরে সম্ভবত ইন্ডিয়ায় আছে। যারা নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি নিয়ে এতো কথা বলছেন। যারা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি আমেরিকার বহুল প্রচলিত ঘোষণা। আমেরিকার পাঁচজন প্রতিনিধি আছে বাংলাদেশে। আমেরিকার ক্ষমতার রাজনীতির দুই প্রধান দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকের পাঁচজন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে। আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ, বিশৃঙ্খলা নিয়ে আইন প্রয়োগ করবে কমিশন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলায় আবর্ত হয়, নির্বাচন কমিশন তারা যে পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আপত্তি করবে না।

আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অধিকার কারও নেই। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই। আমরা এটাকে সমর্থন করি না। কমিশন যে ব্যবস্থা আমরা তার সঙ্গে আছি।

বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির লিফলেট বিতরণ করবে কেন? নির্বাচনের বিরুদ্ধে। অসহযোগ করবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। নির্বাচনী শান্তির পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা। আমরা এটুকুই বুঝি।

যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা এটাতো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা। কোনো প্রার্থী সহিংসতায় জড়ালে, নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নেবে- তা মেনে নেবে আওয়ামী লীগ।’

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সহিংসতা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে। যেহেতু এটি নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়, এটি স্বাধীন। আচরণবিধি যথাযথ প্রয়োগ, বিশৃঙ্খলা নিয়ে আইন প্রয়োগ করবে কমিশন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলায় আবর্ত হয়, নির্বাচন কমিশন তারা যে ব্যবস্থা নিবে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আপত্তি করবে না।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন হলে সেখানে সংঘাত একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো সংঘাতের শঙ্কা দেখছি না। এসব বিশৃঙ্খলা-সংঘাতের বিষয়ে আমাদের সভানেত্রী ‘জিরো টলারেন্স।’

আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রের নামে যদি কেউ সংঘাত তৈরি করে, বিশৃঙ্খলা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমরা দলীয়ভাবে চাইবো। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এখানে কে দলীয় প্রার্থী আর কে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেটা আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই।

ভোট কেন্দ্র দখল করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংখ্যালঘু হামলার ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে শ্রদ্ধাশীল, সহানুভূতিশীল। তারা আমাদের নাগরিক, আমাদের ভোটার। এমনকি তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও বড় ভূমিকা আছে। আমরা তাদের ভিন্ন কোনো চোখে দেখি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির জিরো টলারেন্স। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘যারা আসছে না, তারা বলতে পারবে কেন তারা ভোটে আসছে না। আমাদের সবকিছু শতভাগ পারফেক্ট, সে দাবিও আমরা করি না।’

এ সময় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে বিএনপির খাস দালাল বলে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভী (বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব) যা বলেন, তিনিও তাই বলেন।

নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, তাদের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। যারা নির্বাচনের পক্ষে তারাই আমন্ত্রণ পাবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত অভিযোগ সেটি কমিশন দেখবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে দেখার দায়িত্ব কমিশনের। আমি কোনো দল বুঝি না, ১৮৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিঘ্নিত হলে, প্রতিযোগিতায় বিশৃঙ্খলা হলে, কমিশন ব্যবস্থা নিলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আপত্তি করবে না। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

সিপিডিকে বলতে হবে পাচার হওয়া টাকাগুলো কোথায় আছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কাছে ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া ৯২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবো।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

গেল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন একটি হিসাব তুলে ধরেন, যেখানে বলা হয়— অনিয়মের মাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সিপিডির এই রিপোর্ট সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। এ রিপোর্ট কে দিয়েছে? দেবপ্রিয়ই দিক বা মুস্তাফিজই দিক, আমার বক্তব্য হচ্ছে এই টাকাগুলো কোথায় গেছে? আপনারা টাকার সন্ধান দেন, আমরা টাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই।

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন বড়দিন উপলক্ষে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাইরে সম্ভবত ইন্ডিয়ায় আছে। যারা নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি নিয়ে এতো কথা বলছেন। যারা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি আমেরিকার বহুল প্রচলিত ঘোষণা। আমেরিকার পাঁচজন প্রতিনিধি আছে বাংলাদেশে। আমেরিকার ক্ষমতার রাজনীতির দুই প্রধান দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকের পাঁচজন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে। আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ, বিশৃঙ্খলা নিয়ে আইন প্রয়োগ করবে কমিশন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলায় আবর্ত হয়, নির্বাচন কমিশন তারা যে পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আপত্তি করবে না।

আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অধিকার কারও নেই। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই। আমরা এটাকে সমর্থন করি না। কমিশন যে ব্যবস্থা আমরা তার সঙ্গে আছি।

বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির লিফলেট বিতরণ করবে কেন? নির্বাচনের বিরুদ্ধে। অসহযোগ করবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। নির্বাচনী শান্তির পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা। আমরা এটুকুই বুঝি।

যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা এটাতো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা। কোনো প্রার্থী সহিংসতায় জড়ালে, নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নেবে- তা মেনে নেবে আওয়ামী লীগ।’

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সহিংসতা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে। যেহেতু এটি নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়, এটি স্বাধীন। আচরণবিধি যথাযথ প্রয়োগ, বিশৃঙ্খলা নিয়ে আইন প্রয়োগ করবে কমিশন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলায় আবর্ত হয়, নির্বাচন কমিশন তারা যে ব্যবস্থা নিবে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আপত্তি করবে না।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন হলে সেখানে সংঘাত একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো সংঘাতের শঙ্কা দেখছি না। এসব বিশৃঙ্খলা-সংঘাতের বিষয়ে আমাদের সভানেত্রী ‘জিরো টলারেন্স।’

আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রের নামে যদি কেউ সংঘাত তৈরি করে, বিশৃঙ্খলা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমরা দলীয়ভাবে চাইবো। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এখানে কে দলীয় প্রার্থী আর কে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেটা আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই।

ভোট কেন্দ্র দখল করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংখ্যালঘু হামলার ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে শ্রদ্ধাশীল, সহানুভূতিশীল। তারা আমাদের নাগরিক, আমাদের ভোটার। এমনকি তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও বড় ভূমিকা আছে। আমরা তাদের ভিন্ন কোনো চোখে দেখি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির জিরো টলারেন্স। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘যারা আসছে না, তারা বলতে পারবে কেন তারা ভোটে আসছে না। আমাদের সবকিছু শতভাগ পারফেক্ট, সে দাবিও আমরা করি না।’

এ সময় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে বিএনপির খাস দালাল বলে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভী (বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব) যা বলেন, তিনিও তাই বলেন।

নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, তাদের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। যারা নির্বাচনের পক্ষে তারাই আমন্ত্রণ পাবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত অভিযোগ সেটি কমিশন দেখবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে দেখার দায়িত্ব কমিশনের। আমি কোনো দল বুঝি না, ১৮৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিঘ্নিত হলে, প্রতিযোগিতায় বিশৃঙ্খলা হলে, কমিশন ব্যবস্থা নিলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আপত্তি করবে না। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ।