Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে বিএনপি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাশকতায় জামায়াতকে বিএনপি পাশে চায় বলে আগাম তথ্য আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে বিএনপি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এক পর্যায়ে জামায়াতই বিএনপিতে মূল নেতৃত্ব দেবে। বিএনপি হবে জামায়াতের বি-টিম। মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। জনসম্পৃক্ততার অভাবে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নাশকতা করে সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটা দল যারা ভুলের রাজনীতি করছে এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তাতে এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াতই বিএনপিতে মূল নেতৃত্ব দেবে। বিএনপি হবে জামায়াতের বি-টিম।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিজেরাই তালা লাগিয়েছে। সাহস থাকলে বের হয়ে আসুক।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা আমাদের স্ট্র্যাটেজি, ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি (নির্বাচনী কৌশল)। এটা তো ওপেনলি (সরাসরি) আমাদের জোটের চেয়ারম্যান বলে দিয়েছেন। কাজেই ওই সিদ্ধান্তে নতুন করে পরিবর্তন নেই।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতির ভিন্নমত থাকাটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। একমত হতে না পারা সেটাই গণতন্ত্র। ১৪ দলের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই আসনের বিষয় ঠিক হবে। আর জাতীয় পার্টি একসময় আমাদের মহাজোটে ছিল। তারা নির্বাচন করছে। সুতরাং আলোচনা হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল সবাই সরকারের সঙ্গে মিশে যেতে চাইছে এবং নির্বাচনের নিশ্চয়তা চায়। এ ব্যাপারে কাদের বলেন, এখানে মিশে যাওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে বাস্তবতা রয়েছে। সেটা আলোচনার বিষয়।

তাহলে কি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল আসন ভাগাভাগি করে বিরোধী দল হবে? জবাবে কাদের বলেন, সময় হলে বিরোধী দল দাঁড়িয়ে যাবে। তাছাড়া এখানে আরও অনেক দল আছে। তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ বিভিন্ন দল রয়েছে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার বিষয়ে মন্তব্য করে কাদের বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যাপারে ভূমিকা থাকবে। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এখন সরকার শুধু একটি রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের কাজ হচ্ছে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা। আমরা সেই কাজ করে যাচ্ছি।

১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন কমিশন মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে অপারগত প্রকাশ করেছে। সেহেতু আমরা সমস্যা করব না।’ তবে দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে বলে জানান তিনি।

মানবাধিকারের কথা বলে জনসম্পৃক্ততার অভাবে নির্বাচনবিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘আজকে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অগ্নি-সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। মানবাধিকার দিবসে সারা দেশ একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছে। জামায়াতকে বিএনপি একান্তভাবে তাদের পাশে চায়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ভুলের মধ্যে আছে। জামায়াতের সাথে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে তারা যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাতে একসময় দেখা যাবে বিএনপির রাজনীতির যে মূলধারা, সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে জামায়াত। আর বিএনপি এটার বি টিম হিসেবে আবির্ভূত হবে। বিএনপির ভুলের রাজনীতির কারণেই তারা জামাতের বি টিমে পরিণত হবে।’

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয় হলে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কারা—এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব আমাদের প্রতিপক্ষ। যারা নির্বাচন করছে তারা সবাই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের দলের সভাপতি আসনে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিযোগিতা তো হচ্ছে।’

মানবাধিকার দিবসে বিএনপি নাশকতা করতে পারে—এমন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়েই কথা বলছি। সরকারি দল হিসেবে আমাদের খোঁজখবর নেওয়ার সুযোগটা বেশি। তাছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা ইতিপূর্বে যে সমস্ত খবর পেয়েছি, বাস্তবেও সেগুলোর মিল পেয়েছি।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে বিএনপি : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাশকতায় জামায়াতকে বিএনপি পাশে চায় বলে আগাম তথ্য আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে বিএনপি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এক পর্যায়ে জামায়াতই বিএনপিতে মূল নেতৃত্ব দেবে। বিএনপি হবে জামায়াতের বি-টিম। মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। জনসম্পৃক্ততার অভাবে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নাশকতা করে সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটা দল যারা ভুলের রাজনীতি করছে এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তাতে এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াতই বিএনপিতে মূল নেতৃত্ব দেবে। বিএনপি হবে জামায়াতের বি-টিম।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিজেরাই তালা লাগিয়েছে। সাহস থাকলে বের হয়ে আসুক।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা আমাদের স্ট্র্যাটেজি, ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি (নির্বাচনী কৌশল)। এটা তো ওপেনলি (সরাসরি) আমাদের জোটের চেয়ারম্যান বলে দিয়েছেন। কাজেই ওই সিদ্ধান্তে নতুন করে পরিবর্তন নেই।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতির ভিন্নমত থাকাটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। একমত হতে না পারা সেটাই গণতন্ত্র। ১৪ দলের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই আসনের বিষয় ঠিক হবে। আর জাতীয় পার্টি একসময় আমাদের মহাজোটে ছিল। তারা নির্বাচন করছে। সুতরাং আলোচনা হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল সবাই সরকারের সঙ্গে মিশে যেতে চাইছে এবং নির্বাচনের নিশ্চয়তা চায়। এ ব্যাপারে কাদের বলেন, এখানে মিশে যাওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে বাস্তবতা রয়েছে। সেটা আলোচনার বিষয়।

তাহলে কি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল আসন ভাগাভাগি করে বিরোধী দল হবে? জবাবে কাদের বলেন, সময় হলে বিরোধী দল দাঁড়িয়ে যাবে। তাছাড়া এখানে আরও অনেক দল আছে। তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ বিভিন্ন দল রয়েছে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার বিষয়ে মন্তব্য করে কাদের বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যাপারে ভূমিকা থাকবে। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এখন সরকার শুধু একটি রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের কাজ হচ্ছে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা। আমরা সেই কাজ করে যাচ্ছি।

১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন কমিশন মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে অপারগত প্রকাশ করেছে। সেহেতু আমরা সমস্যা করব না।’ তবে দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে বলে জানান তিনি।

মানবাধিকারের কথা বলে জনসম্পৃক্ততার অভাবে নির্বাচনবিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘আজকে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অগ্নি-সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। মানবাধিকার দিবসে সারা দেশ একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছে। জামায়াতকে বিএনপি একান্তভাবে তাদের পাশে চায়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ভুলের মধ্যে আছে। জামায়াতের সাথে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে তারা যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাতে একসময় দেখা যাবে বিএনপির রাজনীতির যে মূলধারা, সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে জামায়াত। আর বিএনপি এটার বি টিম হিসেবে আবির্ভূত হবে। বিএনপির ভুলের রাজনীতির কারণেই তারা জামাতের বি টিমে পরিণত হবে।’

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয় হলে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কারা—এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব আমাদের প্রতিপক্ষ। যারা নির্বাচন করছে তারা সবাই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের দলের সভাপতি আসনে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিযোগিতা তো হচ্ছে।’

মানবাধিকার দিবসে বিএনপি নাশকতা করতে পারে—এমন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়েই কথা বলছি। সরকারি দল হিসেবে আমাদের খোঁজখবর নেওয়ার সুযোগটা বেশি। তাছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা ইতিপূর্বে যে সমস্ত খবর পেয়েছি, বাস্তবেও সেগুলোর মিল পেয়েছি।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।