Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। ১০ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু এবং ৬ হাজার ২০০ জন নারী।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেখানে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনির ওপর বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক শতাংশই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া ৩১০ জন চিকিৎসা কর্মী, ৩৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৯৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

টানা আড়াই মাস ধরে নিরলস ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রায় ৩ লাখ ৮ হাজার আবাসন ইউনিট ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অফিস জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ১১৪টি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং ২০০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া উপত্যকার চারটি গির্জাকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ১২৬টি সরকারি ভবন ধ্বংস করেছে এবং হামলায় ২৮৩টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯০টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, বুধবার গাজাজুড়ে বিমান হামলা অব্যাহত ছিল এবং উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক রিচার্ড ব্রেনান বলেছেন, তিনি গাজার হতাহতের পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে করেন।

যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতদের সঠিক সংখ্যা গণনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকেই চাপা পড়ে থাকতে পারেন বা অনেক মৃতদেহই হাসপাতালে নেওয়া হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তারা ২৪ ঘণ্টায় হামাসের তিন শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালিয়েছে। যদিও এসব হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার

প্রকাশের সময় : ১০:৪০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। ১০ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৮ হাজার শিশু এবং ৬ হাজার ২০০ জন নারী।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেখানে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনির ওপর বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক শতাংশই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া ৩১০ জন চিকিৎসা কর্মী, ৩৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৯৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

টানা আড়াই মাস ধরে নিরলস ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রায় ৩ লাখ ৮ হাজার আবাসন ইউনিট ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অফিস জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ১১৪টি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং ২০০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া উপত্যকার চারটি গির্জাকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ১২৬টি সরকারি ভবন ধ্বংস করেছে এবং হামলায় ২৮৩টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯০টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, বুধবার গাজাজুড়ে বিমান হামলা অব্যাহত ছিল এবং উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক রিচার্ড ব্রেনান বলেছেন, তিনি গাজার হতাহতের পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে করেন।

যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতদের সঠিক সংখ্যা গণনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকেই চাপা পড়ে থাকতে পারেন বা অনেক মৃতদেহই হাসপাতালে নেওয়া হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তারা ২৪ ঘণ্টায় হামাসের তিন শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালিয়েছে। যদিও এসব হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিক।