Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, ভোটাররাও আসবেন : সিইসি

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রার্থীসহ আমরা সবাই মিলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং ভোটাররাও আসবেন। এই বিশ্বাস ও প্রত্যয় আমাদের আছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। কিন্ত আমরা, প্রার্থীরা সকলে মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবেই এবং ভোটাররা আসবেন। সেই বিশ্বাস, প্রত্যয় আমাদের আছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। তারা অনন্ত আন্তরিক। তারা কিছু সমস্যার কথা বলেছেন যা স্থানীয় প্রশাসনসহ আমরা শুনেছি। সেই সমস্যাগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে কীভাবে নিরসন করা যায়, সেই গাইডলাইন আমরা দিয়েছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আশা করি উনারা (প্রার্থীরা) আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পালনে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন ও কোনো ধরনের সহিংসতা হলে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যদি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে বা ব্যত্যয় হয়ে থাকে অথবা কোনো রকম সহিংসতা হয়ে থাকে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই মর্মে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকলের চেষ্টায় নির্বাচন সফল হবে।

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনে যারা প্রার্থী তাদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। মতবিনিময়ে প্রার্থীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। কীভাবে সেগুলো নিরসন করা যায় সেই গাইডলাইন প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে চলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে সিইসি আরও বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রথমে সতর্ক করা হবে। কিন্তু একই ঘটনা ঘটতে থাকলে প্রার্থিতা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না কমিশন। তাই প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে চলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কেননা, প্রার্থীরা যদি আন্তরিক না হন, তারা যদি সচেতন না হন, তাদের যদি পারস্পরিক আস্থা না থাকে, সঠিক আচরণ না করেন তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তবে প্রার্থীরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করবেন বলে কথা দিয়েছেন। ফলে এবারে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা করছি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, ভোটাররাও আসবেন : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রার্থীসহ আমরা সবাই মিলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং ভোটাররাও আসবেন। এই বিশ্বাস ও প্রত্যয় আমাদের আছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। কিন্ত আমরা, প্রার্থীরা সকলে মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবেই এবং ভোটাররা আসবেন। সেই বিশ্বাস, প্রত্যয় আমাদের আছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। তারা অনন্ত আন্তরিক। তারা কিছু সমস্যার কথা বলেছেন যা স্থানীয় প্রশাসনসহ আমরা শুনেছি। সেই সমস্যাগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে কীভাবে নিরসন করা যায়, সেই গাইডলাইন আমরা দিয়েছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আশা করি উনারা (প্রার্থীরা) আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পালনে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন ও কোনো ধরনের সহিংসতা হলে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যদি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে বা ব্যত্যয় হয়ে থাকে অথবা কোনো রকম সহিংসতা হয়ে থাকে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই মর্মে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকলের চেষ্টায় নির্বাচন সফল হবে।

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনে যারা প্রার্থী তাদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। মতবিনিময়ে প্রার্থীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। কীভাবে সেগুলো নিরসন করা যায় সেই গাইডলাইন প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে চলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে সিইসি আরও বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রথমে সতর্ক করা হবে। কিন্তু একই ঘটনা ঘটতে থাকলে প্রার্থিতা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না কমিশন। তাই প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে চলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কেননা, প্রার্থীরা যদি আন্তরিক না হন, তারা যদি সচেতন না হন, তাদের যদি পারস্পরিক আস্থা না থাকে, সঠিক আচরণ না করেন তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তবে প্রার্থীরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করবেন বলে কথা দিয়েছেন। ফলে এবারে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা করছি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রমুখ।