Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি যতোই বাধা দিতে চায়, ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মোটেই চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন নয়। বিএনপি যতোই বাধা দিতে চায়, ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে। বিএনপি ও তাদের দোসররা যা করছে, তা নাশকতা।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, নির্বাচিত সরকার; নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এই নীতিতে আমরা আপসহীন। অনির্বাচিত সরকার অস্বাভাবিক সরকার করবে, এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে দেখা গেছে, যারা আন্দোলনে হারে; নির্বাচনেও তারা অবধারিতভাবে হারবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে জাগরণের ঢেউ, মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে, তাতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নই। বিএনপি যতই বাধা সৃষ্টি করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী; জনগণ ভোট দিতে চায়। জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দিতে চাইলে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চোরা গোপ্তা হামলা করছে। অনেক অপকর্ম করে যাচ্ছে। তারা জানে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। বিএনপি ভালো করেই জানে, বাধা দিয়ে নির্বাচন পণ্ড করা যাবে না। তাদের খারাপ উদ্দেশ্য সার্থক হবে না। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝেছে নির্বাচন ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছ। প্রার্থীদের মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য সংঘাত, সংঘর্ষ হচ্ছে না। বিএনপির নাশকতা পরাজিত হবে। জনগণের শক্তি বিজয়ী হবে।

এ সময় বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও হারবে, এটাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবধারিত। যারা ভোটাধিকারে বাধা দিবে; ভোটাররাই তাদেরকে বাধা দিবে। বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না বিএনপি। আর বেশি বাধা আসলে প্রতিহত করবে জনগণ।

তিনি বলেন, বিএনপি ভালো করেই জানে, বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না, পণ্ড করতে পারবে না। যে খারাপ মতলব নিয়ে এ নির্বাচনে বিরোধিতা করছে তারা, তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হবে না, এটা এরইমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে।

কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে সমানে রেখে দেশের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বা সহিংসতা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেছে, ঘটে নাই। যেটুকু হচ্ছে সেটুকু নাশকতা এবং বিএনপি ও তার দোসররাই করে যাচ্ছে। নাশকতা পরাজিত হবে, জনগণের শক্তির বিজয় হবে। যুগে যুগে, দেশে-দেশে এটাই প্রমাণিত হয়েছে আর বাংলাদেশেও এটার ব্যতিক্রম হবে না।

বিএনপির নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার যে, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কী করতে পারি? তাদের নির্বাচনে আসতে আমরা যদি বাধা দিতাম, তাহলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তারা তো স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না, এখন আমরা কি তাদের জোর করে নির্বাচনে আনব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অবরোধ-হরতালকে প্রত্যাখ্যান করে সবাই নির্বাচনের উৎসবে মেতেছে। মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে যাচাই-বাছাই চলছে। সর্বত্র এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। বাধা দিয়ে, নাশকতা করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। এ ধরনের বাধা যদি বেশি হয়, তাহলে জনগণেই প্রতিহত করবে।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অনির্বাচিত সরকার এসে সরকার গঠন করবে এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। যারা এসব ভাবছে তাদের আশা কোনো দিন পূরণ হবে না। আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও হারবে, এটাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবধারিত। যারা ভোটাধিকারের বাধা দেবে ভোটাররাই তাদের বাধা দেবে। দেশের মানুষ এখন আর সহ্য করবে না। বিএনপি বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ শহরে (ঢাকা) বিএনপিও সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনারা (সাংবাদিক) তো পাল্টাপাল্টি বলে নিউজও করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি মারামারি কোথাও হয়নি। এখানে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের কোনো সংঘাত হয়নি। তারা (বিএনপি) এ শহরে প্রথমে পদযাত্রা করেছে। পাশে আমাদের সমাবেশ হয়েছে। সেখানেও তো কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।

১০ তারিখের সমাবেশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ওই দিনের জন্য তো আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছি, আমরা সমাবেশ করতে চাই। এখানে পাল্টাপাল্টি কেন? মানবাধিকার দিবস পালন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোনো পাল্টাপাল্টি বিষয় নেই। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন বয়কট করেছে। বিএনপি স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না। আমরা সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, ইসি নির্বাচন পরিচালনা করছি। পৃথিবীর গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থার বাইরে কিছু হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।

কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কোনো ক্ষতি হবে না আওয়ামী লীগের। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও আরও ২৯টি দল আছে। সরকারের বাইরেও অনেক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী দল নির্ভর করে শক্তিশালী গণতন্ত্রের ওপর।

১৪ দলের সাথে দীর্ঘদিন নির্বাচন, আন্দোলন করেছি। তারা কিছু আসন দাবি করতেই পারে। যেগুলো যুক্তি যোগ্য, সেগুলোতে শরিকদের মনোনয়ন দিতে আপত্তি নেই। যে প্রার্থী ইলেকশনে হারবে, জোটের খাতিরে তাকে ছাড় দিতে পারি না।

আওয়ামী লীগের মনোনীত যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন বলে জানান দলীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না নিয়মের বাইরে থাকায় কারো প্রার্থীতা বাতিল হলে, নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিতে যাবো না। কোনো প্রার্থী চাইলে আপিল করতে পারে, তবে এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করবে না আওয়ামী লীগ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

বিএনপি যতোই বাধা দিতে চায়, ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মোটেই চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন নয়। বিএনপি যতোই বাধা দিতে চায়, ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে। বিএনপি ও তাদের দোসররা যা করছে, তা নাশকতা।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, নির্বাচিত সরকার; নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এই নীতিতে আমরা আপসহীন। অনির্বাচিত সরকার অস্বাভাবিক সরকার করবে, এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে দেখা গেছে, যারা আন্দোলনে হারে; নির্বাচনেও তারা অবধারিতভাবে হারবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে জাগরণের ঢেউ, মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে, তাতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নই। বিএনপি যতই বাধা সৃষ্টি করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী; জনগণ ভোট দিতে চায়। জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দিতে চাইলে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চোরা গোপ্তা হামলা করছে। অনেক অপকর্ম করে যাচ্ছে। তারা জানে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। বিএনপি ভালো করেই জানে, বাধা দিয়ে নির্বাচন পণ্ড করা যাবে না। তাদের খারাপ উদ্দেশ্য সার্থক হবে না। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝেছে নির্বাচন ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছ। প্রার্থীদের মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য সংঘাত, সংঘর্ষ হচ্ছে না। বিএনপির নাশকতা পরাজিত হবে। জনগণের শক্তি বিজয়ী হবে।

এ সময় বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও হারবে, এটাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবধারিত। যারা ভোটাধিকারে বাধা দিবে; ভোটাররাই তাদেরকে বাধা দিবে। বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না বিএনপি। আর বেশি বাধা আসলে প্রতিহত করবে জনগণ।

তিনি বলেন, বিএনপি ভালো করেই জানে, বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না, পণ্ড করতে পারবে না। যে খারাপ মতলব নিয়ে এ নির্বাচনে বিরোধিতা করছে তারা, তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হবে না, এটা এরইমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে।

কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে সমানে রেখে দেশের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বা সহিংসতা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেছে, ঘটে নাই। যেটুকু হচ্ছে সেটুকু নাশকতা এবং বিএনপি ও তার দোসররাই করে যাচ্ছে। নাশকতা পরাজিত হবে, জনগণের শক্তির বিজয় হবে। যুগে যুগে, দেশে-দেশে এটাই প্রমাণিত হয়েছে আর বাংলাদেশেও এটার ব্যতিক্রম হবে না।

বিএনপির নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার যে, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কী করতে পারি? তাদের নির্বাচনে আসতে আমরা যদি বাধা দিতাম, তাহলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তারা তো স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না, এখন আমরা কি তাদের জোর করে নির্বাচনে আনব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অবরোধ-হরতালকে প্রত্যাখ্যান করে সবাই নির্বাচনের উৎসবে মেতেছে। মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে যাচাই-বাছাই চলছে। সর্বত্র এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। বাধা দিয়ে, নাশকতা করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। এ ধরনের বাধা যদি বেশি হয়, তাহলে জনগণেই প্রতিহত করবে।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অনির্বাচিত সরকার এসে সরকার গঠন করবে এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। যারা এসব ভাবছে তাদের আশা কোনো দিন পূরণ হবে না। আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও হারবে, এটাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবধারিত। যারা ভোটাধিকারের বাধা দেবে ভোটাররাই তাদের বাধা দেবে। দেশের মানুষ এখন আর সহ্য করবে না। বিএনপি বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ শহরে (ঢাকা) বিএনপিও সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনারা (সাংবাদিক) তো পাল্টাপাল্টি বলে নিউজও করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি মারামারি কোথাও হয়নি। এখানে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের কোনো সংঘাত হয়নি। তারা (বিএনপি) এ শহরে প্রথমে পদযাত্রা করেছে। পাশে আমাদের সমাবেশ হয়েছে। সেখানেও তো কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।

১০ তারিখের সমাবেশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ওই দিনের জন্য তো আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছি, আমরা সমাবেশ করতে চাই। এখানে পাল্টাপাল্টি কেন? মানবাধিকার দিবস পালন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোনো পাল্টাপাল্টি বিষয় নেই। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন বয়কট করেছে। বিএনপি স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না। আমরা সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, ইসি নির্বাচন পরিচালনা করছি। পৃথিবীর গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থার বাইরে কিছু হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।

কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কোনো ক্ষতি হবে না আওয়ামী লীগের। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও আরও ২৯টি দল আছে। সরকারের বাইরেও অনেক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী দল নির্ভর করে শক্তিশালী গণতন্ত্রের ওপর।

১৪ দলের সাথে দীর্ঘদিন নির্বাচন, আন্দোলন করেছি। তারা কিছু আসন দাবি করতেই পারে। যেগুলো যুক্তি যোগ্য, সেগুলোতে শরিকদের মনোনয়ন দিতে আপত্তি নেই। যে প্রার্থী ইলেকশনে হারবে, জোটের খাতিরে তাকে ছাড় দিতে পারি না।

আওয়ামী লীগের মনোনীত যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন বলে জানান দলীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না নিয়মের বাইরে থাকায় কারো প্রার্থীতা বাতিল হলে, নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিতে যাবো না। কোনো প্রার্থী চাইলে আপিল করতে পারে, তবে এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করবে না আওয়ামী লীগ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।