Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামলা করলে মামলা হবেই, কোনো ছাড়াছাড়ি নেই : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, হামলা করলে মামলা হবেই। আর মামলা হলে গ্রেপ্তার হবে, সাজা হবে। কোনো ছাড়াছাড়ি নেই।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পুলিশ মারবেন আর এটা কি বিনা বিচারে যাবে? এমন ঘটনা যারা ঘটায় তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? হামলা আমরা করি না, হামলা করে তারা (বিএনপি)। আর হামলা হলে মামলা হবেই। ছাড়াছাড়ি নেই।

তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে তো জোর করে আর নির্বাচনে আনা যায় না। পৃথিবীর কোথায় আছে যে ইনকামবেন্ট সরকার হঠাৎ ত্যাগ করে নির্বাচন দেয়? আমাদের দেশে কেন হবে? তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। তারা মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়।

তিনি আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তো জোর করে আর নির্বাচনে আনা যায় না। পৃথিবীর কোথায় আছে যে হঠাৎ সরকার ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়? তাহলে আমাদের দেশে কেন হবে? তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। তারা মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সারা বিশ্বে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, এখানেও সেই একই পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে। ২০০৯ সালের পরে শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন। এখন যদি তারা নির্বাচনে না আসে, তাহলে আমরা কী করতে পারি?

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী শক্তি বিএনপির নেতৃত্বে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করতে হবে। আমরা সতর্ক থাকব কারণ এই নির্বাচন আমাদের সংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নব নব বিজয় অর্জন করতে এই নির্বাচন আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন। যথাসময়ে পাঁচ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে এটাই গণতন্ত্রের বিউটি। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই চোখে পড়ার মতো হবে। দৃশ্যমানভাবে ভোটার উপস্থিতি দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় ভালো হবে বলে বিশ্বাস করি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছে এবং অন্যান্য ২৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সারা দেশে নির্বাচনের যে সু-বাতাস বইতে শুরু করেছে, এটা সত্যিই এতটা হবে যে তা আমরা ভাবতেও পারিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে তো বেশি লোক লাগে না। গুপ্ত হামলা করতেও তো বেশি লোক লাগে না, সেই অপকর্ম তারা করে যাচ্ছে। আমরা সজাগ আছি। অনেকেই ভেবেছিল বিরোধী দল হয়তো বড় আয়োজন করে সব বন্ধ করে দেবে। অথচ আমরাই সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেছি। সরকারি দল এত বড় সমাবেশ করতে পারবে এটা কেউ ভাবতেও পারেনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতা করবেন। নৌকার সাথে ‘মল্লযুদ্ধ’ করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটার উপস্থিতি দৃশ্যমান হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় এবারের টার্নআউট ভালো হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও আছে, ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনের সুবাতাস বইছে। এতোটা আশা করেনি আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নৌকার সাথে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতা করবেন। সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করে এমন কাজ করলে ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচন নিয়ে বদনামের ভাগিদার হতে চায় না আওয়ামী লীগ। ভালো নির্বাচন করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বারবার একটা কথা বলি, আমরা অতিরিক্ত কিছু চাই না। দল হিসেবে আমাদের যা প্রাপ্য তাই দিন। আপনারা বিরোধী দলকেও কাভার করুন। সেখানে বাধা দেবার কিছু নেই। অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে একটা কথা বলছি। দক্ষিণ গেটে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন আমাদের বারণ করেছে। আমরা তাদের কথা সম্মানের সঙ্গে রেখেছি।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায় অথচ মানবাধিকার দিবসে সমাবেশের অনুমতি পেলো না। কিন্তুবিএনপির নেতৃত্বে যারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য নাশকতা করছে তাদের প্রেসক্লাবের সামনে কীভাবে দিলেন, আমরা জানি না। আমরা পেলাম না, নির্বাচনের পক্ষের শক্তি, কিন্তু যারা বিরোধী (বিএনপি) তাদের কেন এই অনুমতি দেওয়া হলো? এটা হয় না। নির্বাচনবিরোধীদের এই আশ্রয়, প্রশ্রয়টা কেন দিলেন? তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এটা ন্যায়বিচার হলো?

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনি আমাকে দিলেন না, আমি নির্বাচন নির্বাচন করছি। আর যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়, তাদের অনুমতি দিলেন। আমি কিছু বলছি না, আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিরোধী দলের আন্দোলন ‘অপ্রতিরোধ্যভাবে মোকাবেলা করেছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদল সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো। যার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন হতে না দেওয়া। আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলো। নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সতর্ক পাহারায় থেকেছে। এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখনো সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। নির্বাচন বানচালের যারা চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। কারণ এ নির্বাচন হলো সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা, দেশের সৃমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা।

কাদের বলেন, ইলেকশনে সবাই নমিনেশন পাননি। নমিনেশনের তো একটা সংখ্যা আছে, বাহিরে তো দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে অনেকের দুঃখ আছে। তারপরও নেত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করার। এখানে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে কতোগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আছে। ১৪ ডিসেম্বর আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা করব। সকালে মিরপুর স্মৃতিসৌধে, পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং এরপর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। ১৭ তারিখ আলোচনা সভা। ১৮ তারিখ বিজয় র‌্যালি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে। ২০ তারিখ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবো। সিলেটে বিশাল সমাবেশ হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

হামলা করলে মামলা হবেই, কোনো ছাড়াছাড়ি নেই : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, হামলা করলে মামলা হবেই। আর মামলা হলে গ্রেপ্তার হবে, সাজা হবে। কোনো ছাড়াছাড়ি নেই।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পুলিশ মারবেন আর এটা কি বিনা বিচারে যাবে? এমন ঘটনা যারা ঘটায় তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? হামলা আমরা করি না, হামলা করে তারা (বিএনপি)। আর হামলা হলে মামলা হবেই। ছাড়াছাড়ি নেই।

তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে তো জোর করে আর নির্বাচনে আনা যায় না। পৃথিবীর কোথায় আছে যে ইনকামবেন্ট সরকার হঠাৎ ত্যাগ করে নির্বাচন দেয়? আমাদের দেশে কেন হবে? তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। তারা মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়।

তিনি আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তো জোর করে আর নির্বাচনে আনা যায় না। পৃথিবীর কোথায় আছে যে হঠাৎ সরকার ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়? তাহলে আমাদের দেশে কেন হবে? তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। তারা মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সারা বিশ্বে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, এখানেও সেই একই পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে। ২০০৯ সালের পরে শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন। এখন যদি তারা নির্বাচনে না আসে, তাহলে আমরা কী করতে পারি?

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী শক্তি বিএনপির নেতৃত্বে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করতে হবে। আমরা সতর্ক থাকব কারণ এই নির্বাচন আমাদের সংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নব নব বিজয় অর্জন করতে এই নির্বাচন আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন। যথাসময়ে পাঁচ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে এটাই গণতন্ত্রের বিউটি। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই চোখে পড়ার মতো হবে। দৃশ্যমানভাবে ভোটার উপস্থিতি দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় ভালো হবে বলে বিশ্বাস করি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছে এবং অন্যান্য ২৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সারা দেশে নির্বাচনের যে সু-বাতাস বইতে শুরু করেছে, এটা সত্যিই এতটা হবে যে তা আমরা ভাবতেও পারিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে তো বেশি লোক লাগে না। গুপ্ত হামলা করতেও তো বেশি লোক লাগে না, সেই অপকর্ম তারা করে যাচ্ছে। আমরা সজাগ আছি। অনেকেই ভেবেছিল বিরোধী দল হয়তো বড় আয়োজন করে সব বন্ধ করে দেবে। অথচ আমরাই সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেছি। সরকারি দল এত বড় সমাবেশ করতে পারবে এটা কেউ ভাবতেও পারেনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতা করবেন। নৌকার সাথে ‘মল্লযুদ্ধ’ করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটার উপস্থিতি দৃশ্যমান হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় এবারের টার্নআউট ভালো হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও আছে, ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনের সুবাতাস বইছে। এতোটা আশা করেনি আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নৌকার সাথে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতা করবেন। সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করে এমন কাজ করলে ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচন নিয়ে বদনামের ভাগিদার হতে চায় না আওয়ামী লীগ। ভালো নির্বাচন করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বারবার একটা কথা বলি, আমরা অতিরিক্ত কিছু চাই না। দল হিসেবে আমাদের যা প্রাপ্য তাই দিন। আপনারা বিরোধী দলকেও কাভার করুন। সেখানে বাধা দেবার কিছু নেই। অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে একটা কথা বলছি। দক্ষিণ গেটে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন আমাদের বারণ করেছে। আমরা তাদের কথা সম্মানের সঙ্গে রেখেছি।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায় অথচ মানবাধিকার দিবসে সমাবেশের অনুমতি পেলো না। কিন্তুবিএনপির নেতৃত্বে যারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য নাশকতা করছে তাদের প্রেসক্লাবের সামনে কীভাবে দিলেন, আমরা জানি না। আমরা পেলাম না, নির্বাচনের পক্ষের শক্তি, কিন্তু যারা বিরোধী (বিএনপি) তাদের কেন এই অনুমতি দেওয়া হলো? এটা হয় না। নির্বাচনবিরোধীদের এই আশ্রয়, প্রশ্রয়টা কেন দিলেন? তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এটা ন্যায়বিচার হলো?

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনি আমাকে দিলেন না, আমি নির্বাচন নির্বাচন করছি। আর যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়, তাদের অনুমতি দিলেন। আমি কিছু বলছি না, আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিরোধী দলের আন্দোলন ‘অপ্রতিরোধ্যভাবে মোকাবেলা করেছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদল সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো। যার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন হতে না দেওয়া। আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলো। নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সতর্ক পাহারায় থেকেছে। এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখনো সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। নির্বাচন বানচালের যারা চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। কারণ এ নির্বাচন হলো সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা, দেশের সৃমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা।

কাদের বলেন, ইলেকশনে সবাই নমিনেশন পাননি। নমিনেশনের তো একটা সংখ্যা আছে, বাহিরে তো দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে অনেকের দুঃখ আছে। তারপরও নেত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করার। এখানে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে কতোগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আছে। ১৪ ডিসেম্বর আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা করব। সকালে মিরপুর স্মৃতিসৌধে, পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং এরপর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। ১৭ তারিখ আলোচনা সভা। ১৮ তারিখ বিজয় র‌্যালি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে। ২০ তারিখ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবো। সিলেটে বিশাল সমাবেশ হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।