নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইস্কাটনের বাসায় ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আমু বলেন, কার বিরুদ্ধে কে থাকবে, সেটা টু আরলি টু ডিসকাস। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা হবে। কিভাবে আসন বিন্যাস করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করবো। নেত্রীর সঙ্গে আলাপের পর সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো। আসন বিন্যাসের ঘোষণা আগে আসবে। জোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে কি, থাকবে না-সেটা পরে জানা যাবে। জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) জোট নেতাদের সঙ্গে আমাদের ১৪ দলের নেত্রীর একটি সভা হয়েছে। সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় মহাজোটের আসন বণ্টনের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, ১৪ দল একটি আদর্শিক জোট। আসন বিন্যাসের ওপর জোটের সম্পর্ক নির্ভর করে না।
মহাজোটের এই মুখপাত্র বলেন, অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল আসন ভাগাভাগির জোট নয়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আছে। ১৭ তারিখের আগে জোট শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে ১৪ দল পরীক্ষিত জোট। এটি রাজনৈতিক আদর্শিক জোট, ভাগাভাগির জোট নয়। কে কোন আসন পেল, না পেল এটা বড় কথা নয়। কেউ ২০টি আসন চেয়েছে কিনা, আমার কাছে খবর নেই। আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে যেন কনফ্লিক্ট না হয়, সেটি ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে আমরা এক সঙ্গে নির্বাচন করেছি। নির্বাচন ও আন্দোলন এক সঙ্গে করি। আমরা এখনো বলছি, আমাদের নির্বাচন কিংবা আন্দোলন এক সঙ্গেই হবে। ১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচন করবে। সেই সিদ্ধান্তে আমরা অটুট রয়েছি। আসনের ব্যাপারে কোথায় কী করা যায়, কীভাবে আসন বণ্টন করা যায় সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা করছি। সেই আলোচনার বিষয়বস্তু নেত্রীকে জানাব। আজকে মেনন সাহেব, ইনু সাহেব এসেছেন, আলোচনা হয়েছে, আমি কাল এই বিষয়গুলো নেত্রীকে জানাব। আলাপ করার পর আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে সেগুলো সব চূড়ান্ত নয়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগেরও শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। কার বিরুদ্ধে কে থাকবে, কার বিরুদ্ধে কে থাকবে না, কে প্রত্যাহার করবে, কে প্রত্যাহার করবে না, এসব বিষয়ে দ্রুত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ১৪ দল একটি রাজনৈতিক আদর্শিক জোট। এটা ভাগাভাগির জোট নয়। ২০০১ সাল থেকে আমরা যুদ্ধ করে আসছি। ২০০৬ সালে যুদ্ধ করেছি। আমাদের কাছে কে আসন পেল, কে পেল না সেটা গুরুত্ব রাখে না। আমরা একটি আদর্শিক জোট হিসেবে কাজ করছি।
বৈঠকে ১৪ দল নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার প্রমুখ।