Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইপিএলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় কামিন্স

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৮৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড পারিশ্রমিকে বিক্রি হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। আইপিএল নিলামে যে ঝড় তুলতে যাচ্ছেন তিনি, তা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। ২ কোটি রুপির ভিত্তিমূল্যের কামিন্সকে কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজি। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপি খরচ করে দলে ভেড়াতে হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় আইপিএলের খেলোয়াড় নিলাম শুরু হয়। সেখানে ফ্রাঞ্চাইজিটির ইতিহাসে রেকর্ড পারিশ্রমিকে কামিন্সকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

আইপিএলের ইতিহাসে রীতিমত রেকর্ড গড়লেন প্যাট কামিন্স। আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটার ছিলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারান। ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ রুপিতে তাকে কিনেছিল পঞ্জাব কিংস। এবার কারেনকে টপকে গেলেন প্যাট কামিন্স। গড়লেন আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার রেকর্ড। আইপিএলে এর আগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন অজি অধিনায়ক।

প্রথমে কামিন্সকে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে লড়াই চলে। ৬ কোটি দাম ওঠার পরে লড়াই থেকে সরে যায় মুম্বাই।

সেখানে অবশ্য লড়াই শেষ হয়নি। এরপর আসরে নেমে আসে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। তাদের সঙ্গে চেন্নাইয়ের লড়াই শুরু হয়। সেই লড়াইও বেশ কিছুক্ষণ চলে। ১৩ কোটি টাকা পর্যন্ত ওঠে দু’দল। এরপর সেখান সরে আসে চেন্নাই। তারপর আরসিবির সঙ্গে লড়াই শুরু করে হায়দরাবাদ। দু’দলের কেউই হাল ছাড়তে চাইছিল না। তর তর করে দাম উঠছিল।

একটা সময় পর কারেনের ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি ছাপিয়ে যান কামিন্স। তারপরও শেষ হয়নি লড়াই। দাম ২০ কোটি ছাপিয়ে যায়। শেষে রণে ভঙ্গ দেয় আরসিবি। ২০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপিতে কামিন্সকে কিনে গর্বের হাসি দেখা যায় হায়দরাবাদের মালিক কাব্য মারানের মুখে।

কামিন্সের আগেও হায়দরাবাদ দলে ভিড়িয়েছে আরও এক বিশ্বকাপজয়ীকে। ফাইনাল ও সেমিফাইনালে ম্যাচসেরা হওয়া ট্রাভিস হেডকে ৬ কোটি ৮০ লাখ রুপি দিয়ে কিনেছে তারা। ৭.৪ কোটিতে রভম্যান পাওয়েলকে রাজস্থান রয়্যালস, ৪ কোটিতে হ্যারি ব্রুককে দিল্লি ক্যাপিটালস, ৫ কোটিতে জেরাল্ড কোতজিয়াকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দেড় কোটিতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে হায়দরাবাদ, ১.৮ কোটিতে রাচিন রবীন্দ্রকে চেন্নাই সুপার কিংস ও ১১.৭৫ কোটিতে হার্শাল প্যাটেলকে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব কিংস।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলামে প্রায় ২৬৩ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এবারই প্রথম মিনি অকশনে এতো অর্থ খরচ করতে পারছে দলগুলো। দশ ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্য থেকে এই নিলামে সবচেয়ে বেশি ৩৮ কোটি ১৫ লাখ রুপি খরচ করতে পারবে গুজরাট টাইটান্স। এবার আইপিএলের মিনি অকশনে থাকছেন ৩৩৩ ক্রিকেটার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আইপিএলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় কামিন্স

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড পারিশ্রমিকে বিক্রি হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। আইপিএল নিলামে যে ঝড় তুলতে যাচ্ছেন তিনি, তা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। ২ কোটি রুপির ভিত্তিমূল্যের কামিন্সকে কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজি। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপি খরচ করে দলে ভেড়াতে হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় আইপিএলের খেলোয়াড় নিলাম শুরু হয়। সেখানে ফ্রাঞ্চাইজিটির ইতিহাসে রেকর্ড পারিশ্রমিকে কামিন্সকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

আইপিএলের ইতিহাসে রীতিমত রেকর্ড গড়লেন প্যাট কামিন্স। আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটার ছিলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারান। ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ রুপিতে তাকে কিনেছিল পঞ্জাব কিংস। এবার কারেনকে টপকে গেলেন প্যাট কামিন্স। গড়লেন আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার রেকর্ড। আইপিএলে এর আগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন অজি অধিনায়ক।

প্রথমে কামিন্সকে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে লড়াই চলে। ৬ কোটি দাম ওঠার পরে লড়াই থেকে সরে যায় মুম্বাই।

সেখানে অবশ্য লড়াই শেষ হয়নি। এরপর আসরে নেমে আসে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। তাদের সঙ্গে চেন্নাইয়ের লড়াই শুরু হয়। সেই লড়াইও বেশ কিছুক্ষণ চলে। ১৩ কোটি টাকা পর্যন্ত ওঠে দু’দল। এরপর সেখান সরে আসে চেন্নাই। তারপর আরসিবির সঙ্গে লড়াই শুরু করে হায়দরাবাদ। দু’দলের কেউই হাল ছাড়তে চাইছিল না। তর তর করে দাম উঠছিল।

একটা সময় পর কারেনের ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি ছাপিয়ে যান কামিন্স। তারপরও শেষ হয়নি লড়াই। দাম ২০ কোটি ছাপিয়ে যায়। শেষে রণে ভঙ্গ দেয় আরসিবি। ২০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপিতে কামিন্সকে কিনে গর্বের হাসি দেখা যায় হায়দরাবাদের মালিক কাব্য মারানের মুখে।

কামিন্সের আগেও হায়দরাবাদ দলে ভিড়িয়েছে আরও এক বিশ্বকাপজয়ীকে। ফাইনাল ও সেমিফাইনালে ম্যাচসেরা হওয়া ট্রাভিস হেডকে ৬ কোটি ৮০ লাখ রুপি দিয়ে কিনেছে তারা। ৭.৪ কোটিতে রভম্যান পাওয়েলকে রাজস্থান রয়্যালস, ৪ কোটিতে হ্যারি ব্রুককে দিল্লি ক্যাপিটালস, ৫ কোটিতে জেরাল্ড কোতজিয়াকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দেড় কোটিতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে হায়দরাবাদ, ১.৮ কোটিতে রাচিন রবীন্দ্রকে চেন্নাই সুপার কিংস ও ১১.৭৫ কোটিতে হার্শাল প্যাটেলকে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব কিংস।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলামে প্রায় ২৬৩ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এবারই প্রথম মিনি অকশনে এতো অর্থ খরচ করতে পারছে দলগুলো। দশ ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্য থেকে এই নিলামে সবচেয়ে বেশি ৩৮ কোটি ১৫ লাখ রুপি খরচ করতে পারবে গুজরাট টাইটান্স। এবার আইপিএলের মিনি অকশনে থাকছেন ৩৩৩ ক্রিকেটার।