Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিআইবি বিএনপির শাখা হয়ে গেছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে সন্ত্রাস সহিংসতা হচ্ছে, অন্যদিকে ভয়ঙ্কর গুজবের ডালপালা বিস্তার করা হচ্ছে। মানবাধিকারের প্রবক্তা টিআইবি বিএনপির ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে আছে। টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন হয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ২৮টি দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরও টিআইবি কীভাবে বলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না?

টিআইবির মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাদের বলেন, আমাদের দেশে যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা বলে দাবি করেন যেমন টিআইবি। তারা বলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। এবার ২৮টি নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তারপরও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেন হবে না?

টিআইবির কাছে জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘টিআইবি বলেছে, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি বিবেচনায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা এবারও হবে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বুঝায়? ২৮টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে আসছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল দূরে রয়েছে। এখন বিএনপি না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণ হবে না তার মানে কী? টিআইবি কী বিএনপির শাখা সংগঠন যে একই সুরে কথা বলছে?

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা জেনে শুনেই এটা করছে। বিএনপি ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে অন্ধ হয়ে কেউ কেউ এমন কথা বলছে। টিআইবি উদ্ভট উদ্ভট বিষয়ে কথা বলছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ। সরকারি দল হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। যে কোনো মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে রেকর্ড করতে চায় আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে না আওয়ামী লীগ।

শরিকদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিযোগিতা হউক, এখানে পক্ষপাতিত্বের কি আছে? আমরা জোড় করে কারো বিজয় ছিনিয়ে আনবো না। আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারবো না।

তিনি বলেন, আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, আমার বিরুদ্ধেও চার জন আছে। এখন কেউ যদি জিতে যায়, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।

শরীকদের সাথে সাথে আলাপ আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা সবাই আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেন, এখানে আমরা এই সময়ে আমাদের এই এলায়েন্স টা কে যতটা রাজনৈতিক মূল্য দিচ্ছি, এখানে আসনের বিষয়টা মূখ্য না। এখানে মূখ্য হচ্ছে রাজনীতি। জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এই ইলেকশন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে এই অপশক্তি কে আমাদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনে আসেনি। তারা নাশকতা করছে, কতদিন করবে? নাশকতা জনগণ সমর্থন করে না। বিএনপিকে এই নাশকতার জন্যেই তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত করতে পারেনি। এই সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের আন্দোলনে জনগণ ছিলো? তাদের কর্মীরা ছিলো? সামনের দিকে তাদের এ জনবিচ্ছিন্নতা আরও বাড়বে।

এবারের নির্বাচনকে নিরপেক্ষতার রেকর্ড হিসেবে রাখার কথাও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই নির্বাচনকে আমরা সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ করে রেকর্ড রাখতে চাই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আমাদের দায়িত্ব। কারণ আমরা সরকারি দল। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলতে হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

টিআইবি বিএনপির শাখা হয়ে গেছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:২২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে সন্ত্রাস সহিংসতা হচ্ছে, অন্যদিকে ভয়ঙ্কর গুজবের ডালপালা বিস্তার করা হচ্ছে। মানবাধিকারের প্রবক্তা টিআইবি বিএনপির ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে আছে। টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন হয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ২৮টি দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরও টিআইবি কীভাবে বলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না?

টিআইবির মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাদের বলেন, আমাদের দেশে যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা বলে দাবি করেন যেমন টিআইবি। তারা বলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। এবার ২৮টি নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তারপরও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেন হবে না?

টিআইবির কাছে জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘টিআইবি বলেছে, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি বিবেচনায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা এবারও হবে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বুঝায়? ২৮টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে আসছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল দূরে রয়েছে। এখন বিএনপি না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণ হবে না তার মানে কী? টিআইবি কী বিএনপির শাখা সংগঠন যে একই সুরে কথা বলছে?

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা জেনে শুনেই এটা করছে। বিএনপি ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে অন্ধ হয়ে কেউ কেউ এমন কথা বলছে। টিআইবি উদ্ভট উদ্ভট বিষয়ে কথা বলছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ। সরকারি দল হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। যে কোনো মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে রেকর্ড করতে চায় আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে না আওয়ামী লীগ।

শরিকদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিযোগিতা হউক, এখানে পক্ষপাতিত্বের কি আছে? আমরা জোড় করে কারো বিজয় ছিনিয়ে আনবো না। আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারবো না।

তিনি বলেন, আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, আমার বিরুদ্ধেও চার জন আছে। এখন কেউ যদি জিতে যায়, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে সেটা আমরা মেনে নিয়েছি।

শরীকদের সাথে সাথে আলাপ আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা সবাই আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেন, এখানে আমরা এই সময়ে আমাদের এই এলায়েন্স টা কে যতটা রাজনৈতিক মূল্য দিচ্ছি, এখানে আসনের বিষয়টা মূখ্য না। এখানে মূখ্য হচ্ছে রাজনীতি। জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এই ইলেকশন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে এই অপশক্তি কে আমাদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনে আসেনি। তারা নাশকতা করছে, কতদিন করবে? নাশকতা জনগণ সমর্থন করে না। বিএনপিকে এই নাশকতার জন্যেই তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত করতে পারেনি। এই সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের আন্দোলনে জনগণ ছিলো? তাদের কর্মীরা ছিলো? সামনের দিকে তাদের এ জনবিচ্ছিন্নতা আরও বাড়বে।

এবারের নির্বাচনকে নিরপেক্ষতার রেকর্ড হিসেবে রাখার কথাও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই নির্বাচনকে আমরা সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ করে রেকর্ড রাখতে চাই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আমাদের দায়িত্ব। কারণ আমরা সরকারি দল। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলতে হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।