Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) অভ্যন্তরীণ বিষয়ের রেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলটির কোনো টানাপোড়েন সৃষ্টি হবে না। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দপ্তর উপ-কমিটির সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আশঙ্কা আছে, আমাদের দলের অনেকেরই আশঙ্কা আছে; দেশের জনগণের মধ্যেও এটা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। কিন্তু এটা চূড়ান্ত কথা হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা বিবেচনায় আনতে পারছি না।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদের অনুরোধের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, রওশন এরশাদ এখনো বিরোধী দলীয় নেতা। আমাদের সংসদ কিন্তু ভেঙে দেওয়া হয়নি। সে হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতা সংসদীয় দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতেই পারেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে শুধুমাত্র একটা কথাতেই টানাপোড়েন আসবে এমনটি নয়। প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ তার ক্ষোভের কথা জানাতে পারেন এবং তার সঙ্গে যারা নেই, তাদের বিরুদ্ধে তিনি বলতে পারেন। কিন্তু একটি পার্টি হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে অ্যালাইন্স থাকবে না বা আমরা ইলেকশন করব না; এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আমাদের হয়নি। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা এখনই শেষ কথা বলতে পারছি না।

তিনি বলেন, ডেমোক্রেসিতে অনেক কিছু সম্ভব। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বয়কট করা, ওয়াকআউট করা- এসব বিষয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সব জায়গাতেই আছে। কী হবে এটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমি কী করে বলবো তারা সরে যাবে। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের। তবে সেনাবাহিনীকে সব বিষয়ে বিতর্কিত করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র করছে। এতে কিছু বিদেশিরও হাত আছে। এ ক্ষেত্রে তাদের এই অঞ্চলে সামরিক দিক থেকে আধিপত্য বিস্তার ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আরেকটি চমৎকার সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দেওয়ার এই কঠিন লড়াইয়ে কান্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সংকট পেরিয়ে যেতে যে দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, সেটিকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে এগিয়ে যেতে হবে। এর কোনো রকম ব্যত্যয় হওয়া যাবে না।

নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না। জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দেবে। এখনও বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়নি, সুপ্ত আছে। সেই হিসেবে সংসদীয় দলের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের দলের অভ্যন্তরীণ কথা বলেছেন। শুধু একটি কথাতেই জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন আসবে, এমনটি নয়। দল হিসেবে জাপার সঙ্গে এলায়েন্স হবে না, এটা এখনও প্রধানমন্ত্রী বলেননি।

এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোন চেয়ারম্যান কাজে জাফরুল্লাহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) অভ্যন্তরীণ বিষয়ের রেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলটির কোনো টানাপোড়েন সৃষ্টি হবে না। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দপ্তর উপ-কমিটির সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আশঙ্কা আছে, আমাদের দলের অনেকেরই আশঙ্কা আছে; দেশের জনগণের মধ্যেও এটা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। কিন্তু এটা চূড়ান্ত কথা হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা বিবেচনায় আনতে পারছি না।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদের অনুরোধের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, রওশন এরশাদ এখনো বিরোধী দলীয় নেতা। আমাদের সংসদ কিন্তু ভেঙে দেওয়া হয়নি। সে হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতা সংসদীয় দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতেই পারেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে শুধুমাত্র একটা কথাতেই টানাপোড়েন আসবে এমনটি নয়। প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ তার ক্ষোভের কথা জানাতে পারেন এবং তার সঙ্গে যারা নেই, তাদের বিরুদ্ধে তিনি বলতে পারেন। কিন্তু একটি পার্টি হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে অ্যালাইন্স থাকবে না বা আমরা ইলেকশন করব না; এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আমাদের হয়নি। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা এখনই শেষ কথা বলতে পারছি না।

তিনি বলেন, ডেমোক্রেসিতে অনেক কিছু সম্ভব। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বয়কট করা, ওয়াকআউট করা- এসব বিষয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সব জায়গাতেই আছে। কী হবে এটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমি কী করে বলবো তারা সরে যাবে। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের। তবে সেনাবাহিনীকে সব বিষয়ে বিতর্কিত করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র করছে। এতে কিছু বিদেশিরও হাত আছে। এ ক্ষেত্রে তাদের এই অঞ্চলে সামরিক দিক থেকে আধিপত্য বিস্তার ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আরেকটি চমৎকার সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দেওয়ার এই কঠিন লড়াইয়ে কান্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সংকট পেরিয়ে যেতে যে দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, সেটিকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে এগিয়ে যেতে হবে। এর কোনো রকম ব্যত্যয় হওয়া যাবে না।

নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না। জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দেবে। এখনও বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়নি, সুপ্ত আছে। সেই হিসেবে সংসদীয় দলের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের দলের অভ্যন্তরীণ কথা বলেছেন। শুধু একটি কথাতেই জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন আসবে, এমনটি নয়। দল হিসেবে জাপার সঙ্গে এলায়েন্স হবে না, এটা এখনও প্রধানমন্ত্রী বলেননি।

এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোন চেয়ারম্যান কাজে জাফরুল্লাহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।