Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন্নিকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: আত্মহত্যা করেছিলেন!

ইবি ছাত্রী তিন্নি

রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির শরীরে ধর্ষণ বা নির্যাতনের আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর এই তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসক। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন্নি ‘ঝুলন্ত অবস্থায় আত্মহত্যা’ করেছিলেন।

কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিন্নির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া যায়নি। এটি একটি ‘ঝুলন্ত অবস্থায় আত্মহত্যা’। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্বাস করতে পারছেন না তিন্নির স্বজনরা। স্বজনদের অভিযোগ, সাবেক দুলাভাই জামিরুল ও তাঁর সহযোগীরা জোর করে বাড়িতে ঢুকে তিন্নির শোবার ঘরে ঢুকে তাঁকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করে। এর পরই আত্মহত্যা করে তিন্নি।

আরও পড়ুন : সেই রাতে তিন্নির ঘরে কী ঘটেছিল?

তিন্নির বড় বোন মুন্নি তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, আমি এই প্রতিবেদন বিশ্বাস করতে পারছি না। ভাবছি, টাকা-পয়সা দিয়ে এটা পরিবর্তন করা হলো কি না। কারণ তিন্নির রুমে আমি তাকে (জামিরুল) চাক্ষুষ দেখেছি। তাই আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কিছু একটা না ঘটলে তিন্নি আত্মহত্যা করবে।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া এলাকায় নিজেদের দোতলা বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে তিন্নিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। শেখপাড়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর মেয়ে তিন্নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

তিন্নিকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি: আত্মহত্যা করেছিলেন!

প্রকাশের সময় : ১২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির শরীরে ধর্ষণ বা নির্যাতনের আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর এই তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসক। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন্নি ‘ঝুলন্ত অবস্থায় আত্মহত্যা’ করেছিলেন।

কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিন্নির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া যায়নি। এটি একটি ‘ঝুলন্ত অবস্থায় আত্মহত্যা’। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্বাস করতে পারছেন না তিন্নির স্বজনরা। স্বজনদের অভিযোগ, সাবেক দুলাভাই জামিরুল ও তাঁর সহযোগীরা জোর করে বাড়িতে ঢুকে তিন্নির শোবার ঘরে ঢুকে তাঁকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করে। এর পরই আত্মহত্যা করে তিন্নি।

আরও পড়ুন : সেই রাতে তিন্নির ঘরে কী ঘটেছিল?

তিন্নির বড় বোন মুন্নি তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, আমি এই প্রতিবেদন বিশ্বাস করতে পারছি না। ভাবছি, টাকা-পয়সা দিয়ে এটা পরিবর্তন করা হলো কি না। কারণ তিন্নির রুমে আমি তাকে (জামিরুল) চাক্ষুষ দেখেছি। তাই আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কিছু একটা না ঘটলে তিন্নি আত্মহত্যা করবে।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া এলাকায় নিজেদের দোতলা বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে তিন্নিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। শেখপাড়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর মেয়ে তিন্নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।