Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটের দিন কোনো কেন্দ্রে কারচুপি বা জবরদস্তি সিল মারা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে : সিইসি

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : 

ভোটের দিন কোনো কেন্দ্রে কারচুপি বা জবরদস্তি সিল মারা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের টাউন হলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোটের দিন কারচুপি বা জবরদস্তি করে সিল মারা হলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে। এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এবার খুবই কম। তবুও সুস্পষ্টভাবে প্রশাসনকে আমরা বলেছি, যদি ওই ধরনের কোনো ঘটনা কোনো সেন্টারে ঘটে তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট বন্ধ করে দিতে পারবে। বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি পারবেন না, তাকে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে, এটাই আইনের বিধান।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোট কেন্দ্রের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষা করবেন পোলিং এজেন্টরা। পোলিং এজেন্ট না রাখলে হবে না। নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে পোলিং এজেন্টকে ভেতরে থাকতেই হবে।

তিনি বলেন, পোলিং এজেন্ট না রেখে নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বলল আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাহলে তো হলো না। যদি কাউকে বের করে দেওয়া হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নালিশ করতে হবে। ভেতরে ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে প্রিজাইডিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন। ওই কেন্দ্রের ভোট আরেকবার নেব, প্রয়োজনে ১০ বার ভোট নেব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতি কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকবে। আনসার ও ভিডিপি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। তারা ১২ জন থাকবে, তাদের মাঝে কেউ কেউ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে। কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন থাকবে। যদি শুধু ১২ জন পুলিশ সদস্য থাকত, তাহলে প্রার্থীরা পুলিশকে হাত করতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রে যদি ৫টি বাহিনীর লোক থাকে, তাহলে কাউকে হাত করতে পারবে না। কাজেই সেখানে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাব থাকবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে। কাজেই কেন্দ্রের বাইরের যে অংশ, তা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুন্দর ভোট দিতে পারবে না যদি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতার নিয়ন-কানুন প্রতিপালন না করেন, তাহলে নির্বাচন অনিরপেক্ষ বা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। তাই নির্বাচন সুন্দর করতে প্রার্থীদের পরিপূর্ণ সহযোগিতা লাগবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের আস্থা দেওয়া হয়েছে, নিরপেক্ষ আচরণে কোনো রকম ব্যত্যয় হবে না। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোটের দিন, এ ১৫-২০ দিনে কি হলো একটা সময় গিয়ে সবাই তা ভুলে যাবে। কিন্তু ভোটের দিনের রেজাল্টটা কি হলো, পোলিংয়ে কোনো কারচুপি হলো কিনা, জবরদস্তি করে সিল মারা হলো ক-না, এটা সম্ভব হয়েছিল কিনা ? তাহলে সেটা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে নষ্ট করবে।

এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এবার খুবই কম। সুস্পষ্টভাবে প্রশাসনকে আমরা বলেছি, যদি ওই ধরনের কোনো ঘটনা কোনো সেন্টারে ঘটে তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট বন্ধ করে দিতে পারবে। বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি পারবেন না, তাকে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে, এটাই আইনের বিধান। রির্টানিং কর্মকর্তারা বা নির্বাচন কমিশন থেকে আমরাও যদি এ ধরনের কারচুপির ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পারি, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ সময় সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে পারছে কিনা, ভেতরে প্রবেশ করছেন কিনা, আবার যথা সময়ে তারা বেরিয়ে আসছে কিনা এবং বেরিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের তারা কি বলছেন, এটা দেখার বিষয়। যদি প্রায় সবাই বলে থাকে নির্বাচন আল্লাহর রহমতে ভালো হয়েছে, আমি আমার ভোট দিতে পারেছি। তাহলে ভোটের গ্রহযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আর যদি তারা বেরিয়ে এসে বলে ভেতরে ভোট দিতে পারলাম না, আমার ভোট কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমি সিল মারতে পারিনি। তাহলে ভোট বন্ধ হয়ে যাবে। এসব তথ্য আপনারা (গণমাধ্যম কর্মীরা) ভালো হোক, মন্দ হোক, নিবিঘ্নে জানাবে। এটা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা যেন সত্য হয়। আমি সার্টিফিকেট দিয়ে স্বচ্ছতা দিতে পারব না। দিলেও জনগণ বিশ্বাস করবে না। কাজেই গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি আমরা জানতে পারব- আসলে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হয়েছে কি-না। আমি বিশ্বাস করি নির্বাচনটা অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে। তবে ভোট এখানে দিলে ওখানে চলে যাবে, এগুলো অবান্তর প্রচারণা। এগুলো কেউ বিশ্বাস করবেন না, এটি সত্য নয়।

কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ওসি, এসপি, ডিআইজি, আইজি যিনিই যে কেন্দ্রেই যাক না কেন, খেলাটা হবে কিন্তু প্রার্থীদের মাঝে ভোটের দিন। কেন্দ্রের ভেতরে কিন্তু আইজি-ডিআইজি ঢুকতে পারবে না। শুধু রিটার্নিং অফিসার কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে। প্রিজাইডিং অফিসার যদি কেন্দ্রে তার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারে। তাহলে ওসি, ইউএনও, এসপি, ডিআইজি, কিছুই করতে পারবে না। আর যদি কেউ প্রভাব খাটাতে চায়, সে যেই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এ সময় আচরনবিধি লঙ্ঘন সর্ম্পকে সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছে না, এ কথাটা ঠিক নয়। আমরা শুনেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এটা নিয়ে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে এটা প্রার্থীদের খুব বিপর্যস্ত করতে পারবে না। কিন্তু ভোটের দিন যদি কারচুপি হয়, তাহলে ভোট অবাধ নিরপেক্ষ হবে না। তাই ভোট কেন্দ্রের ভেতরে কোনো রকম অন্যায় যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে পোলিং এজেন্টদের। তারাই কেন্দ্রের ভেতরে ভারসাম্য সৃষ্টি করবে। কোনো ওসি. ইউএনও, এসপি ও ডিসি কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে কিছুই করতে পারবে না। আর যদি কিছু করে থাকেন তাহলে এসপি বা ডিসি যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ ৬ জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর আগে নগরীর ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জেলার সব সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেনীর তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এক নম্বর হতে হবে : ফারুক-ই-আজম

ভোটের দিন কোনো কেন্দ্রে কারচুপি বা জবরদস্তি সিল মারা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০৬:০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : 

ভোটের দিন কোনো কেন্দ্রে কারচুপি বা জবরদস্তি সিল মারা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের টাউন হলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোটের দিন কারচুপি বা জবরদস্তি করে সিল মারা হলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে। এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এবার খুবই কম। তবুও সুস্পষ্টভাবে প্রশাসনকে আমরা বলেছি, যদি ওই ধরনের কোনো ঘটনা কোনো সেন্টারে ঘটে তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট বন্ধ করে দিতে পারবে। বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি পারবেন না, তাকে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে, এটাই আইনের বিধান।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোট কেন্দ্রের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষা করবেন পোলিং এজেন্টরা। পোলিং এজেন্ট না রাখলে হবে না। নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে পোলিং এজেন্টকে ভেতরে থাকতেই হবে।

তিনি বলেন, পোলিং এজেন্ট না রেখে নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বলল আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাহলে তো হলো না। যদি কাউকে বের করে দেওয়া হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নালিশ করতে হবে। ভেতরে ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে প্রিজাইডিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন। ওই কেন্দ্রের ভোট আরেকবার নেব, প্রয়োজনে ১০ বার ভোট নেব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতি কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকবে। আনসার ও ভিডিপি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। তারা ১২ জন থাকবে, তাদের মাঝে কেউ কেউ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে। কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন থাকবে। যদি শুধু ১২ জন পুলিশ সদস্য থাকত, তাহলে প্রার্থীরা পুলিশকে হাত করতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রে যদি ৫টি বাহিনীর লোক থাকে, তাহলে কাউকে হাত করতে পারবে না। কাজেই সেখানে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাব থাকবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে। কাজেই কেন্দ্রের বাইরের যে অংশ, তা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুন্দর ভোট দিতে পারবে না যদি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতার নিয়ন-কানুন প্রতিপালন না করেন, তাহলে নির্বাচন অনিরপেক্ষ বা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। তাই নির্বাচন সুন্দর করতে প্রার্থীদের পরিপূর্ণ সহযোগিতা লাগবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের আস্থা দেওয়া হয়েছে, নিরপেক্ষ আচরণে কোনো রকম ব্যত্যয় হবে না। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোটের দিন, এ ১৫-২০ দিনে কি হলো একটা সময় গিয়ে সবাই তা ভুলে যাবে। কিন্তু ভোটের দিনের রেজাল্টটা কি হলো, পোলিংয়ে কোনো কারচুপি হলো কিনা, জবরদস্তি করে সিল মারা হলো ক-না, এটা সম্ভব হয়েছিল কিনা ? তাহলে সেটা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে নষ্ট করবে।

এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এবার খুবই কম। সুস্পষ্টভাবে প্রশাসনকে আমরা বলেছি, যদি ওই ধরনের কোনো ঘটনা কোনো সেন্টারে ঘটে তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট বন্ধ করে দিতে পারবে। বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি পারবেন না, তাকে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে, এটাই আইনের বিধান। রির্টানিং কর্মকর্তারা বা নির্বাচন কমিশন থেকে আমরাও যদি এ ধরনের কারচুপির ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পারি, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ সময় সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে পারছে কিনা, ভেতরে প্রবেশ করছেন কিনা, আবার যথা সময়ে তারা বেরিয়ে আসছে কিনা এবং বেরিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের তারা কি বলছেন, এটা দেখার বিষয়। যদি প্রায় সবাই বলে থাকে নির্বাচন আল্লাহর রহমতে ভালো হয়েছে, আমি আমার ভোট দিতে পারেছি। তাহলে ভোটের গ্রহযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আর যদি তারা বেরিয়ে এসে বলে ভেতরে ভোট দিতে পারলাম না, আমার ভোট কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমি সিল মারতে পারিনি। তাহলে ভোট বন্ধ হয়ে যাবে। এসব তথ্য আপনারা (গণমাধ্যম কর্মীরা) ভালো হোক, মন্দ হোক, নিবিঘ্নে জানাবে। এটা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা যেন সত্য হয়। আমি সার্টিফিকেট দিয়ে স্বচ্ছতা দিতে পারব না। দিলেও জনগণ বিশ্বাস করবে না। কাজেই গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি আমরা জানতে পারব- আসলে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হয়েছে কি-না। আমি বিশ্বাস করি নির্বাচনটা অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে। তবে ভোট এখানে দিলে ওখানে চলে যাবে, এগুলো অবান্তর প্রচারণা। এগুলো কেউ বিশ্বাস করবেন না, এটি সত্য নয়।

কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ওসি, এসপি, ডিআইজি, আইজি যিনিই যে কেন্দ্রেই যাক না কেন, খেলাটা হবে কিন্তু প্রার্থীদের মাঝে ভোটের দিন। কেন্দ্রের ভেতরে কিন্তু আইজি-ডিআইজি ঢুকতে পারবে না। শুধু রিটার্নিং অফিসার কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে। প্রিজাইডিং অফিসার যদি কেন্দ্রে তার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারে। তাহলে ওসি, ইউএনও, এসপি, ডিআইজি, কিছুই করতে পারবে না। আর যদি কেউ প্রভাব খাটাতে চায়, সে যেই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এ সময় আচরনবিধি লঙ্ঘন সর্ম্পকে সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছে না, এ কথাটা ঠিক নয়। আমরা শুনেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এটা নিয়ে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে এটা প্রার্থীদের খুব বিপর্যস্ত করতে পারবে না। কিন্তু ভোটের দিন যদি কারচুপি হয়, তাহলে ভোট অবাধ নিরপেক্ষ হবে না। তাই ভোট কেন্দ্রের ভেতরে কোনো রকম অন্যায় যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে পোলিং এজেন্টদের। তারাই কেন্দ্রের ভেতরে ভারসাম্য সৃষ্টি করবে। কোনো ওসি. ইউএনও, এসপি ও ডিসি কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে কিছুই করতে পারবে না। আর যদি কিছু করে থাকেন তাহলে এসপি বা ডিসি যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ ৬ জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর আগে নগরীর ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জেলার সব সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।