আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেনীয় একটি গ্রামের একজন কাউন্সিলর একটি সভায় সহকর্মীদের দিকে হ্যান্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন। এতে ২৬ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জাকারপাত্তিয়া অঞ্চলের কেরেতস্কি গ্রাম কাউন্সিলের দপ্তরে এই হামলা হয়।
কাউন্সিলর কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন, এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইউক্রেনের পুলিশ বলছে, এসবিইউ সিকিউরিটি সার্ভিস ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে তদন্ত করবে।
ঘটনাটি যখন ঘটে তখন বৈঠকটি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিম করা হচ্ছিল। কাউন্সিলররা নতুন বছর ২০২৪ সালের জন্য তাদের বাজেটের পাশাপাশি এই বছরের আর্থিক ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া কাউন্সিলপ্রধানকে একটি বোনাস প্রদানের বিষয়ে ভোট গ্রহণের বিষয়ে উত্তপ্ত আলোচনা করছিলেন তারা।
টেলিগ্রামে পুলিশের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কাউন্সিলের সভায় উত্তপ্ত আলোচনার সময় কালো পোশাক পরা একজন ব্যক্তি কক্ষের দরজায় প্রবেশ করছেন। তারপরে তিনি তাঁর পকেট থেকে তিনটি হ্যান্ডগ্রেনেড বের করেন, সেফটি পিনগুলো খুলেন এবং সেগুলোকে মেঝেতে ছুড়ে মারেন।
এর পর ‘মে আই, মে আই?’ চিৎকার করে লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঘরের মাঝখানে গ্রেনেডগুলো ছুড়ে মারে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো বিস্ফোরিত হয়। এতে ২৬ জন আহত হন। যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ২৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকরা গ্রেনেড নিক্ষেপকারী ব্যক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অনেকের অস্ত্র রাখার সুযোগ রয়েছে।