Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উখিয়ায় নতুন-পুরাতন রোহিঙ্গাদের গোলাগুলিতে নিহত ৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের অস্ত্রধারি দুই পক্ষ রোহিঙ্গাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ৩জন নিহত এবং একজনের গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। গোলাগুলিতে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশী হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম রাত ৯টায় চারজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে চার জন রোহিঙ্গা নিহতের প্রাথমিক খবর মিলেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক বলে জানা গেছে।

নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা মুন্নার দুই ভাই মোহাম্মদুল্লাহ এবং গিয়াসুদ্দিন রয়েছে বলে জানা গেছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে নতুন আসা রোহিঙ্গা এবং পুরানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। তাদের এক গ্রুপে মুন্না বাহিনী এবং অপর গ্রুপে আনাস বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। দুই গ্রুপের মধ্যে গত ছয় দিনে এক নারীসহ আট জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা সহায়তা প্রকল্পের মেয়াদ ও অনুদান বাড়ছে

রাত সোয়া ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন পাঠানো পর্যন্তও কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকাসহ শিবিরের বিশাল পাহাড়ী এলাকা জুড়ে গোলাগুলি চলছে। সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের মুর্হুমুর্হু গোলাগুলির কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা পর্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর পরই কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনার পর পরই শিবিরের শত শত রোহিঙ্গা নিজেদের বস্তি ছেড়ে পালিয়ে যেত শুরু করেছে। শিবির ছেড়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় গ্রাম এলাকায়। গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কুতুপালং ২ নম্বর শিবিরের দুই শতাধিক পরিবারের রোহিঙ্গাদের পার্শ্ববর্তী শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের গলাকাটা ও অপর ৩ জন গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় একজন আনসার সদস্য আহত রয়েছে। সংঘর্ষ এখনো চলমান রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উখিয়ায় নতুন-পুরাতন রোহিঙ্গাদের গোলাগুলিতে নিহত ৪

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের অস্ত্রধারি দুই পক্ষ রোহিঙ্গাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ৩জন নিহত এবং একজনের গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। গোলাগুলিতে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশী হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম রাত ৯টায় চারজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে চার জন রোহিঙ্গা নিহতের প্রাথমিক খবর মিলেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক বলে জানা গেছে।

নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা মুন্নার দুই ভাই মোহাম্মদুল্লাহ এবং গিয়াসুদ্দিন রয়েছে বলে জানা গেছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে নতুন আসা রোহিঙ্গা এবং পুরানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। তাদের এক গ্রুপে মুন্না বাহিনী এবং অপর গ্রুপে আনাস বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। দুই গ্রুপের মধ্যে গত ছয় দিনে এক নারীসহ আট জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা সহায়তা প্রকল্পের মেয়াদ ও অনুদান বাড়ছে

রাত সোয়া ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন পাঠানো পর্যন্তও কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকাসহ শিবিরের বিশাল পাহাড়ী এলাকা জুড়ে গোলাগুলি চলছে। সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের মুর্হুমুর্হু গোলাগুলির কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা পর্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর পরই কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনার পর পরই শিবিরের শত শত রোহিঙ্গা নিজেদের বস্তি ছেড়ে পালিয়ে যেত শুরু করেছে। শিবির ছেড়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় গ্রাম এলাকায়। গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কুতুপালং ২ নম্বর শিবিরের দুই শতাধিক পরিবারের রোহিঙ্গাদের পার্শ্ববর্তী শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের গলাকাটা ও অপর ৩ জন গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় একজন আনসার সদস্য আহত রয়েছে। সংঘর্ষ এখনো চলমান রয়েছে।