Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাপানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শক্তিমত্তার বিচারে দুই দলের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব। তার প্রভাব পড়েছে মাঠের ক্রিকেটেও। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না জাপান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একশর আগে অলআউট হওয়া জাপান বোলিংয়েও ছিল ছন্নছাড়া। জাপানের দেওয়া ১০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১.২ ওভারেই ৯ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।

টানা দ্বিতীয় জয়ে ‘বি’ গ্রুপে পয়েন্ট তালিকারও শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশের যুবারা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের। ১ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে শ্রীলঙ্কা।

১০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম ঝড় তোলেন। মাত্র ৪.৫ ওভারেই ৫০ রান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান তুলে দ্রুতই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় যুব টাইগাররা।

জিশান আলম আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করেন। তবে আরেক ওপেনার শিবলি ঠিকই অর্ধশতক তুলে নেন। ৪৫ বলে ৮ চারে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৭ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

জাপানের পক্ষে ৩.২ ওভারে ৩০ রানে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেন চার্লস হাইঞ্জ।

টস জিতে জাপানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে খুবই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করে জাপান। কিন্তু তাদের সেই কৌশল বাংলাদেশের যুবাদের বোলিং তোপের সামনে কোনো কাজই করেনি। রান তোলার চেয়ে উইকেট ধরে রাখার পেছনেই বেশি মনোযোগী ছিল জাপানের ব্যাটসম্যানরা।

রান তোলার গতি এতই ধীর ছিল, ৫০ রান তুলতেই জাপানের ব্যাটাররা খরচ করে ২৬ ওভার। ওপেনার নিহার পারমার খেলেছেন ৮০ বলে মাত্র ১৮ রানের ইনিংস। আরেক ব্যাটার আদিত্য ৮ রান করতে খেলেছেন মোট ৩২ বল। কাজুমা ১৩ রান করতে খেলেছেন ৪২ বল।

টপঅর্ডারের এই তিন ব্যাটারের ইনিংসের চিত্রই বলে দেয়, জাপান ব্যাটিংয়ের বেলায় ঠিক কতখানি ধীরগতির ছিল। পরবর্তীতে অবশ্য দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করে তারা। ৫৪ থেকে ৫৮ এই চার রানের ব্যবধানে ৪ উইকেটই হারায় জাপান। এরপর একটা জুটি এসেছিল হুগো কেলি এবং কেইফার লেইকের মাঝে। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি বোলারদের তোপে স্কোর বড় করা হয়নি কারোরই। ৯৯ রানেই অলআউট হতে হয় জাপানকে।

বাংলাদেশের হয়ে যে-ই বোলিংয়ে এসেছেন, তিনিই দেখেছেন সফলতার মুখ। দুটি করে উইকেট শিকার অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও আরিফুল ইসলামের। এছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন, মারুফ মৃধা, রোহানত দৌল্লা বর্ষণ, শেখ পারভেজ জীবন ও চৌধুরী মো. রিজওয়ান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাপানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ জয়

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শক্তিমত্তার বিচারে দুই দলের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব। তার প্রভাব পড়েছে মাঠের ক্রিকেটেও। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না জাপান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একশর আগে অলআউট হওয়া জাপান বোলিংয়েও ছিল ছন্নছাড়া। জাপানের দেওয়া ১০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১.২ ওভারেই ৯ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।

টানা দ্বিতীয় জয়ে ‘বি’ গ্রুপে পয়েন্ট তালিকারও শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশের যুবারা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের। ১ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে শ্রীলঙ্কা।

১০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম ঝড় তোলেন। মাত্র ৪.৫ ওভারেই ৫০ রান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান তুলে দ্রুতই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় যুব টাইগাররা।

জিশান আলম আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করেন। তবে আরেক ওপেনার শিবলি ঠিকই অর্ধশতক তুলে নেন। ৪৫ বলে ৮ চারে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৭ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

জাপানের পক্ষে ৩.২ ওভারে ৩০ রানে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেন চার্লস হাইঞ্জ।

টস জিতে জাপানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে খুবই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করে জাপান। কিন্তু তাদের সেই কৌশল বাংলাদেশের যুবাদের বোলিং তোপের সামনে কোনো কাজই করেনি। রান তোলার চেয়ে উইকেট ধরে রাখার পেছনেই বেশি মনোযোগী ছিল জাপানের ব্যাটসম্যানরা।

রান তোলার গতি এতই ধীর ছিল, ৫০ রান তুলতেই জাপানের ব্যাটাররা খরচ করে ২৬ ওভার। ওপেনার নিহার পারমার খেলেছেন ৮০ বলে মাত্র ১৮ রানের ইনিংস। আরেক ব্যাটার আদিত্য ৮ রান করতে খেলেছেন মোট ৩২ বল। কাজুমা ১৩ রান করতে খেলেছেন ৪২ বল।

টপঅর্ডারের এই তিন ব্যাটারের ইনিংসের চিত্রই বলে দেয়, জাপান ব্যাটিংয়ের বেলায় ঠিক কতখানি ধীরগতির ছিল। পরবর্তীতে অবশ্য দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করে তারা। ৫৪ থেকে ৫৮ এই চার রানের ব্যবধানে ৪ উইকেটই হারায় জাপান। এরপর একটা জুটি এসেছিল হুগো কেলি এবং কেইফার লেইকের মাঝে। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি বোলারদের তোপে স্কোর বড় করা হয়নি কারোরই। ৯৯ রানেই অলআউট হতে হয় জাপানকে।

বাংলাদেশের হয়ে যে-ই বোলিংয়ে এসেছেন, তিনিই দেখেছেন সফলতার মুখ। দুটি করে উইকেট শিকার অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও আরিফুল ইসলামের। এছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন, মারুফ মৃধা, রোহানত দৌল্লা বর্ষণ, শেখ পারভেজ জীবন ও চৌধুরী মো. রিজওয়ান।